Skip to main content

هُوَ الَّذِيْٓ اَنْزَلَ السَّكِيْنَةَ فِيْ قُلُوْبِ الْمُؤْمِنِيْنَ لِيَزْدَادُوْٓا اِيْمَانًا مَّعَ اِيْمَانِهِمْ ۗ وَلِلّٰهِ جُنُوْدُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًاۙ  ( الفتح: ٤ )

huwa
هُوَ
He
তিনিই (আল্লাহ)
alladhī
ٱلَّذِىٓ
(is) the One Who
যিনি
anzala
أَنزَلَ
sent down
অবতীর্ণ করেছেন
l-sakīnata
ٱلسَّكِينَةَ
[the] tranquility
প্রশান্তি
فِى
in(to)
মধ্যে
qulūbi
قُلُوبِ
(the) hearts
অন্তর সমূহের
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
(of) the believers
মু'মিনদের
liyazdādū
لِيَزْدَادُوٓا۟
that they may increase
তারা যেন বৃদ্ধি করে
īmānan
إِيمَٰنًا
(in) faith
(আরও) ঈমান
maʿa
مَّعَ
with
সাথে
īmānihim
إِيمَٰنِهِمْۗ
their faith
তাদের ঈমানের
walillahi
وَلِلَّهِ
And for Allah
এবং আল্লাহরই জন্য
junūdu
جُنُودُ
(are the) hosts
সৈন্যসমূহ
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
(of) the heavens
আকাশের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
and the earth
ও পৃথিবীর
wakāna
وَكَانَ
and Allah
এবং হলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
and Allah
আল্লাহ
ʿalīman
عَلِيمًا
(is) All-Knower
সর্বজ্ঞ
ḥakīman
حَكِيمًا
All-Wise
প্রজ্ঞাময়

Huwal lazeee anzalas sakeenata fee quloobil mu'mineena liyazdaadooo eemaanamma'a eemaanihim; wa lillaahi junoodus samawaati wal ard; wa kaanal laahu 'Aleeman Hakeemaa (al-Fatḥ ৪৮:৪)

English Sahih:

It is He who sent down tranquility into the hearts of the believers that they would increase in faith along with their [present] faith. And to Allah belong the soldiers of the heavens and the earth, and ever is Allah Knowing and Wise. (Al-Fath [48] : 4)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তিনিই মু’মিনদের দিলে প্রশান্তি নাযিল করেন যাতে তারা তাদের ঈমানের সাথে আরো ঈমান বাড়িয়ে নেয়। আসমান ও যমীনের যাবতীয় বাহিনী আল্লাহর কর্তৃত্বের অধীন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়। (আল ফাতহ [৪৮] : ৪)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনিই বিশ্বাসীদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন, যেন তারা তাদের ঈমানের সাথে ঈমান (বিশ্বাস) বৃদ্ধি করে নেয়, [১] আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই[২] এবং আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

[১] অর্থাৎ, সেই অস্থিরতা ও অশান্তির পর, যা হুদাইবিয়া সন্ধির শর্তাবলীর কারণে মুসলিমদের উপর এসেছিল। মহান আল্লাহ তাদের অন্তরে প্রশান্তি প্রক্ষিপ্ত করেন। যার ফলে তাদের অন্তরে শান্তি, স্বস্তি ও ঈমান আরো বেড়ে যায়। এই আয়াতও প্রমাণ করে যে, ঈমান বাড়ে ও কমে।

[২] অর্থাৎ, আল্লাহ চাইলে তার যে কোন সৈন্যের (যেমন, ফিরিশতাগণ) দ্বারা কাফেরদেরকে ধ্বংস করে দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তাঁর পূর্ণ কৌশলের ভিত্তিতে এ রকম না করে তার পরিবর্তে মু'মিনদেরকে যুদ্ধ ও জিহাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই কারণেই পরে (আয়াতের শেষে) তাঁর সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময় হওয়ার গুণ উল্লেখ করেছেন। অথবা অর্থ হল, আকাশ ও পৃথিবীর ফিরিশতাগণ, অনুরূপ অন্যান্য সমস্ত প্রতাপ ও বিক্রমশালী সেনাবাহিনী আল্লাহরই অধীনস্থ। তিনি যেভাবে চান তাদের দ্বারা কাজ নেন। বলার উদ্দেশ্য হল, হে মু'মিনগণ! মহান আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। তিনি তাঁর রসূল এবং তাঁর দ্বীনের সাহায্যের কাজ যে কোন দল ও সৈন্য দিয়ে নিতে পারেন। (ইবনে কাসীর, আয়সারুত তাফাসীর)