আয-যারিয়াত আয়াত ৪৪

অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ মানতে অহংকার করল; ফলে তাদেরকে পাকড়াও করল বজ্র [১] এবং তারা তা দেখছিল।

[১] সামূদ জাতির উপর আপতিত এ আযাবের কথা বুঝাতে কুরআন মজীদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও একে رجفة (ভীতি প্রদর্শনকারী ও প্ৰকম্পিতকারী বিপদ) বলা হয়েছে। [সূরা আল-আরাফ; ৭৮] কোথাও একে صيحة (বিস্ফোরণ ও বজ্রধ্বনি) বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। [সূরা হূদ; ৬৭] কোথাও একে বুঝাতে طاغية (কঠিনতম বিপদ) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। [সূরা আল-হাক্কাহ;৫] আর এখানে একেই صاعقة বলা হয়েছে, যার অর্থ বিদ্যুতের মত অকস্মাৎ আগমনকারী বিপদ এবং কঠোর বজ্রধ্বনি উভয়ই। সম্ভবতঃ এ আযাব এম এক ভূমিকম্পের আকারে এসেছিলো যারা সাথে আতংক সৃষ্টিকারী শব্দও ছিল। [দেখুন, ইরাব আল- কুরআন]

অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল, আর তারা তা দেখছিল।

অতঃপর তারা তাদের পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল এবং তাদের প্রতি বজ্রঘাত হল এমতাবস্থায় যে, তারা তা দেখেছিল।

তথাপি তাদের প্রভুর আদেশের বিরুদ্ধে তারা দাঁড়িয়েছিল, ফলে এক বজ্রনাদ তাদের পাকড়ালো, আর তারা তাকিয়ে রয়েছিল।

কিন্তু তারা তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। ফলে তাদেরকে আক্রান্ত করল বজ্র এবং তারা তা দেখছিল।

কিন্তু তারা তাদের রবের আদেশ অমান্য করল; ফলে তাদের প্রতি বজ্রাঘাত হল এবং তারা তা দেখতে ছিল।

Please check ayah 51:46 for complete tafsir.

অতঃপর তারা তাদের প্রভুর আদেশ অমান্য করে; যার ফলে তারা বজ্রাঘাতের কবলে পড়ে, আর তারা তা দেখছিল।

৪৪. তখন তারা নিজেদের প্রতিপালকের উপর অহঙ্কার করে ঈমান ও আনুগত্যের ব্যাপারে বড়ত্ব প্রদর্শন করলো। তখন তাদেরকে শাস্তির গর্জন আক্রমণ করলো যার তারা অবতরণের অপেক্ষায় ছিলো। যেহেতু তাদেরকে তা অবতরণের তিন দিন পূর্বেই শাস্তির ভয় দেখানো হয়।

Please check ayah 51:46 for complete tafsir.