Skip to main content

اِقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ   ( القمر: ١ )

iq'tarabati
ٱقْتَرَبَتِ
Has come near
নিকটবর্তী হয়েছে
l-sāʿatu
ٱلسَّاعَةُ
the Hour
কিয়ামত
wa-inshaqqa
وَٱنشَقَّ
and has split
এবং বিদীর্ণ হয়েছে
l-qamaru
ٱلْقَمَرُ
the moon
চাঁদ

Iqtarabatis Saa'atu wsan shaqqal qamar (al-Q̈amar ৫৪:১)

English Sahih:

The Hour has come near, and the moon has split [in two]. (Al-Qamar [54] : 1)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ক্বিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র খন্ডিত হয়েছে, (আল ক্বামার [৫৪] : ১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কিয়ামত আসন্ন,[১] চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। [২]

[১] প্রথমতঃ এ কথা বিশ্বসৃষ্টির বিগত কাল অনুপাতে। কারণ, যা অতিবাহিত হয়ে গেছে তার তুলনায় যা অবশিষ্ট আছে, তা অল্প। দ্বিতীয়তঃ আগামী প্রত্যেকটি জিনিসই নিকটবর্তী হয়। তাই নবী করীম (সাঃ) তাঁর নিজের ব্যাপারে বলেছেন যে, আমার আগমন কাল কিয়ামত সংলগ্নে। অর্থাৎ, আমার ও কিয়ামতের মধ্যে আর কোন নবী আসবেন না।

[২] এটি সেই মু'জেযা, যা মক্কাবাসীদের দাবী অনুযায়ী দেখানো হয়েছিল। চাঁদ দু' টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এমনকি লোকেরা তার (দু'খন্ড চাঁদের) মাঝ দিয়ে হিরা পাহাড়কে দেখতে পায়। অর্থাৎ, চাঁদের এক টুকরো পাহাড়ের একদিকে এবং দ্বিতীয় টুকরো পাহাড়ের অপর দিকে চলে যায়। (বুখারীঃ আনসারদের ফযীলত অধ্যায়, মুসলিমঃ কিয়ামতের বর্ণনা অধ্যায়) পূর্বের প্রায় সকল সালাফে সালেহীনের এটাই মত। (ফাতহুল ক্বাদীর) ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) লিখছেন যে, 'উলামাগণ সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, চাঁদ নবী করীম (সাঃ)-এর যুগে দ্বিখন্ডিত হয় এবং এটা তাঁর সুস্পষ্ট মু'জিযাসমূহের অন্যতম। বিশুদ্ধসূত্রে সাব্যস্ত বহুবিধ সূত্রে বর্ণিত হাদীসগুলোও তা প্রমাণ করে।'