Skip to main content

وَلَوْ شَاۤءَ اللّٰهُ مَآ اَشْرَكُوْاۗ وَمَا جَعَلْنٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًاۚ وَمَآ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيْلٍ   ( الأنعام: ١٠٧ )

And if
وَلَوْ
এবং যদি
(had) willed
شَآءَ
ইচ্ছে করতেন
Allah
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
not (they would have)
مَآ
না
associated partners (with Him)
أَشْرَكُوا۟ۗ
তাঁর শিরক করতো
And not
وَمَا
এবং না
We have made you
جَعَلْنَٰكَ
আমরা নিযুক্ত করেছি তোমাকে
over them
عَلَيْهِمْ
উপর তাদের
a guardian
حَفِيظًاۖ
কোনো সংরক্ষক
and not
وَمَآ
আর নও
you
أَنتَ
তুমি
(are) over them
عَلَيْهِم
উপর তাদের
a manager
بِوَكِيلٍ
কোনো অভিভাবক

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ ইচ্ছে করলে তারা আল্লাহর অংশী স্থির করত না, (আসল শিক্ষা তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এখন তারা মানুক বা না মানুক) আমি তোমাকে তাদের উপর পাহারাদার পাঠায়নি (জোর করে আল্লাহর ‘ইবাদাত করিয়ে নেয়ার জন্য), আর তুমি তাদের পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারীও নও।

English Sahih:

But if Allah had willed, they would not have associated. And We have not appointed you over them as a guardian, nor are you a manager over them.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা অংশী-স্থাপন করত না।[১] আর তোমাকে তাদের জন্য রক্ষক নিযুক্ত করিনি এবং তুমি তাদের কার্যবাহী (উকীল)ও নও। [২]

[১] এ বিষয়টা পূর্বেও বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছা এক জিনিস এবং তাঁর সন্তুষ্টি আর এক জিনিস। তাঁর সন্তুষ্টি তো তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করার মধ্যেই। তবে তিনি এর উপর মানুষকে বাধ্য করেননি। কেননা, বাধ্য করলে মানুষকে পরীক্ষা করা যেত না। পক্ষান্তরে আল্লাহর এখতিয়ারে তো এ কথা আছে যে, তিনি ইচ্ছা করলে কোন মানুষ শিরক করার কোন ক্ষমতাই রাখত না। (আরো দেখুন, সূরা বাক্বারার ২;২৫৩ নং আয়াতের এবং সূরা আনআমের ৬;৩৫ নং আয়াতের টীকা)

[২] এ বিষয়টাও কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল, নবী করীম (সাঃ)-এর কেবল আহবানকারী এবং বার্তাবাহক হওয়ার মর্যাদাটুকু পরিষ্কার করে দেওয়া; যা রিসালাতের দাবী এবং তাঁর দায়িত্ব কেবল এই পর্যন্তই ছিল। এর বাইরে কোন এখতিয়ার যদি নবী করীম (সাঃ)-এর থাকত, তাহলে তিনি তাঁর প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল চাচাকে অবশ্যই মুসলামান বানিয়ে নিতেন। যার ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন অতীব আগ্রহী।