Skip to main content

আল মুমতাহিনা শ্লোক ১৩

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَوَلَّوْا قَوْمًا غَضِبَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ قَدْ يَىِٕسُوْا مِنَ الْاٰخِرَةِ كَمَا يَىِٕسَ الْكُفَّارُ مِنْ اَصْحٰبِ الْقُبُوْرِ ࣖ   ( الممتحنة: ١٣ )

O you!
يَٰٓأَيُّهَا
ওহে
who!
ٱلَّذِينَ
যারা
believe!
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছ
(Do) not
لَا
না
make allies
تَتَوَلَّوْا۟
তোমতা বন্ধুত্ব করো
(of) a people
قَوْمًا
লোকদের (সংগে)
(The) wrath
غَضِبَ
গযব দিয়েছেন
(of) Allah
ٱللَّهُ
আল্লাহ
(is) upon them
عَلَيْهِمْ
যাদের উপর
Indeed
قَدْ
নিশ্চই
they despair
يَئِسُوا۟
তারা নিরাশ হয়েছে
of
مِنَ
থেকে
the Hereafter
ٱلْءَاخِرَةِ
পরকাল
as
كَمَا
যেমন
despair
يَئِسَ
নিরাশ হয়েছে
the disbelievers
ٱلْكُفَّارُ
কাফিররা
of
مِنْ
থেকে
(the) companions
أَصْحَٰبِ
অধিবাসীদের
(of) the graves
ٱلْقُبُورِ
কবরগু্লো

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করো না আল্লাহ যাদের প্রতি রাগান্বিত। তারা পরকাল সম্পর্কে তেমনি নিরাশ যেমন কবরবাসী কাফিররা নিরাশ (কারণ তারা পরকালকে অবিশ্বাস করার কারণে তার জন্য কোন প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি।)

English Sahih:

O you who have believed, do not make allies of a people with whom Allah has become angry. They have despaired of [reward in] the Hereafter just as the disbelievers have despaired of [meeting] the companions [i.e., inhabitants] of the graves.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ যে সম্প্রদায়ের প্রতি রুষ্ট তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করো না, [১] তারা তো পরকাল সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়েছে, যেমন হতাশ হয়েছে অবিশ্বাসীরা কবরবাসীদের বিষয়ে। [২]

[১] এ থেকে কেউ ইয়াহুদীদের, কেউ মুনাফিকদের এবং কেউ সমস্ত কাফেরদেরকে বুঝিয়েছেন। আর এই শেষের উক্তিটাই বেশী সঠিক মনে হচ্ছে। কেননা, এতে ইয়াহুদী ও মুনাফিকরাও এসে যায়। এ ছাড়া সমস্ত কাফেররা আল্লাহর ক্রোধের শিকার হওয়ারই যোগ্য। অতএব অর্থ হবে, কোন কাফেরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রেখো না। যেমন, কুরআনের আরো কয়েকটি স্থানে এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

[২] পরকাল সম্পর্কে হতাশ হওয়ার অর্থ, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথা অস্বীকার করা। কবরবাসী থেকে নিরাশ হওয়ার অর্থও এটাই যে আখেরাতে পুনরায় তাদেরকে উঠানো হবে না। এর দ্বিতীয় অর্থ এও করা হয়েছে যে, কবরস্থ কাফের সর্বপ্রকার মঙ্গল থেকে নিরাশ। কেননা, মৃত্যুবরণ করার পর সে তার কুফরীর পরিণাম দেখে নিয়েছে। অতএব সে মঙ্গলের কি আর আশা করতে পারে? (ইবনে জারীর ত্বাবারী)