Skip to main content

আল মুমতাহিনা শ্লোক ৮

لَا يَنْهٰىكُمُ اللّٰهُ عَنِ الَّذِيْنَ لَمْ يُقَاتِلُوْكُمْ فِى الدِّيْنِ وَلَمْ يُخْرِجُوْكُمْ مِّنْ دِيَارِكُمْ اَنْ تَبَرُّوْهُمْ وَتُقْسِطُوْٓا اِلَيْهِمْۗ اِنَّ اللّٰهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِيْنَ   ( الممتحنة: ٨ )

Not
لَّا
না
(does) forbid you
يَنْهَىٰكُمُ
তোমাদের নিষেধ করেন
Allah
ٱللَّهُ
আল্লাহ
from
عَنِ
থেকে
those who
ٱلَّذِينَ
তাদের যারা
(do) not
لَمْ
নাই
fight you
يُقَٰتِلُوكُمْ
যুদ্ধ করে তোমাদের সাথে
in
فِى
ব্যাপারে
the religion
ٱلدِّينِ
দ্বীনের
and (do) not
وَلَمْ
এবং নাই
drive you out
يُخْرِجُوكُم
তোমাদের বহিষ্কৃত করে
of
مِّن
থেকে
your homes
دِيَٰرِكُمْ
তোমাদের ঘরগুলোকে
that
أَن
যে
you deal kindly
تَبَرُّوهُمْ
তোমরা তাদের সাথে নেকী কর
and deal justly
وَتُقْسِطُوٓا۟
ও তোমরা ন্যায় বিচার কর
with them
إِلَيْهِمْۚ
তাদের সহিত
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ
loves
يُحِبُّ
ভালোবাসেন
those who act justly
ٱلْمُقْسِطِينَ
ন্যায়বিচারকারিদের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

দীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি, আর তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের ক’রে দেয়নি তাদের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করতে আর ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করতে আল্লাহ নিষেধ করেন নি। আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।

English Sahih:

Allah does not forbid you from those who do not fight you because of religion and do not expel you from your homes – from being righteous toward them and acting justly toward them. Indeed, Allah loves those who act justly.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি[১] এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি,[২] তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না।[৩] নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়-পরায়ণদেরকে ভালবাসেন। [৪]

[১] এখানে এমন কাফেরদের সাথে পার্থিব লেনদেন ও আচার-ব্যবহার বিষয়ক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যারা দ্বীন ইসলামের কারণে মুসলিমদের সাথে বিদ্বেষ ও শত্রুতা রাখে না এবং এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না। এটা প্রথম শর্ত।

[২] অর্থাৎ, তোমাদের সাথে এমন আচরণও করে না যে, তোমরা হিজরত করতে বাধ্য হয়ে যাও। এটা দ্বিতীয় শর্ত। পরের আয়াত থেকে তৃতীয় আর একটি শর্তও পরিষ্কার হয়ে যায়। আর তা হল, তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অন্যান্য কাফেরদেরকে কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতাও করে না; না পরামর্শ দিয়ে, আর না অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে।

[৩] অর্থাৎ, এই ধরনের কাফেরদের সাথে অনুগ্রহ প্রদর্শন এবং সুবিচারপূর্ণ আচরণ করা নিষেধ নয়। যেমন, আসমা বিনতে আবী বাকর (রাঃ) তাঁর মুশরিক মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা সম্পর্কে নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, صِلِىْ أُمَّكِ "তোমার মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার কর।" (বুখারীঃ আদব অধ্যায় ২৬২০নং, মুসলিমঃ যাকাত অধ্যায়ঃ ১০০৩নং)

[৪] এতে ন্যায়পরায়ণতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি, কাফেরদের সাথেও। হাদীস শরীফে ন্যায়পরায়ণ ও সুবিচারকারীদের ফযীলত এইভাবে বর্ণিত হয়েছে, "আল্লাহর নিকট যারা ন্যায়পরায়ণ তারা দয়াময়ের ডান পার্শ্বে জ্যোতির মিম্বরের উপর অবস্থান করবে। আর তাঁর উভয় হস্তই ডান। (ঐ ন্যায়পরায়ণ তারা) যারা তাদের বিচারে, পরিবারে এবং তার কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে ন্যায়নিষ্ঠ।" (মুসলিম ১৮২৭ নং)