Skip to main content

تَعْرُجُ الْمَلٰۤىِٕكَةُ وَالرُّوْحُ اِلَيْهِ فِيْ يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهٗ خَمْسِيْنَ اَلْفَ سَنَةٍۚ  ( المعارج: ٤ )

Ascend
تَعْرُجُ
চড়ে
the Angels
ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
ফেরেশতাগণ
and the Spirit
وَٱلرُّوحُ
ও রূহ(জিবরাঈল)
to Him
إِلَيْهِ
তাকে
in
فِى
মধ্যে
a Day
يَوْمٍ
একদিনের
[is]
كَانَ
[হয়]
its measure
مِقْدَارُهُۥ
তার পরিমাপ
(is) fifty
خَمْسِينَ
পঞ্চাশ (হয়)
thousand
أَلْفَ
হাজার
year(s)
سَنَةٍ
বছর

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ফেরেশতা এবং রূহ (অর্থাৎ জিবরীল) আল্লাহর দিকে আরোহণ করে এমন এক দিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।

English Sahih:

The angels and the Spirit [i.e., Gabriel] will ascend to Him during a Day the extent of which is fifty thousand years.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয়[১] এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। [২]

[১] 'রূহ' বলতে জিবরীল (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। তাঁর মর্যাদা অতীব মহান বিধায় পৃথকভাবে বিশেষ করে তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে। নচেৎ তিনিও ফিরিশতাদেরই অন্তর্ভুক্ত। অথবা 'রূহ' বলতে মানুষের আত্মাসমূহকে বুঝানো হয়েছে, যা মৃত্যুর পর আসমানের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, যেমন হাদীসের কোন কোন বর্ণনায় এসেছে।

[২] এই দিনের সংখ্যা নির্দিষ্টীকরণের ব্যাপারে বহু মতভেদ রয়েছে; যেমন সূরা সিজদার শুরুতে আলোচনা করেছি। এখানে ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) চারটি উক্তি উল্লেখ করেছেন। প্রথম উক্তি হল, এ থেকে মহা আরশ থেকে সপ্ত যমীন (সর্বনিম্ন পাতাল) পর্যন্ত যে দূরত্ব ও ব্যবধান তার পরিমাপ বুঝানো হয়েছে। আর তা হল ৫০ হাজার বছরের পথ। দ্বিতীয় উক্তি হল, পৃথিবীর সর্বমোট বয়স। অর্থাৎ, পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে নিয়ে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত মোট সময় হল ৫০ হাজার বছর। এর মধ্য হতে কতকাল অতিবাহিত হয়েছে এবং কতকাল অবশিষ্ট আছে, তা একমাত্র মহান আল্লাহই জানেন। তৃতীয় উক্তি হল, এটা হল দুনিয়া ও আখেরাতের মধ্যেকার পার্থক্যসূচক একটি দিনের পরিমাণ। চতুর্থ উক্তি হল, এটা হল কিয়ামতের দিনের পরিমাণ। অর্থাৎ, কাফেরদের উপর হিসাবের এই দিনটি ৫০ হাজার বছরের মত ভারী হবে। কিন্তু মু'মিনদের জন্য দুনিয়ায় এক ওয়াক্ত ফরয নামায আদায় করার থেকেও সংক্ষিপ্ত মনে হবে। (আহমদ ৩/৭৫, হাদীসটি সহীহ নয়। সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে, মুমিনদের জন্য কিয়ামতের দিন যোহর থেকে আসর পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ লম্বা হবে। দেখুনঃ সহীহুল জামে' ৮১৯৩নং -সম্পাদক) ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) এই উক্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কেননা, হাদীসসমূহ থেকেও এর সমর্থন পাওয়া যায়। যেমন একটি হাদীসে এসেছে যে, যারা যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তাদেরকে যে শাস্তি দেওয়া হবে, তার বিস্তারিত আলোচনা করে নবী (সাঃ) বলেছেন, "যে পর্যন্ত না আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের মাঝে ফায়সালা করবেন এমন দিনে, যার পরিমাণ তোমাদের গণনানুযায়ী ৫০ হাজার বছরের হবে।" (মুসলিমঃ যাকাত অধ্যায়) এই ব্যাখ্যানুযায়ী في يومٍ 'ফী ইয়াওমিন' এর সম্পর্ক হবে عَذَاب এর সাথে। অর্থাৎ, সংঘটনশীল সেই আযাব কিয়ামতের দিন হবে, যা কাফেরদের উপর ৫০ হাজার বছরের মত ভারী হবে।