আদ-দাহর আয়াত ১৩

সেখানে তারা হেলান দিয়ে আসীন থাকবে সুসজ্জিত আসনে, তারা সেখানে খুব গরম অথবা খুব শীত দেখবে না [১] ।

[১] কারণ খুব গরম ও খুব শীত তো জাহান্নাম থেকে নিৰ্গত হয়। জান্নাতবাসীরা সেটা কোনক্রমেই পাবে না। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করল যে, হে রব! আমার একাংশ (গরম অংশ) অপর অংশ (ঠাণ্ডা অংশ) কে শেষ করে দিল। তখন তাকে দু’টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেয়া হলো। একটি শীতকালে অপরটি গ্ৰীষ্মকালে। সেটাই তা তোমরা কঠিন গরম আকারে গ্ৰীষ্মকালে পাও এবং কঠিন শীত আকারে শীতকালে অনুভব কর।” [বুখারী; ৩২৬০, মুসলিম; ৬১৭]

তারা সেখানে সুউচ্চ আসনে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে। তারা সেখানে না দেখবে অতিশয় গরম, আর না অত্যধিক শীত।

তারা সেখানে সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে রৌদ্র ও শৈত্য অনুভব করবে না।

তারা সেখানে সমাসীন থাকবে রাজকীয় আসনে, তারা সেখানে দেখতে পাবে না সূর্যোত্তাপ, না কোনো কনকনে ঠান্ডা,

তারা তাতে (জান্নাতে) আরামদায়ক উচ্চ আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, যেখানে তারা কোন রোদ-তাপ বোধ করবে না এবং অতিশয় শীতও না।

সেখানে তারা সমাসীন হবে সুসজ্জিত আসনে, তারা সেখানে অতিশয় গরম ও অতিশয় শীত অনুভব করবেনা।

Please check ayah 76:22 for complete tafsir.

তারা সেখানে গদির ওপর হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে তারা সূর্য (সূর্যের প্রচণ্ড তাপ) কিংবা তী\ ঠাণ্ডা দেখতে পাবে না।

১৩. তারা তথায় সুসজ্জিত পালঙ্কে হেলান দিয়ে থাকবে। তারা সে জান্নাতে কষ্টদায়ক সূর্যের কিরণ কিংবা কঠিন শীতল জাতীয় কোন কিছুই দেখতে পাবে না। বরং তারা স্থায়ী ছায়াতলে থাকবে। যথায় না কোন ঠাÐা থাকবে। আর না কোন গরম থাকবে। তথা তা হবে মূলতঃ নাতিশীতোষ্ণ।

Please check ayah 76:22 for complete tafsir.