সেখানে তারা অসার বাক্য শুনবে না [১] ,
[১] অর্থাৎ জান্নাতে জান্নাতীরা কোন অসার ও মর্মন্তদ কথাবার্তা শুনতে পাবে না। মিথ্যা, কুফরী কথাবার্তা, গালিগালাজ, অপবাদ ও পীড়াদায়ক কথাবার্তা সবই এর অন্তর্ভুক্ত। অন্য আয়াতে বলা বলা হয়েছে,
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا إِلَّا سَلَامًا ۖ وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيهَا بُكْرَةً وَعَشِيًّا
“সেখানে তারা ‘শান্তি’ ছাড়া কোন অসার বাক্য শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্য থাকবে জীবনোপকরণ।” [সূরা মারইয়াম; ৬২] আরও এসেছে,
لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا
“সেখানে তারা শুনবে না কোন অসার বা পাপবাক্য,” [সূরা আল-ওয়াকি‘আহ; ২৫] আরও বলা হয়েছে,
لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
“সেখানে তারা শুনবে না অসার ও মিথ্যা বাক্য” [সূরা আন-নাবা; ৩৫] এ থেকে জানা গেল যে, দোষারোপ ও অশালীন কথাবার্তা খুবই পীড়াদায়ক। তাই জান্নাতীদের অবস্থায় একে গুরুত্ব সহকারে বর্ণনা করা হয়েছে।