Skip to main content

فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِ ۗوَنُفَصِّلُ الْاٰيٰتِ لِقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ   ( التوبة: ١١ )

fa-in
فَإِن
But if
অতঃপর যদি
tābū
تَابُوا۟
they repent
তারা তওবা করে
wa-aqāmū
وَأَقَامُوا۟
and establish
ও প্রতিষ্ঠা করে
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
the prayer
সালাত
waātawū
وَءَاتَوُا۟
and give
ও আদায় করে
l-zakata
ٱلزَّكَوٰةَ
the zakah
যাকাত
fa-ikh'wānukum
فَإِخْوَٰنُكُمْ
then (they are) your brothers
তবে তোমাদের ভাই
فِى
in
ভিত্তিতে
l-dīni
ٱلدِّينِۗ
[the] religion
দীনের
wanufaṣṣilu
وَنُفَصِّلُ
And We explain in detail
এবং আমরা বিস্তারিত বর্ণনা করছি
l-āyāti
ٱلْءَايَٰتِ
the Verses
বিধানাবলী
liqawmin
لِقَوْمٍ
for a people
সম্প্রদায়ের জন্যে
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
(who) know
(যারা) জ্ঞান রাখে

Fa in taaboo wa aqaamus Salaata wa aatawuz Zakaata fa ikhwaanukum fid deen; wa nufassilul Aayaati liqawminy ya'lamoon (at-Tawbah ৯:১১)

English Sahih:

But if they repent, establish prayer, and give Zakah, then they are your brothers in religion; and We detail the verses for a people who know. (At-Tawbah [9] : 11)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

এখন যদি তারা তাওবাহ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য আমি স্পষ্ট করে নিদর্শন বলে দিলাম। (আত তাওবাহ [৯] : ১১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অতঃপর তারা যদি তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে ও যাকাত দেয়, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। [১] আর জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমি নিদর্শনসমূহ স্পষ্টরূপে বিবৃত করি।

[১] নামায হল তাওহীদ ও রিসালতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করার পর ইসলামের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যা আল্লাহর হক। তাতে আল্লাহর ইবাদতের বিভিন্ন দিক রয়েছে। এতে রয়েছে হাত বেঁধে কিয়াম, রুকূ ও সিজদা। এতে রয়েছে দু'আ ও মুনাজাত, আল্লাহর বড়ত্ব ও মহিমা এবং নিজের মিনতি ও অসহায়তার প্রকাশ। ইবাদতের এই সমস্ত প্রকার ও ধরন কেবল আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। নামাযের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও ফরযকৃত রুকন হল যাকাত। যাতে আল্লাহর ইবাদতের সাথে সাথে বান্দারও হক শামিল রয়েছে। যাকাতের অর্থ দ্বারা সমাজের ও বিশেষ করে যাকাতদাতার আত্মীয় গরীব-মিসকীন ও অক্ষম লোকদের প্রয়োজন মিটে থাকে। এই জন্য হাদীসে দুই সাক্ষ্য দানের পর উক্ত দু'টি বিষয়কে পরিষ্কার করে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী (সাঃ) বলেছেন, "আমাকে আদেশ করা হয়েছে যে, লোকদের বিরুদ্ধে আমি যেন ততক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সাক্ষী দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রসূল। আর নামায কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে।" (বুখারী ঈমান অধ্যায়, মুসলিম ঈমান অধ্যায়) আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ বলেছেন, 'যে ব্যক্তি যাকাত প্রদান করে না, তার নামাযও গ্রহণযোগ্য নয়।' (ঐ)