Skip to main content

وَاِنْ نَّكَثُوْٓا اَيْمَانَهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوْا فِيْ دِيْنِكُمْ فَقَاتِلُوْٓا اَىِٕمَّةَ الْكُفْرِۙ اِنَّهُمْ لَآ اَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُوْنَ   ( التوبة: ١٢ )

wa-in
وَإِن
And if
আর যদি
nakathū
نَّكَثُوٓا۟
they break
তারা ভঙ্গ করে
aymānahum
أَيْمَٰنَهُم
their oaths
তাদের শপথ
min
مِّنۢ
after
থেকে
baʿdi
بَعْدِ
after
পর
ʿahdihim
عَهْدِهِمْ
their treaty
তাদের চুক্তির
waṭaʿanū
وَطَعَنُوا۟
and defame
ও বিদ্রূপ করে
فِى
[in]
সম্পর্কে
dīnikum
دِينِكُمْ
your religion
তোমাদের দীনের
faqātilū
فَقَٰتِلُوٓا۟
then fight
তখন তোমরা লড়াই করো
a-immata
أَئِمَّةَ
the leaders
নেতৃবৃন্দের (বিরুদ্ধে)
l-kuf'ri
ٱلْكُفْرِۙ
(of) [the] disbelief
অবিশ্বাসের
innahum
إِنَّهُمْ
indeed, they
নিশ্চয়ই তারা (এমন যে)
لَآ
no
নেই(বিশ্বাস)
aymāna
أَيْمَٰنَ
oaths
শপথ
lahum
لَهُمْ
for them
তাদের কাছে
laʿallahum
لَعَلَّهُمْ
so that they may
(এরূপ আচরণে)সম্ভবতঃ তারা
yantahūna
يَنتَهُونَ
cease
বিরত হবে

Wa in nakasooo aimaanahum mim ba'di 'ahdihim wa ta'anoo fee deenikum faqaatilooo a'immatal kufri innahum laaa aimaana lahum la'allahum yantahoon (at-Tawbah ৯:১২)

English Sahih:

And if they break their oaths after their treaty and defame your religion, then combat the leaders of disbelief, for indeed, there are no oaths [sacred] to them; [fight them that] they might cease. (At-Tawbah [9] : 12)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যদি চুক্তি করার পর তাদের শপথ ভঙ্গ করে আর তোমাদের দীনের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে, তাহলে কাফিরদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লড়াই কর, শপথ বলে কোন জিনিস তাদের কাছে নেই, (কাজেই শক্তি প্রয়োগ কর) যাতে তারা (শয়ত্বানী কার্যকলাপ থেকে) নিবৃত্ত হয়। (আত তাওবাহ [৯] : ১২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর তারা যদি তাদের চুক্তির পর তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ও তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে খোঁটা দেয়, তাহলে অবিশ্বাসীদের নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। এরা এমন লোক যাদের কোনই চুক্তি (বা কসম) নেই। [১] সম্ভবতঃ তারা নিরস্ত হতে পারে।

[১] أيمان শব্দটি يمين এর বহুবচন। যার অর্থ হল কসম। أئمة শব্দটি إمام শব্দের বহুবচন, অর্থঃ নেতা বা লিডার। উদ্দেশ্য হল, যদি এই সব লোকেরা অঙ্গীকার বা চুক্তি ভঙ্গ করে ফেলে আর দ্বীনের ব্যাপারে খোঁটা মারে, তাহলে প্রকাশ্যভাবে এরা কসম খেলেও এদের কসমের কোন মূল্য নেই। বরং কাফেরদের ঐ নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে লড়াই কর। সম্ভবতঃ এর ফলে তারা কুফর থেকে ফিরে আসবে। এ থেকে হানাফী উলামাগণ দলীল গ্রহণ করে প্রমাণ করেন যে, যিম্মী (ইসলামী দেশে অবস্থানকারী অমুসলিম) যদি চুক্তি ভঙ্গ না করে দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে খোঁটা দেয় বা কুমন্তব্য করে, তাহলে তাদেরকে হত্যা করা হবে না। কেননা, কুরআন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দু'টি শর্ত উল্লেখ করেছে। অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই দু'টি শর্ত পাওয়া যাবে তাদেরকে হত্যা করা হবে না। কিন্তু ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম শাফেয়ী (রঃ) এবং অন্যান্য উলামাগণ দ্বীনের ব্যাপারে খোঁটা দেওয়া বা নিন্দা গাওয়াকে চুক্তি ভঙ্গ করা বলে গণ্য করেছেন। এই জন্য তাঁদের নিকটে দু'টি শর্তই একত্রিত হয়। অতএব এই প্রকার যিম্মী ব্যক্তিকে হত্যা করা (মুসলিম সরকারের জন্য) বৈধ; যেমন বৈধ চুক্তি ভঙ্গকারীকেও হত্যা করা। (ফাতহুল ক্বাদীর)