وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ مَا جَاۤءَتْهُمُ الْبَيِّنَةُ ۗ ( البينة: ٤ )
Wa maa tafarraqal lazeena ootul kitaaba il-la mim b'adi ma jaa-at humul baiyyinah (al-Bayyinah ৯৮:৪)
English Sahih:
Nor did those who were given the Scripture become divided until after there had come to them clear evidence. (Al-Bayyinah [98] : 4)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের মাঝে বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছিল তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর। (বাইয়্যিনাহ [৯৮] : ৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা তো বিভক্ত হল তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরও।[১]
[১] অর্থাৎ, আহলে কিতাব নবী (সাঃ)-এর আগমনের পূর্বেই তারা একতাবদ্ধ ছিল। পরিশেষে তাঁর আগমন ঘটল, অতঃপর তারা দলে দলে বিভক্ত হল। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক ঈমান আনল। কিন্তু অধিকাংশ লোক ঈমান হতে বঞ্চিত থেকে গেল। নবী (সাঃ)-এর আগমন এবং রিসালাতকে দলীল বা সুস্পষ্ট প্রমাণ বলে অভিহিত করার রহস্য এই যে, তাঁর সত্যতা সুস্পষ্ট ছিল; যা অস্বীকার করার কোন অবকাশ ছিল না। কিন্তু তারা (ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানরা) নবী (সাঃ)-কে কেবল হিংসা ও হঠকারিতা বশে মিথ্যাজ্ঞান করেছিল। এই কারণেই দলে দলে যারা বিভক্ত হয়েছিল, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র 'আহলে কিতাবে'র নাম এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ অন্যান্যরাও এ কাজে পতিত হয়েছিল। যেহেতু এরা ছিল শিক্ষিত লোক এবং নবী (সাঃ)-এর আগমন ও গুণাবলীর উল্লেখ তাদের কিতাবেও বিদ্যমান ছিল।