Skip to main content

فَكَفٰى بِاللّٰهِ شَهِيْدًاۢ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ اِنْ كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغٰفِلِيْنَ   ( يونس: ٢٩ )

So sufficient
فَكَفَىٰ
অতএব যথেষ্ট
(is) Allah
بِٱللَّهِ
আল্লাহই
(as) a witness
شَهِيدًۢا
সাক্ষী হিসেবে
between us
بَيْنَنَا
মাঝে আমাদের
and between you
وَبَيْنَكُمْ
ও মাঝে তোমাদের
that
إِن
নিশ্চয়ই
we were
كُنَّا
আমরা ছিলাম
of
عَنْ
হতে
your worship
عِبَادَتِكُمْ
উপাসনা তোমাদের
certainly unaware
لَغَٰفِلِينَ
অবশ্যই উদাসীন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

এখন আল্লাহই আমাদের আর তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট, আমরা তোমাদের ‘ইবাদাতের ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর ছিলাম।’

English Sahih:

And sufficient is Allah as a witness between us and you that we were of your worship unaware."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

বস্তুতঃ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে আল্লাহই সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট যে, আমরা অবশ্যই তোমাদের উপাসনা সম্বন্ধে উদাসীন ছিলাম।’ [১]

[১] তারা বলবে, আমাদের অস্বীকার করার কারণ হল যে, তোমরা কি করতে আমরা তো তার কিছুই জানতাম না। আর আমরা যদি মিথ্যা বলি, তাহলে আমাদের মাঝে আল্লাহ সাক্ষী আছেন এবং সাক্ষ্যের জন্য তিনি যথেষ্ট। তাঁর সাক্ষ্য দানের পর আর কোন প্রমাণের কোন প্রয়োজনই নেই। উক্ত আয়াত এই কথার স্পষ্ট দলীল যে, মুশরিকরা যাদেরকে সাহায্যের জন্য ডাকত, তা শুধু পাথরের মূর্তিই ছিল না (যেমন বর্তমান যুগের কবর পূজারীরা তাদের কবর পূজাকে বৈধ প্রমাণ করার জন্য বলে থাকে যে, এই ধরনের আয়াত মূর্তিপূজা সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে); বরং তাদের জ্ঞান ও বুঝার শক্তি ছিল। তাদের মৃত্যুর পর মানুষ তাদের আকার ও মূর্তি বানিয়ে পূজা আরম্ভ করেছিল; যেমন নূহ (আঃ)-এর জাতির কর্ম-পদ্ধতি প্রমাণ করে এবং সহীহ বুখারীতে যার বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। দ্বিতীয়তঃ এটাও বুঝা যাচ্ছে যে, মানুষ যতই নেক হোক, এমনকি নবী বা রসূল হোক, মৃত্যুর পর সে পৃথিবীর অবস্থা সম্পর্কে বেখবর। তার অনুসারী ও বিশ্বাসীরা তাকে সাহায্যের জন্য ডাকে, তার নামে নযর-নিয়ায পেশ করে, তার কবরে মেলা-খেলার ব্যবস্থা করে, অথবা অন্য কিছু করে, সে কিন্তু এসব কর্ম থেকে বেখবর থাকে। এই শ্রেণীর সকল ব্যক্তিরা কিয়ামতের দিন সব অস্বীকার করবে। এই কথাই সূরা আহক্বাফের ৪৬;৫-৬নং আয়াতেও বর্ণনা করা হয়েছে।