হুদ আয়াত ৪
اِلَى اللّٰهِ مَرْجِعُكُمْ ۚوَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ( هود: ٤ )
Ilal laahi marji'ukum wa Huwa 'alaa kulli shai'in Qadeer (Hūd ১১:৪)
English Sahih:
To Allah is your return, and He is over all things competent." (Hud [11] : 4)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমাদের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর কাছেই, আর তিনি সব কিছুই করতে সক্ষম। (হুদ [১১] : ৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আল্লাহরই নিকট তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে এবং তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
আল্লাহ্রই কাছে তোমাদের ফিরে যাওয়া এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
3 Tafsir Bayaan Foundation
আল্লাহর নিকটই তোমাদের প্রত্যাবর্তন এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল।
4 Muhiuddin Khan
আল্লাহর সান্নিধ্যেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
5 Zohurul Hoque
''আল্লাহ্রই কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন, আর তিনি সব-কিছুর উপরে সর্বশক্তিমান।’’
6 Mufti Taqi Usmani
আল্লাহরই কাছে তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে এবং তিনি সর্ববিষয়ে শক্তিমান।
7 Mujibur Rahman
আল্লাহরই নিকট তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে এবং তিনি প্রত্যেক বস্তুর উপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন।
8 Tafsir Fathul Mazid
নামকরণ ও গুরুত্ব:
সূরার ৫০ থেকে ৬০ নং আয়াত পর্যন্ত আদ জাতি ও তাদের কাছে প্রেরিত নাবী হূদ (عليه السلام) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এই সূরাতেও সে সকল জাতির কথা আলোচনা করা হয়েছে; যারা আল্লাহ তা‘আলার আয়াত ও পয়গম্বরদেরকে মিথ্যা মনে করে আল্লাহ তা‘আলার আযাবের সম্মুখীন হয়েছিল। ইতিহাসের পাতা থেকে হয় ভুল অক্ষরের মত মিটিয়ে দেয়া হয়েছে অথবা ইতিহাসের পাতায় শিক্ষাস্বরূপ লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। এ কারণেই হাদীসে এসেছে: একদা আবূ বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার আপনাকে বৃদ্ধ মনে হচ্ছে কেন? নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উত্তরে বললেন: সূরা হূদ, ওয়াকিয়া, আম্মা ইয়াতাসাআলুন (সূরা নাবা) এবং ইযাশশামছু কুওবিরাত (সূরা তাকভীর) ইত্যাদি সূরাগুলো আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে। (তিরমিযী হা: ৩২৯৭, সহীহ)
১-৪ নং আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়::
الٓرٰ (আলিফ-লাম-রা) এ গুলো হচ্ছে “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” বা বিচ্ছিন্ন অক্ষরসমূহ। এসব অক্ষর সূরার শুরুতে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য কী তা আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। যদিও এ ব্যাপারে বিদ্বানগণ বিভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন। ইমাম শানক্বিতী (রহঃ) বলেন: বিদ্বানদের সেসব মতামতের মধ্যে গ্রহণযোগ্য মত হলযে সকল সূরার শুরুতে “হুরূফুল মুক্বাত্বআত” উল্লেখ করা হয়েছে তা কুরআনের মু‘জিযাহ বা অলৌকিকত্ব বুঝানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। কুরআনের এ বিচ্ছিন্ন অক্ষরগুলো একত্রিতভাবে উল্লেখ থাকলেও তার উদ্দেশ্য নিয়ে আসতে সৃষ্টিকুল অক্ষম। এ অক্ষরগুলো যে মু‘জিযাহ স্বরূপ তার প্রমাণ হল যে সকল সূরার শুরুতে এসকল অক্ষর নিয়ে আসা হয়েছে তার পরে পরেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে। যেমন এ সূরার শুরুতে এ অক্ষরগুলো উল্লেখ করার পর বলা হয়েছে: ‘এটা এমন গ্রন্থ যার আয়াতগুলো সুদৃঢ়, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞের পক্ষ থেকে।’
সুতরাং কুরআনের মাঝে দুর্বলতা ধরতে পারলে ধরে নিয়ে আসো। কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত এ চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে আসেনি, অথচ তৎকালীন আরবরা ছিল ভাষা ও সাহিত্যের শীর্ষচূড়ায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার প্রথম আয়াতেও আলোচনা করা হয়েছে।
أُحْكِمَتْ শব্দের শাব্দিক অর্থ-দৃঢ় করা, মজবুত করা। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন: কোন কিতাব তা রহিত করতে পারবে না। যেমন তাওরাত ও ইনজিলকে রহিত করে দিয়েছে। কাতাদাহ বলেন: কুরআনের সকল আয়াতগুলো মুহকাম, তাতে কোন ভ্রান্তি নেই এবং কোন বাতিল কিছু নেই। মোট কথা কুরআনের আয়াতগুলো বিধি-বিধানের দিক থেকে মজবুত, সংবাদের দিক থেকে সত্যবাদী এবং শব্দ বিন্যাস ও অর্থের দিক থেকে কোন প্রকার ত্র“টি নেই।
অতঃপর তাতে আহকাম ও শরঈ বিধি-বিধান, নসীহত ও কাহিনী, আক্বায়েদ ও ঈমান সংক্রান্ত বিষয় এবং চরিত্র ও ব্যবহারনীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলোকে পরিষ্কার ও বিস্তারিতভাবে মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তা‘আলা বর্ণনা করে দিয়েছেন, পূর্ব কিতাবসমূহে এর দৃষ্টান্ত মেলে না। সুতরাং মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তা‘আলা যিনি অগ্র-পশ্চাত সব জানেন তিনি এ কুরআনকে সকল প্রেক্ষাপট ও সময়ের জন্য উপযোগী করে নাযিল করেছেন। কারো বলার সুযোগ নেই, বর্তমান আধুনিক যুগে কুরআন উপযোগী নয়। এ শুধু আধুনিক নয় বরং এর চেয়ে যত বেশি আধুনিক ও অত্যাধুনিক আসুক না কেন তাতেও কুরআন উপযোগী।
অতএব আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ বাণী জ্ঞান ও হিকমত থেকে খালি নয়। আল্লাহ তা‘আলার হিকমত-এর মধ্য থেকে এটাও একটি হিকমত যে, তিনি সকল নাবী-রাসূলকে একই বিধান দিয়ে প্রেরণ করেছেন। আর তাদের সকলের দা‘ওয়াত এটাই ছিল যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলারই ইবাদত কর অন্য কারো ইবাদত করো না এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না। সুতরাং তাঁর কথা অনুপাতে আমল করলেই তোমরা উভয় জগতের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে পারবে। অন্যথায় তোমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আর যদি তোমাদের দ্বারা পাপ হয়ে যায় তাহলে তার জন্য আল্লাহ তা‘আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তাঁর নিকট তাওবাহ কর তাহলে তিনি তোমাদেরকে উত্তম ভোগের বস্তু দান করবেন। এখানে উত্তম ভোগ্য সামগ্রী বলতে দুনিয়ার ভোগ্য সামগ্রীকেই বুঝানো হয়েছে। কারণ যে ব্যক্তি দুনিয়ার বস্তু উপার্জনের মাধ্যমে আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে তার জন্য এই দুনিয়ার সরঞ্জামাদিই উৎকৃষ্ট সরঞ্জামাদিতে পরিণত হবে। কারণ সে আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ অনুসারে তা করেছে।
(وَيُؤْتِ كُلَّ ذِيْ فَضْلٍ فَضْلَه۫)
এই উক্তির ব্যাখ্যায় ইবনু জারীর (রহঃ) ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি কোন ব্যক্তি খারাপ কাজ করে তবে তার জন্য একটি পাপ লিখে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করে তার জন্য দশটি নেকী লিখে দেয়া হয়। মূলত এখানে অনুগ্রহ বলতে এটাই বুঝানো হয়েছে।
আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার কর তবে অবশ্যই তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর সর্বাবস্থায়ই তোমাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার নিকট ফিরে যেতে হবে। সুতরাং অস্বীকার করলে কঠিন দিবসের শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. এই কিতাবের আয়াতগুলো মানুষের উপকারার্থে সুন্দরভাবে বর্ণনা করে দেয়া হয়েছে।
২. মানুষকে দুনিয়াতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাঠানো হয়েছে, সময় শেষ হয়ে গেলে চলে যেতে হবে।
৩. আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ওপর স্নেহপরায়ণ।
৪. মানুষকে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার নিকটই ফিরে যেতে হবে।
৫. কুরআন সকল যুগের উপযোগী একটি আসমানী কিতাব।
9 Fozlur Rahman
আল্লাহর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। আর তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।
10 Mokhtasar Bangla
৪. ওহে মানবজাতি! কিয়ামতের দিন এক আল্লাহর প্রতিই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। যিনি পূত-পবিত্র সকল কিছুর উপরই ক্ষমতাবান। তাকে কোন কিছুই অপারগ করতে পারে না। তথা মৃত্যুর পর তোমাদেরকে জীবিত করা এবং তোমাদের হিসাব গ্রহণ করা ও পুনরুত্থান তাঁকে কখনোই অপারগ করতে পারবে না ।
11 Tafsir Ibn Kathir
হযরত ইকরামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেছেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহকে (সঃ) জিজ্ঞেস করলাম- কোন্ জিনিষে আপনাকে বুড়ো করেছে?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “আমাকে সূরায়ে হুদ, সূরায়ে ওয়াকিয়া, আম্মা-ইয়াতাসাআলুন এবং ওয়া ইযাশ্শামসু কুভ্ভিরাত বুড়ো করে দিয়েছে। (এ হাদীসটি এই সনদে হাফিজ আবু ইয়ালা (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আবু বকর (রাঃ) জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কিসে আপনাকে বৃদ্ধ করে দিলো? “উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আমাকে সূরায়ে হুদ, ওয়াকিয়া, আল-মুরসালাত, আম্মা-ইয়াতাসাআলুন এবং ওয়া ইযাশ্শামসু কুভ্ভিরাত বৃদ্ধ করে ফেলেছে। (এ হাদীসটি এই সনদে বর্ণনা করেছেন ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রঃ)) অন্য বর্ণনায় আছেঃ “সূরায়ে হুদ এবং ওর সঙ্গীয় সূরাগুলি আমাকে বৃদ্ধ করেছে” কোন কোন বর্ণনায় সূরায়ে আল-হাক্কাহ এর কথাও রয়েছে।
১-৪ নং আয়াতের তাফসীর
সূরায়ে বাকারায় হুরূফে হিজার উপর আলোচনা হয়ে গেছে। সুতরাং এখানে তার পুনরাবৃত্তির কোনই প্রয়োজন নেই। তাই الـــرٰ এর উপর আলোকপাত করা হচ্ছে না। আল্লাহর আয়াতগুলি দৃঢ় ও মজবুত। فُصِّلَتْ এর অর্থ হচ্ছে- আকার ও অর্থের দিক দিয়ে এই আয়াতগুলি পূর্ণ। এটা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞাতা আল্লাহর পক্ষ হতে অবতারিত। তিনি কথায় প্রজ্ঞাময় এবং কাজের পরিণাম সম্পর্কে মহাজ্ঞাতা। নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করো না। মহান আল্লাহ বলেন এর পূর্বেও যে কোন রাসূলের কাছে আমি যে ওয়াহী পাঠিয়েছিলাম তা ছিল এটাই- আমি আল্লাহ এক। সুতরাং তোমরা একমাত্র আমারই ইবাদত করো। আমি প্রত্যেক কওমের মধ্যে নবী পাঠিয়ে এই নির্দেশই দিয়েছিলাম- তোমরা শুধু আল্লাহরই ইবাদত করো এবং প্রতিমা-পূজা থেকে দূরে থাকো। আমি (নবী সঃ) আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদেরকে জাহান্নাম থেকে ভয় প্রদর্শন করছি, আবার জান্নাতের সুসংবাদও দিচ্ছি।
সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাফা পাহাড়ের উপর চড়ে কুরায়েশের গোত্রগুলিকে ডাক দিয়ে বলেনঃ “হে কুরায়েশের দল! আমি যদি তোমাদেরকে সংবাদ দেই যে, সকালে তোমাদের উপর শত্রুরা আক্রমণ চালাবে, তবে তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে কি?” সবাই সমস্বরে বলে উঠলো: “আপনি যে কোন দিন মিথ্যা কথা বলেছেন তা তো আমাদের জানা নেই।” তখন তিনি বললেনঃ “তাহলে জেনে রেখো যে, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর কঠিন শাস্তি থেকে ভয় প্রদর্শন করছি।” এ শাস্তি অবশ্যই হবে। সুতরাং এখনও তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তাওবা করে নাও। এরূপ করলে আল্লাহ পাক তোমাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন এবং যে ব্যক্তি অনুগ্রহ লাভের যোগ্য তার প্রতি তিনি অনুগ্রহ করবেন। তিনি দুনিয়াতেও তোমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করবেন এবং আখিরাতেও করবেন। মহান আল্লাহ বলেনঃ “যে কেউই পুরুষ হোক বা নারী হোক, ঈমান আনয়ন করবে, মৃত্যুর পর আমি তাকে পবিত্র জীবনের সাথে উঠাবো।
সহীহ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সা’দকে (রাঃ) বলেনঃ “তুমি যদি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কারো উপর কিছু খরচ কর, তবে অবশ্যই তুমি তার প্রতিদান পাবে, এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর উপর যা খরচ করবে তারও প্রতিদান তুমি প্রাপ্ত হবে।”
وَّ یُؤْتِ كُلَّ ذِیْ فَضْلٍ فَضْلَهٗ মহান আল্লাহর এই উক্তির ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনু জারীর (রঃ) ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন- যে ব্যক্তি খরাপ কাজ করে তার জন্যে একটি পাপ লিখে দেয়া হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ভাল কাজ করে’ তার উপর দশটি পুণ্য লিপিবদ্ধ হয়। দুনিয়ায় যদি একটি খারাপ আমলের শাস্তি প্রদান করা হয়, তবে তার পক্ষে দশটি পুণ্য থেকে যায়। আর যদি দুনিয়ায় তাকে শাস্তি দেয়া না হয় তবে দশটি পুণ্যের মধ্যে মাত্র একটি পুণ্য খোয়া যায় বা নষ্ট হয়, ন’টি পুণ্য তার পক্ষে থেকেই যায়। এরপর বলেন যে, ঐ ব্যক্তি বড়ই ক্ষতিগ্রস্ত যার একটি (পাপ) দশটি (পুণ্যে)-র উপর জয়যুক্ত হয়।
মহান আল্লাহ বলেনঃ আর যদি তোমরা মুখ ফিরাতেই থাকো, তবে তোমাদের জন্যে ভীষণ দিনের শাস্তির আশঙ্কা করি। এটা ঐ ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ তাআ’লার নির্দেশাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। তাকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
আল্লাহ পাকের উক্তিঃ আল্লাহরই নিকট তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। তিনি স্বীয় বন্ধুদের প্রতি ইহসান করতে এবং শত্রুদেরকে শাস্তি দিতে সক্ষম। পুনরায় সৃষ্টি করার উপরও তিনি ক্ষমতাবান। এটা হচ্ছে ভীষণ সতর্কবাণী, যেমন এর পূর্বের বাণী ছিল উৎসাহব্যঞ্জক।