Skip to main content

وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُوْنِيْ بِهٖ ۚفَلَمَّا جَاۤءَهُ الرَّسُوْلُ قَالَ ارْجِعْ اِلٰى رَبِّكَ فَسْـَٔلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَةِ الّٰتِيْ قَطَّعْنَ اَيْدِيَهُنَّ ۗاِنَّ رَبِّيْ بِكَيْدِهِنَّ عَلِيْمٌ   ( يوسف: ٥٠ )

waqāla
وَقَالَ
And said
এবং (এসব শুনে) বললো
l-maliku
ٱلْمَلِكُ
the king
রাজা
i'tūnī
ٱئْتُونِى
"Bring him to me"
"আমার কাছে আসো"
bihi
بِهِۦۖ
"Bring him to me"
তাকে নিয়ে
falammā
فَلَمَّا
But when
অতঃপর যখন
jāahu
جَآءَهُ
came to him
তার কাছে আসলো
l-rasūlu
ٱلرَّسُولُ
the messenger
দূত
qāla
قَالَ
he said
(ইউসুফ) বললো
ir'jiʿ
ٱرْجِعْ
"Return
"তুমি ফিরে যাও
ilā
إِلَىٰ
to
কাছে
rabbika
رَبِّكَ
your lord
তোমার প্রভুর
fasalhu
فَسْـَٔلْهُ
and ask him
অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করো
مَا
what
কি (ছিলো)
bālu
بَالُ
(is the) case
অবস্থা
l-nis'wati
ٱلنِّسْوَةِ
(of) the women
মহিলাদের
allātī
ٱلَّٰتِى
who
যারা
qaṭṭaʿna
قَطَّعْنَ
cut
কেটে ফেলেছিলো
aydiyahunna
أَيْدِيَهُنَّۚ
their hands
তাদের হাতগুলো
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
rabbī
رَبِّى
my Lord
আমার রব
bikaydihinna
بِكَيْدِهِنَّ
of their plot
তাদের ছলনা সম্বন্ধে
ʿalīmun
عَلِيمٌ
(is) All-Knower"
খুব অবহিত"

Wa qaalal maliku'toonee bihee falammaa jaaa'ahur rasoolu qaalar-ji ilaa rabbika fas'alhu maa baalun niswatil laatee qatta'na aydiyahunn; inna Rabbee bikaidihinna 'Aleem (Yūsuf ১২:৫০)

English Sahih:

And the king said, "Bring him to me." But when the messenger came to him, [Joseph] said, "Return to your master and ask him what is the case of the women who cut their hands. Indeed, my Lord is Knowing of their plan." (Yusuf [12] : 50)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

রাজা বলল, ‘তোমরা তাকে (ইউসুফকে) আমার কাছে নিয়ে এসো।’ দূত যখন তার কাছে আসলো তখন ইউসুফ বলল, ‘তোমার প্রভুর কাছে ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, সেই মহিলাদের ব্যাপারটি কী যারা তাদের হাত কেটে ফেলেছিল? আমার প্রতিপালক অবশ্যই তাদের কৌশল সম্পর্কে অবগত।’ (ইউসূফ [১২] : ৫০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

রাজা বলল, ‘তোমরা ইউসুফকে আমার কাছে নিয়ে এস।’[১] সুতরাং যখন দূত তার কাছে উপস্থিত হল, তখন সে বলল, ‘তুমি তোমার প্রভুর কাছে ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞাসা কর, যে মহিলারা তাদের হাত কেটে ফেলেছিল, তাদের অবস্থা কি?[২] আমার প্রতিপালক তাদের ছলনা সম্বন্ধে সম্যক অবগত।’

[১] উদ্দেশ্য এই যে, যখন সেই ব্যক্তি ব্যাখ্যা নিয়ে বাদশার নিকট গেল ও ব্যাখ্যা বর্ণনা করল, তখন সেই ব্যাখ্যা ও ইউসুফ (আঃ)-এর বলা তদবীর শ্রবণ করে বাদশাহ বড় প্রভাবিত হলেন এবং তিনি অনুমান করলেন যে, এই ব্যক্তি, যাঁকে বেশ কিছুদিন থেকে জেলে রাখা হয়েছে, তিনি অসাধারণ জ্ঞান, মর্যাদা ও উচ্চ যোগ্যতার অধিকারী। সুতরাং বাদশাহ তাঁকে দরবারে উপস্থিত করার জন্য আদেশ দিলেন।

[২] ইউসুফ (আঃ) যখন দেখলেন যে, এখন বাদশাহ সম্মান দিতে প্রস্তুত, তখন তিনি এইভাবে শুধু অনুগ্রহের পাত্র হয়ে জেল থেকে বের হওয়া পছন্দ করলেন না। বরং আপন চরিত্রকে উচ্চ এবং নিজের পবিত্রতাকে সাব্যস্ত করাকে প্রাধান্য দিলেন, যাতে পৃথিবীর সামনে তাঁর নির্মল চরিত্র ও সুউচ্চ মর্যাদা পরিষ্ফুটিত হয়ে যায়। কারণ একজন (দায়ী) আল্লাহর পথে আহবানকারীর জন্য এই পবিত্রতা ও মহান চরিত্র খুবই জরুরী।