Skip to main content

نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ نَبَاَهُمْ بِالْحَقِّۗ اِنَّهُمْ فِتْيَةٌ اٰمَنُوْا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنٰهُمْ هُدًىۖ   ( الكهف: ١٣ )

naḥnu
نَّحْنُ
We
আমরা
naquṣṣu
نَقُصُّ
narrate
বর্ণনা করছি
ʿalayka
عَلَيْكَ
to you
তোমার কাছে
naba-ahum
نَبَأَهُم
their story
খবর তাদের
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّۚ
in truth
সঠিক ভাবে
innahum
إِنَّهُمْ
Indeed they (were)
নিশ্চয়ই তারা
fit'yatun
فِتْيَةٌ
youths
যুবক (ছিলো)
āmanū
ءَامَنُوا۟
who believed
ঈমান এনেছিলো
birabbihim
بِرَبِّهِمْ
in their Lord
তাদের রবের উপর
wazid'nāhum
وَزِدْنَٰهُمْ
and We increased them
এবং আমরা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম তাদের
hudan
هُدًى
(in) guidance
পথের দিশা

Nahnu naqussu 'alaika naba ahum bilhaqq; innahum fityatun aamanoo bi Rabbihim wa zidnaahum hudaa (al-Kahf ১৮:১৩)

English Sahih:

It is We who relate to you, [O Muhammad], their story in truth. Indeed, they were youths who believed in their Lord, and We increased them in guidance. (Al-Kahf [18] : 13)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি তাদের সঠিক বৃত্তান্ত তোমার কাছে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক, তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছিল আর আমি তাদের হিদায়াত (ঈমানী চেতনাকে) বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম। (কাহফ [১৮] : ১৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি তোমার কাছে তাদের সঠিক বৃত্তান্ত বর্ণনা করছিঃ তারা ছিল কয়েকজন যুবক,[১] তারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল এবং আমি তাদের সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করেছিলাম ।

[১] সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর এখন বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। এই যুবকদের ব্যাপারে কেউ কেউ বলে, তারা খ্রীষ্টধর্মের অনুসারী ছিল। কেউ বলে, তাদের যুগ হল ঈসা (আঃ)-এর পূর্বের যুগ। হাফেয ইবনে কাসীর এ কথাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, দাকয়ানুস নামে একজন রাজা ছিল। সে লোকদেরকে মূর্তিপূজা করতে এবং তাদের নামে নজরানা পেশ করতে উদ্বুদ্ধ করত। মহান আল্লাহ এই যুবকদের অন্তরে এ কথা প্রক্ষিপ্ত করলেন যে, ইবাদতের যোগ্য তো একমাত্র সেই আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা এবং বিশ্বজাহানের প্রতিপালক। فِتْيَةٌ হল 'জাময়ে কিল্লাত' (স্বল্প সংখ্যাবোধক বহুবচন)। এ (فِتْيَةٌ) থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তারা সংখ্যায় ৯জন ছিল অথবা তার থেকেও কম ছিল। এরা (লোকালয়) থেকে পৃথক হয়ে কোন এক স্থানে এক আল্লাহর ইবাদত করত। ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে তাদের আকীদা তাওহীদের চর্চা হতে লাগল। পরিশেষে রাজার নিকট পর্যন্ত তাদের কথা পৌঁছে গেলে সে তাদেরকে নিজ দরবারে ডেকে এনে ঘটনা জিজ্ঞাসা করল। সেখানে তারা পরিষ্কারভাবে আল্লাহর তাওহীদের কথা বর্ণনা করল। শেষ পর্যায়ে রাজা এবং মুশরিক জাতির ভয়ে নিজেদের দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য লোকালয় থেকে বেরিয়ে এক পাহাড়ের গুহায় গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করল। সেখানে মহান আল্লাহ তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন এবং ৩০৯ বছর পর্যন্ত তারা ঘুমিয়ে থাকল।