Skip to main content

فَوَجَدَا عَبْدًا مِّنْ عِبَادِنَآ اٰتَيْنٰهُ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِنَا وَعَلَّمْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّا عِلْمًا  ( الكهف: ٦٥ )

fawajadā
فَوَجَدَا
Then they found
তখন দু'জনে পেলো
ʿabdan
عَبْدًا
a servant
এক দাসকে
min
مِّنْ
from
মধ্য হ'তে
ʿibādinā
عِبَادِنَآ
Our servants
আমাদের দাসদের
ātaynāhu
ءَاتَيْنَٰهُ
whom We had given
তাকে আমরা দিয়েছিলাম
raḥmatan
رَحْمَةً
mercy
অনুগ্রহ
min
مِّنْ
from
থেকে
ʿindinā
عِندِنَا
Us
আমাদের নিকট
waʿallamnāhu
وَعَلَّمْنَٰهُ
and We had taught him
এবং তাকে আমরা শিখিয়েছিলাম
min
مِن
from
থেকে
ladunnā
لَّدُنَّا
Us
আমাদের
ʿil'man
عِلْمًا
a knowledge
জ্ঞান

Fa wajadaa 'abdam min 'ibaadinaaa aatainaahu Rahmatam min 'indinaa wa 'allamnaahu mil ladunnaa 'ilmaa (al-Kahf ১৮:৬৫)

English Sahih:

And they found a servant from among Our servants [i.e., al-Khidhr] to whom We had given mercy from Us and had taught him from Us a [certain] knowledge. (Al-Kahf [18] : 65)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তখন তারা আমার বান্দাদের এক বান্দাকে পেল, যার প্রতি আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম আর আমার পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছিলাম। (কাহফ [১৮] : ৬৫)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অতঃপর তারা সাক্ষাৎ পেল আমার দাসদের মধ্যে একজনের;[১] যাকে আমি আমার নিকট হতে অনুগ্রহ[২] দান করেছিলাম ও যাকে আমি আমার নিকট হতে শিক্ষা দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান। [৩]

[১] এই দাস বা বান্দা হলেন খাযির। বহু সহীহ হাদীসে সুস্পষ্টভাবে এটা বর্ণিত হয়েছে। 'খাযির'-এর অর্থ সবুজ-শ্যামল। তিনি একদা সাদা যমীনের উপর বসলে, যমীনের সেই অংশটুকু তাঁর নীচে দিয়ে সবুজ হয়ে উঠে। এই কারণেই তাঁর নাম হয়ে যায় 'খাযির'। (বুখারীঃ সূরা কাহ্ফের তাফসীর)

[২] رَحْمَةٌ এর অর্থ কোন কোন মুফাসসির নিয়েছেন বিশেষ অনুগ্রহ যা আল্লাহ তাঁর এই বিশিষ্ট বান্দাকে প্রদান করেছিলেন। তবে অধিকাংশ মুফাস্সির এর অর্থ নিয়েছেন নবুঅত।

[৩] এটা মূসা (আঃ)-এর কাছে যে জ্ঞান ছিল সেই নবুঅত ছাড়াও এমন সৃষ্টিগত বিষয়ের এমন জ্ঞান, যে জ্ঞান দানে মহান আল্লাহ কেবল খাযিরকেই ধন্য করেছিলেন এবং মূসা (আঃ)-এর কাছেও এ জ্ঞান ছিল না। এটাকেই দলীল হিসাবে গ্রহণ করে কোন কোন সুফিপন্থীরা দাবী করে যে, আল্লাহ তাআলা নবী নন এমন কোন কোন লোককে, 'ইলমে লাদুন্নী' (বিশেষ আধ্যাত্মিক জ্ঞান) দানে ধন্য করেন। আর এ জ্ঞান কোন শিক্ষক ছাড়াই কেবল আল্লাহর অপার দয়া ও করুণায় লব্ধ হয় এবং এই 'বাতেনী ইলম' (গুপ্ত জ্ঞান) শরীয়তের বাহ্যিক জ্ঞান -- যা কুরআন ও হাদীস আকারে বিদ্যমান তা -- থেকে ভিন্ন হয়, বরং কখনো কখনো তার বিপরীত ও বিরোধীও হয়। কিন্তু এ দলীল এই জন্য সঠিক নয় যে, তাঁকে যে কিছু বিশেষ জ্ঞান দেওয়া হয়েছিল, সে কথা মহান আল্লাহ নিজেই পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। অথচ অন্য কারো জন্য এ ধরনের কথা বলা হয়নি। যদি এটাকে ব্যাপক করে দেওয়া হয়, তবে প্রত্যেক যাদুকর-ভেল্কিবাজ এই ধরনের দাবী করতে পারে। তাই তো সুফিবাদীদের মাঝে এই দাবী ব্যাপকহারে বিদ্যমান। তবে এই ধরনের দাবীর কোনই মূল্য নেই।