وَاذْكُرْ فِى الْكِتٰبِ مُوْسٰٓىۖ اِنَّهٗ كَانَ مُخْلَصًا وَّكَانَ رَسُوْلًا نَّبِيًّا ( مريم: ٥١ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এ কিতাবে উল্লেখিত মূসার কথা স্মরণ কর, সে ছিল বিশেষভাবে মনোনীত, আর একজন রসূল ও নবী।
English Sahih:
And mention in the Book, Moses. Indeed, he was chosen, and he was a messenger and a prophet.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এই কিতাবে (উল্লিখিত) মূসার কথা বর্ণনা কর, সে ছিল একজন মনোনীত এবং সে ছিল রসূল, নবী।[১]
[১] مُخلَص، مُصطَفى، مُجتَبى، مُختَار চারটি শব্দের অর্থ একই। অর্থাৎ রিসালাত ও নবুঅতের জন্য নির্বাচিত ও মনোনীত ব্যক্তি। রসূল (সংবাদবাহক, দূত) মুরসাল (প্রেরিত)এর অর্থে ব্যবহূত। আর নবীর অর্থঃ যিনি আল্লাহর বাণী মানুষদের নিকট পৌঁছে দেন বা আল্লাহর অহীর সংবাদ দেন। অবশ্য দুয়ের অর্থ প্রায় একই। অর্থাৎ, আল্লাহ যে বান্দাকে মানুষদের পথ প্রদর্শন ও হিদায়াতের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং অহী দ্বারা সম্মানিত করেছেন তাঁকে রসূল বা নবী বলা হয়। প্রাচীন কাল হতে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছে যে, রসূল ও নবীর মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি না? এবং থাকলে তা কি? পার্থক্যকারীগণ সাধারণতঃ বলে থাকেন যে, যাঁকে নতুন শরীয়ত তথা আসমানী কিতাব দান করা হয়েছে তাঁকে রসূল ও নবী দুই বলা হয়। কিন্তু যিনি পূর্ববতী শরীয়ত মোতাবেক মানুষদের কাছে আল্লাহর দ্বীনের কথা পৌঁছে দেন, তাঁকে নবী বলা হয়; রসূল নয়। তা সত্ত্বেও কুরআনে উভয় শব্দই একটি অন্যের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কোথাও পাশাপাশি পৃথক পৃথক অর্থেও ব্যবহার হয়েছে। যেমন (সূরা হাজ্জ ২২;৫২ আয়াত) দেখুন।