Skip to main content

وَمِنْهُمْ مَّنْ يَّقُوْلُ رَبَّنَآ اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ   ( البقرة: ٢٠١ )

wamin'hum
وَمِنْهُم
And from those
এবং তাদের মধ্যে (এমনও আছে)
man
مَّن
who
যারা
yaqūlu
يَقُولُ
say
বলে
rabbanā
رَبَّنَآ
"Our Lord!
হে আমাদের রব
ātinā
ءَاتِنَا
Grant us
আমাদের দাও
فِى
in
মধ্যে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
the world
(এই) পৃথিবীর
ḥasanatan
حَسَنَةً
good
কল্যাণ
wafī
وَفِى
and in
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
the Hereafter
আখেরাতের মধ্যে
ḥasanatan
حَسَنَةً
good
কল্যাণ
waqinā
وَقِنَا
and save us
এবং আমাদের বাঁচাও
ʿadhāba
عَذَابَ
(from the) punishment
শাস্তি (হতে)
l-nāri
ٱلنَّارِ
(of) the Fire"
দোজখের আগুনের

Wa minhum mai yaqoolu rabbanaaa aatina fid dunyaa hasanatawn wa fil aakhirati hasanatanw wa qinaa azaaban Naar (al-Baq̈arah ২:২০১)

English Sahih:

But among them is he who says, "Our Lord, give us in this world [that which is] good and in the Hereafter [that which is] good and protect us from the punishment of the Fire." (Al-Baqarah [2] : 201)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

লোকেদের মধ্যে কিছু লোক এমন আছে, যারা বলে থাকে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে রক্ষা কর। (আল বাকারা [২] : ২০১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

পক্ষান্তরে তাদের মধ্যে (এমন কিছু লোক আছে) যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর [১] এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে দোযখ-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’

[১] অর্থাৎ, ভাল কাজ করার তাওফীক দান কর। অর্থাৎ, ঈমানদাররা দুনিয়াতেও দুনিয়া চায় না, বরং নেকীর কাজের তাওফীক কামনা করে। নবী করীম (সাঃ) খুব বেশী বেশী এই দু'আটি পড়তেন। তাওয়াফ করাকালীন অনেক লোকে প্রত্যেক চক্করে পৃথক পৃথক দু'আ পড়ে থাকে, যা মনগড়া দু'আ। এই দু'আগুলোর পরিবর্তে তাওয়াফের সময় রুকনে ইয়ামানী এবং হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে 'রাববানা আ-তিনা ফিদ্দুনয়া হাসানাহ---' পড়া সুন্নত।

(প্রকাশ থাকে যে, আলোচ্য আয়াতে 'ইহকালের কল্যাণ'-এর তাৎপর্যে একাধিক তফসীর বর্ণিত হয়েছে; যেমনঃ পুণ্যময়ী স্ত্রী, ইবাদত, ইলম ও ইবাদত, মাল-ধন, নিরাপত্তা, প্রশস্ত রুযী, নেয়ামত বা সম্পদ ইত্যাদি। সুতরাং এর অর্থ ব্যাপক রাখাই বাঞ্ছনীয়। পক্ষান্তরে পরকালের সাথে ইহকালের সুখ-শান্তি চাওয়াও দোষাবহ নয়। আসলে কিছু লোক কেবল ইহকালের সুখই কামনা করে; কিন্তু মুসলিম কামনা করে ইহ-পরকাল উভয়ের সুখ। -সম্পাদক)