Skip to main content

وَلَهٗ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ وَمَنْ عِنْدَهٗ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِهٖ وَلَا يَسْتَحْسِرُوْنَ ۚ  ( الأنبياء: ١٩ )

And to Him (belongs)
وَلَهُۥ
এবং তাঁরই (রয়েছে)
whoever
مَن
যা কিছু
(is) in
فِى
মধ্যে আছে
the heavens
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশমন্ডলীর
and the earth
وَٱلْأَرْضِۚ
এবং পৃথিবীর
And (those) who
وَمَنْ
এবং যারা আছে
(are) near Him
عِندَهُۥ
তাঁর কাছে
not
لَا
না
they are arrogant
يَسْتَكْبِرُونَ
তারা অহংকার বশে বিরত থাকে
to
عَنْ
থেকে
worship Him
عِبَادَتِهِۦ
তাঁর ইবাদাত
and not
وَلَا
আর না
they tire
يَسْتَحْسِرُونَ
তারা পরিশ্রান্ত হয়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা তাঁরই মালিকানাধীন, আর যারা তাঁর সন্নিকটে আছে তারা গর্বভরে তাঁর ‘ইবাদাত থেকে বিমুখ হয় না, আর তারা (কক্ষনো তাঁর ‘ইবাদাত করার ব্যাপারে) ক্লান্তিবোধ করে না।

English Sahih:

To Him belongs whoever is in the heavens and the earth. And those near Him [i.e., the angels] are not prevented by arrogance from His worship, nor do they tire.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তাঁরই মালিকানাধীন;[১] আর তাঁর সান্নিধ্যে যারা আছে[২] তারা তাঁর উপাসনা করতে অহংকার করে না এবং ক্লান্তি বোধও করে না।

[১] অর্থাৎ, সকলেই তাঁর অধীনস্থ দাস বা মালিকানাভুক্ত গোলাম, সুতরাং যখন তোমরাই কোন দাসকে নিজের পুত্র এবং কোন দাসীকে নিজের স্ত্রী রূপে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নও, তাহলে মহান আল্লাহ নিজের অধীনস্থ দাস-দাসীদের মধ্যে হতে কাউকে পুত্র এবং কাউকে স্ত্রী রূপে কিভাবে গ্রহণ করতে পারেন?

[২] এখানে ফিরিশতাদের বুঝানো হয়েছে। তাঁরাও আল্লাহর দাস বা বান্দা। এই বাক্য দ্বারা তাঁদের সম্মান, মর্যাদা প্রকাশ পাচ্ছে যে, তাঁরা আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত, তাঁরা তাঁর কন্যা নয়; যেমন মুশরিকরা বিশ্বাস করে।