Skip to main content

وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْـًٔاۗ وَاِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَيْنَا بِهَاۗ وَكَفٰى بِنَا حَاسِبِيْنَ   ( الأنبياء: ٤٧ )

wanaḍaʿu
وَنَضَعُ
And We set
এবং স্থাপন করবো আমরা
l-mawāzīna
ٱلْمَوَٰزِينَ
the scales
মানদন্ডসমূহ
l-qis'ṭa
ٱلْقِسْطَ
(of) the justice
ন্যায়ের
liyawmi
لِيَوْمِ
for (the) Day
জন্য দিনের
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
(of) the Resurrection
ক্বিয়ামাতের
falā
فَلَا
so not
ফলে না
tuẓ'lamu
تُظْلَمُ
will be wronged
অবিচার করা হবে
nafsun
نَفْسٌ
any soul
কাউকে
shayan
شَيْـًٔاۖ
(in) anything
কিছুমাত্রও
wa-in
وَإِن
And if
এবং যদি
kāna
كَانَ
(there) be
হয় (কৃতকর্ম)
mith'qāla
مِثْقَالَ
weight
পরিমাণও
ḥabbatin
حَبَّةٍ
(of) a seed
একদানা
min
مِّنْ
of
থেকে
khardalin
خَرْدَلٍ
a mustard
সরিষার
ataynā
أَتَيْنَا
We will bring
আমরা আসবো
bihā
بِهَاۗ
[with] it
তাকে নিয়ে (সামনে)
wakafā
وَكَفَىٰ
And sufficient
এবং যথেষ্ট
binā
بِنَا
(are) We
আমরাই
ḥāsibīna
حَٰسِبِينَ
(as) Reckoners
হিসাবগ্রহণকারীরূপে

Wa nada'ul mawaazeenal qista li Yawmil Qiyaamati falaa tuzlamu nafsun shai'aa; wa in kaana misqaala habbatim min khardalin atainaa bihaa; wa kafaa binaa haasibeen (al-ʾAnbiyāʾ ২১:৪৭)

English Sahih:

And We place the scales of justice for the Day of Resurrection, so no soul will be treated unjustly at all. And if there is [even] the weight of a mustard seed, We will bring it forth. And sufficient are We as accountant. (Al-Anbya [21] : 47)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর কিয়ামাত দিবসে আমি সুবিচারের মানদন্ড স্থাপন করব, অতঃপর কারো প্রতি এতটুকুও অন্যায় করা হবে না। (কর্ম) সরিষার দানা পরিমাণ হলেও তা আমি হাযির করব, হিসাব গ্রহণে আমিই যথেষ্ট। (আম্বিয়া [২১] : ৪৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

কিয়ামত দিবসে আমি স্থাপন করব ন্যায় বিচারের দাঁড়িপাল্লাসমূহ; সুতরাং কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না। কর্ম যদি সরিষার দানা পরিমাণ ওজনের হয়, তবুও তা আমি উপস্থিত করব। আর হিসাব গ্রহণকারীরূপে আমিই যথেষ্ট। [১]

[১] مَوَازِين শব্দটি مِيزان এর বহুবচন। এর অর্থঃ দাঁড়িপাল্লাসমূহ। কিয়ামতের দিন পাপ-পুণ্য ওজন করার জন্য কয়েকটি দাঁড়িপাল্লা হবে, নতুবা দাঁড়িপাল্লা তো একটিই হবে, তবে ওর বিশেষ মহত্তের জন্য বা বিভিন্ন ধরনের আমলের দিকে লক্ষ্য রেখে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষের আমল ও কর্মসমূহ অতীন্দ্রীয়, তা ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য ও অনুভূত নয়, তার বাহ্যিক কোন রূপ বা অস্তিতত্ত্ব নেই, তাহলে তার ওজন কিভাবে সম্ভব? আধুনিক যুগে এই প্রশ্নের কোন গুরুত্ব নেই। যেহেতু বর্তমানে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এ প্রশ্নের উত্তর সহজ করে দিয়েছে। বর্তমানে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের সাহায্যে নিরাকার তথা ওজনহীন বস্তুও ওজন করা যাচ্ছে। যখন মানুষের দ্বারা এটা সম্ভব তখন মহান আল্লাহর জন্য আকারহীন বা ওজনহীন অশরীরী জিনিসকে ওজন করা কেমন করে কঠিন হতে পারে? তাঁর মহিমা হল, তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। এ ছাড়া এও হতে পারে যে, (ন্যায়-বিচার করতে) মানুষকে দেখানোর জন্য তিনি নিরাকার বস্তুকে সাকার বানাবেন এবং তা ওজন করবেন। যেমন হাদীসসমূহে কিছু কর্মের সাকার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। উদাহরণ সবরূপঃ কিয়ামতের দিন কুরআন এক ফ্যাকাসে বর্ণের শীর্ণ পুরুষের বেশে কুরআন তেলাঅতকারীর সামনে উপস্থিত হবে। সে জিজ্ঞেস করবে, 'তুমি কে?' সে বলবে, 'আমি কুরআন যা তুমি রাত্রি জাগরণ করে পাঠ করতে ও দিনে পিপাসার্ত অবস্থায় পাঠ করতে।' (আহমাদ ৫/৩৪৮, ৩৫২, ইবনে মাজাহ) অনুরূপভাবে মুমিনের কবরে তার সৎকর্ম এক সুন্দর সুরভিত যুবকের রূপ ধরে আসবে এবং কাফের ও মুনাফিকদের কাছে এর বিপরীত রূপ নিয়ে। (আহমাদ ৫/২৮৭) এর বিস্তারিত ব্যখ্যা জানার জন্য দেখুন সূরা আ'রাফের ৭;৯ নং আয়াতের টীকা।