Skip to main content

فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ فَكَشَفْنَا مَا بِهٖ مِنْ ضُرٍّ وَّاٰتَيْنٰهُ اَهْلَهٗ وَمِثْلَهُمْ مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنْ عِنْدِنَا وَذِكْرٰى لِلْعٰبِدِيْنَ ۚ  ( الأنبياء: ٨٤ )

fa-is'tajabnā
فَٱسْتَجَبْنَا
So We responded
তখন আমরা সাড়া দিলাম
lahu
لَهُۥ
to him
তার ডাকে
fakashafnā
فَكَشَفْنَا
and We removed
অতঃপর আমরা দূর করে দিলাম
مَا
what
যা
bihi
بِهِۦ
(was) on him
তার সাথে (হয়েছিলো)
min
مِن
of
থেকে
ḍurrin
ضُرٍّۖ
(the) adversity
দুঃখ কষ্ট
waātaynāhu
وَءَاتَيْنَٰهُ
And We gave him
ও তাকে আমরা ফেরত দিলাম
ahlahu
أَهْلَهُۥ
his family
তার পরিবারকে
wamith'lahum
وَمِثْلَهُم
and (the) like thereof
এবং তাদের অনুরূপ
maʿahum
مَّعَهُمْ
with them
তাদের সাথে
raḥmatan
رَحْمَةً
(as) Mercy
অনুগ্রহ হিসেবে
min
مِّنْ
from Ourselves
হ'তে
ʿindinā
عِندِنَا
from Ourselves
আমাদের পক্ষ
wadhik'rā
وَذِكْرَىٰ
and a reminder
এবং উপদেশস্বরূপ
lil'ʿābidīna
لِلْعَٰبِدِينَ
for the worshippers
ইবাদাতকারীদের জন্যে

Fastajabnaa lahoo fakashaf naa maa bihee min durrinw wa aatainaahu ahlahoo wa mislahum ma'ahum rahmatam min 'indinaa wa zikraa lil'aabideen (al-ʾAnbiyāʾ ২১:৮৪)

English Sahih:

So We responded to him and removed what afflicted him of adversity. And We gave him [back] his family and the like thereof with them as mercy from Us and a reminder for the worshippers [of Allah]. (Al-Anbya [21] : 84)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম আর তার দুঃখ ক্লেশ দূর করে দিয়েছিলাম। আর তার পরিবারবর্গকে তার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, আর তাদের সাথে তাদের মত আরো দিয়েছিলাম আমার পক্ষ হতে রহমত স্বরূপ আর আমার যারা ‘ইবাদাত করে তাদের জন্য স্মারক হিসেবে। (আম্বিয়া [২১] : ৮৪)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম; তার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার পরিজনকে ফিরিয়ে দিলাম, তাদের সাথে তাদের মত আরো দিলাম আমার বিশেষ করুণা স্বরূপ এবং উপাসনাকারীদের জন্য উপদেশ স্বরূপ। [১]

[১] পবিত্র কুরআনে আইয়ুব (আঃ)-কে ধৈর্যশীল বলা হয়েছে। (সূরা স্বাদঃ ৩৮;৪৪) এর অর্থ, তাঁকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলা হয়েছিল, যাতে তিনি ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা করতে ছাড়েননি। এই পরীক্ষা ও দুঃখ-কষ্ট কি ধরনের ছিল তার কোন প্রামাণিক বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও কুরআনের বর্ণনা হতে বুঝতে পারা যায় যে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে ধন-দৌলত, সন্তানাদি দান করেছিলেন। অতঃপর পরীক্ষা স্বরূপ তিনি এক সময় তাঁর কাছ হতে সমস্ত কিছু কেড়ে নিলেন। এমনকি তিনি শারীরিক সুস্থতা থেকেও বঞ্চিত হলেন এবং নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। কথিত আছে যে, আঠারো বছর দীর্ঘ পরীক্ষার পর তিনি আল্লাহর সমীপে প্রার্থনা করলেন। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন এবং সুস্থতার সাথে সাথে ধন-দৌলত ও সন্তানাদি দ্বিগুণ দান করলেন। (এর কিছু ব্যাখ্যা সহীহ ইবনে হিববান এর একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়ঃ ৪/২৪৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/২০৮) বিপদে আপত্তি, অভিযোগ ও অনুযোগ করা এবং ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করা ধৈর্যের পরিপন্থী। আর এ সকল কাজ আইয়ুব (আঃ) কখনও করেননি। অবশ্য মুক্তি প্রার্থনা ধৈর্যের পরিপন্থী নয়। সেই কারণে আল্লাহ তাআলা তার জন্য "আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম" শব্দ ব্যবহার করেছেন।