ذٰلِكَ وَمَنْ يُّعَظِّمْ حُرُمٰتِ اللّٰهِ فَهُوَ خَيْرٌ لَّهٗ عِنْدَ رَبِّهٖۗ وَاُحِلَّتْ لَكُمُ الْاَنْعَامُ اِلَّا مَا يُتْلٰى عَلَيْكُمْ فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِ ۙ ( الحج: ٣٠ )
Zaalika wa mai yu'azzim hurumaatil laahi fahuwa khairul lahoo 'inda Rabbih; wa uhillat lakumul an'aamu illaa maa yutlaa 'alaikum fajtanibur rijsa minal awsaani wajtaniboo qawlaz zoor (al-Ḥajj ২২:৩০)
English Sahih:
That [has been commanded], and whoever honors the sacred ordinances of Allah – it is best for him in the sight of his Lord. And permitted to you are the grazing livestock, except what is recited to you. So avoid the uncleanliness of idols and avoid false statement, (Al-Hajj [22] : 30)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এটাই (হাজ্জ), যে কেউ আল্লাহর নির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলোর সম্মান করবে, সেটা তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য উত্তম। চতুষ্পদ জন্তুগুলো তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সেগুলো ছাড়া যেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে পড়ে শুনানো হয়েছে। কাজেই তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা বর্জন কর আর মিথ্যে কথা পরিহার কর (হাজ্জ্ব [২২] : ৩০)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এটাই বিধান। আর কেউ আল্লাহর নিষিদ্ধ বিধানসমূহের[১] সম্মান করলে তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য এটাই উত্তম। তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু, এগুলি ব্যতীত যা তোমাদেরকে পাঠ করে শুনানো হয়েছে; [২] সুতরাং তোমরা দূরে থাক মূর্তিরূপ অপবিত্রতা[৩] হতে এবং দূরে থাক মিথ্যা কথন হতে। [৪]
[১] এখানে নিষিদ্ধ বা সম্মানীয় বিধানসমূহ বলতে হজ্জের সেই সকল অনুষ্ঠান যার বিস্তারিত আলোচনা একটু আগে হয়েছে। সম্মান করার অর্থঃ সেগুলোকে যথানিয়মে পালন করা। অর্থাৎ, তার অন্যথা করলে আল্লাহর সম্মানীয় বিধানের অসম্মান করা হয়।
[২] 'যা পাঠ করে শুনানো হয়েছে' এর অর্থঃ যার হারাম হওয়ার কথা (কুরআনে) বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন {حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالْدَّمُ} (সূরা মাইদার ৫;৩ নং) আয়াতে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
[৩] رِجس এর অর্থ অপবিত্রতা। এখানে কাঠ, লোহা বা অন্য যে কোন জিনিসের তৈরী মূর্তিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা অপবিত্রতা এবং আল্লাহর ক্রোধ ও অসন্তুষ্টির কারণ। অতএব এ থেকে দূরে থাকো।
[৪] মিথ্যা সাক্ষীও মিথ্যা কথনের পর্যায়ভুক্ত। যাকে হাদীসে শিরক ও মাতা-পিতার অবাধ্যতার পর তৃতীয় পর্যায়ের বড় পাপ হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। আর সব থেকে বড় মিথ্যা কথা, আল্লাহ যেসব জিনিস হতে পবিত্র সেগুলোকে তাঁর সাথে সম্পৃক্ত করা। যেমন আল্লাহর সন্তান আছে, অমুক বুযুর্গ আল্লাহর এখতিয়ারে শরীক আছে বলা, 'আল্লাহ অমুক কাজ কিভাবে করতে সক্ষম' বলা; যেমন মক্কার কাফেররা পুনর্জীবনকে অবাস্তব মনে করত। অথবা নিজে নিজে আল্লাহর হারামকৃত জিনিসকে হালাল বা হালালকৃত জিনিসকে হারাম করে নেওয়া; যেমন মুশরিকরা কিছু পশুকে নিজের জন্য হারাম করে নিয়েছিল। এ সকলই মিথ্যা কথা। এ সব থেকে দূরে থাকা অত্যন্ত জরুরী।