اَللّٰهُ يَصْطَفِيْ مِنَ الْمَلٰۤىِٕكَةِ رُسُلًا وَّمِنَ النَّاسِۗ اِنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌۢ بَصِيْرٌ ۚ ( الحج: ٧٥ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আল্লাহ ফেরেশতাগণের মধ্য হতে বাণীবাহক মনোনীত করেন আর মানুষদের মধ্য হতেও, আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সব কিছু দেখেন।
English Sahih:
Allah chooses from the angels messengers and from the people. Indeed, Allah is Hearing and Seeing.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আল্লাহ ফিরিশতাদের মধ্য হতে মনোনীত করেন বাণীবাহক (দূত) এবং মানুষের মধ্য হতেও।[১] নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। [২]
[১] رَسُول رُسُل এর বহুবচন। এর অর্থঃ প্রেরিত দূত, বাণী বাহক। মহান আল্লাহ ফিরিশতা দ্বারাও বাণী বহনের কাজ নিয়েছেন। যেমন জিবরীল (আঃ)-কে অহী (প্রত্যাদেশ) পৌঁছানোর জন্য নির্বাচিত করেছেন; তাঁর কাজ নবীদের নিকট অহী পৌঁছানো অথবা আযাব নিয়ে কোন জাতির নিকট যাওয়া। আর মানুষের মধ্যেও কিছুকে বাণী-বাহক দূত রূপে নির্বাচিত করেছেন এবং তাঁদেরকে মানুষের পথ দেখানোর কাজে নিয়োগ করেছেন। এঁরা সকলেই ছিলেন আল্লাহর বান্দা ও দাস, তবে নির্বাচিত ও মনোনীত। কিন্তু কেন? আল্লাহর ইচ্ছায় শরীক করার জন্য; যেমন কোন কোন মানুষ তাঁদেরকে আল্লাহর শরীক মনে করে থাকে? কখনই না, বরং শুধুমাত্র আল্লাহর বাণী পৌঁছানোর জন্য তাঁরা মনোনীত হন।
[২] তিনি বান্দাদের সকল কথা শ্রবণ করেন ও তাদের সকল কাজ প্রত্যক্ষ করেন। অর্থাৎ, তিনি অবগত যে, রিসালাতের যোগ্য কে? যেমন অন্য জায়গায় বলেছেন {اللهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} অর্থাৎ, রসূলের পদ বা দায়িত্ব আল্লাহ কার উপর অর্পণ করবেন তা তিনিই ভাল জানেন। (সূরা আনআম ৬;১২৪ আয়াত)