Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبٰتِ وَاعْمَلُوْا صَالِحًاۗ اِنِّيْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ ۗ  ( المؤمنون: ٥١ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O Messengers!
(আর বলেছিলাম) হে
l-rusulu
ٱلرُّسُلُ
O Messengers!
রাসূলরা
kulū
كُلُوا۟
Eat
তোমরা খাও
mina
مِنَ
of
হ'তে
l-ṭayibāti
ٱلطَّيِّبَٰتِ
the good things
পবিত্র (বস্তু)
wa-iʿ'malū
وَٱعْمَلُوا۟
and do
ও তোমরা কাজ করো
ṣāliḥan
صَٰلِحًاۖ
righteous (deeds)
সৎ
innī
إِنِّى
Indeed, I Am
নিশ্চয়ই আমি
bimā
بِمَا
of what
সে সম্পর্কে যা
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
you do
তোমরা কাজ করো
ʿalīmun
عَلِيمٌ
All-Knower
খুব অবহিত

Yaaa aiyuhar Rusulu kuloo minat taiyibaati wa'maloo saalihan innee bimaa ta'maloona 'Aleem (al-Muʾminūn ২৩:৫১)

English Sahih:

[Allah said], "O messengers, eat from the good foods and work righteousness. Indeed I, of what you do, am Knowing. (Al-Mu'minun [23] : 51)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে রসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার কর, আর সৎ কাজ কর, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমি পূর্ণরূপে অবগত। (আল মু'মিনূন [২৩] : ৫১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর এবং সৎকর্ম কর;[১] তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবগত।

[১] طَيِّبَات বলতে পবিত্র, উপাদেয় ও সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী। আবার কেউ কেউ এর অনুবাদ করেছেন, হালাল খাদ্যসমূহ। উভয় অনুবাদই সঠিক। কারণ, প্রত্যেক পবিত্র জিনিসকেই আল্লাহ তাআলা হালাল করেছেন। আর প্রতিটি হালাল জিনিসই পবিত্র ও সুসবাদু। আল্লাহ তাআলা অপবিত্র বস্তুকে এই জন্য হারাম করেছেন, যেহেতু প্রভাব ও পরিণামের দিক দিয়ে তা অপবিত্র; যদিও অপবিত্র ভক্ষণকারীদেরকে নিজেদের পরিবেশ ও অভ্যাসের কারণে তা সুস্বাদু বলে মনে হয়। আর সৎকর্ম হল সেই সব কর্ম যা শরীয়ত তথা কুরআন ও (সহীহ) হাদীস সম্মত হয়। প্রত্যেক সেই কাজই সৎ বা ভালো নয়, যা পরিবেশের লোকজন সৎ বা ভাল মনে করে। কারণ, বিদআতী লোকদের কাছে বিদআতও বড় ভালো কাজ মনে হয়। বরং তাদের নিকট বিদআতের যে গুরুত্ব মর্যাদা আছে, শরীয়তের ফরয, সুন্নত ও মুস্তাহাবের সে গুরুত্ব ও মর্যাদা নেই। পবিত্র বস্তু পানাহার করার সাথে সাথে সৎকর্মের তাকীদ থেকে জানা যায় যে, একটির অপরটির সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং একটি অপরটির সহযোগী। যেহেতু হালাল খেয়ে নেক আমল সহজ হয়। আর নেক আমল মানুষকে হালাল খেতে উৎসাহিত করে এবং তাই খেয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা শিক্ষা দেয়। এই জন্যই মহান আল্লাহ প্রত্যেক নবী-রসূলকে উক্ত দুটি কর্মের আদেশ করেছেন। সুতরাং প্রত্যেক নবী-রসূল পরিশ্রম করে হালাল রুযী উপার্জন ও ভক্ষণ করতে যত্নবান হতেন। যেমন, দাউদ (আঃ)-এর ব্যাপারে এসেছে যে, তিনি নিজ হাতে পরিশ্রমের উপার্জন ভক্ষণ করতেন। (সহীহ বুখারী ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায়) আর মহানবী (সাঃ) বলেছেন, "প্রত্যেক নবী ছাগল চরিয়েছেন। আমিও সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মক্কাবাসীদের ছাগল চরিয়েছি। (সহীহ বুখারী ইজারা অধ্যায়) বর্তমানে কালোবাজারী, চোরাই চালান, পণ্য পাচার, ঘুসখোরী, সূদখোরী ছাড়াও অন্যান্য অবৈধ উপায়ে হারাম ভক্ষণকারীরা পরিশ্রম করে হালাল ভক্ষণকারীদেরকে নীচ ও নিমনশ্রেণীভুক্ত গণ্য করে রেখেছে; যদিও বাস্তব অবস্থা তার পূর্ণ বিপরীত। মুসলিম সমাজে একজন হারামখোরের কোন সম্মান ও স্থান নেই; যদিও সে কারূনের সমতুল্য ধনশালী ব্যক্তি হোক না কেন। সম্মান ও ইজ্জতের অধিকারী একমাত্র তারাই, যারা পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন খায়; যদিও তা লবণ-ভাত হোক না কেন। কারণ নবী (সাঃ) এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছেন ও বলেছেন যে, মহান আল্লাহ হারাম উপার্জনকারীর না তো সাদকাহ কবুল করেন, আর না দু'আ। (সহীহ মুসলিম যাকাত অধ্যায়)