Skip to main content

فَاِذَا رَكِبُوْا فِى الْفُلْكِ دَعَوُا اللّٰهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ ەۚ فَلَمَّا نَجّٰىهُمْ اِلَى الْبَرِّ اِذَا هُمْ يُشْرِكُوْنَۙ   ( العنكبوت: ٦٥ )

fa-idhā
فَإِذَا
And when
অতঃপর যখন
rakibū
رَكِبُوا۟
they embark
তারা আরোহণ করে
فِى
[in]
মধ্যে
l-ful'ki
ٱلْفُلْكِ
the ship
জলযানের (এবং বিপদে পড়ে)
daʿawū
دَعَوُا۟
they call
তারা ডাকে (দোয়া করে)
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ্‌কে
mukh'liṣīna
مُخْلِصِينَ
(being) sincere
বিশুদ্ধচিত্তে
lahu
لَهُ
to Him
তাঁরই জন্যে
l-dīna
ٱلدِّينَ
(in) the religion
অনুগত্যকে (নির্দিষ্ট করে)
falammā
فَلَمَّا
But when
অতঃপর যখন
najjāhum
نَجَّىٰهُمْ
He delivers them
(আল্লাহ্‌)উদ্ধার করে আনেন তাদেরকে
ilā
إِلَى
to
দিকে
l-bari
ٱلْبَرِّ
the land
স্থলের
idhā
إِذَا
behold
তখন
hum
هُمْ
they
তারা
yush'rikūna
يُشْرِكُونَ
associate partners (with Him)
শিরক করে

Fa-izaa rakiboo fil fulki da'awul laaha mukhilseena lahud deena falammaa najjaa hum ilal baari izaa hum yushrikoon (al-ʿAnkabūt ২৯:৬৫)

English Sahih:

And when they board a ship, they supplicate Allah, sincere to Him in religion [i.e., faith and hope]. But when He delivers them to the land, at once they associate others with Him (Al-'Ankabut [29] : 65)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে তখন বিশুদ্ধ অন্তঃকরণে একনিষ্ঠ হয়ে তারা আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে নিরাপদে স্থলে পৌঁছে দেন, তখন তারা (অন্যকে আল্লাহর) শরীক ক’রে বসে। (আল আনকাবুত [২৯] : ৬৫)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ওরা যখন জলযানে আরোহণ করে, তখন ওরা বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন ওদেরকে উদ্ধার করে স্থলে পৌঁছে দেন, তখন ওরা তাঁর অংশী করে।[১]

[১] মুশরিকদের এই স্ববিরোধিতার কথা কুরআন কারীমের বিভিন্ন স্থানে আলোচিত হয়েছে। আর এই স্ববিরোধিতা বুঝতে পেরেছিলেন বলেই ইকরামা (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করার তওফীক পেয়েছিলেন। তাঁর সর্ম্পকে জানা যায় যে, মক্কা বিজয়ের পর তিনি মক্কা থেকে পালিয়ে যান। যাতে নবী (সাঃ)-এর হাতে বন্দী হওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন। তিনি হাবশাহ যাওয়ার জন্য এক নৌকায় বসেন। নৌকা পানির ঘুর্ণিপাকে ফেঁসে গেলে নৌকার যাত্রীরা একে অপরকে বলল যে, একনিষ্ঠ হয়ে মহান প্রভুর নিকট দু'আ কর। কারণ, এমতাবস্থায় তিনি ছাড়া পরিত্রাণদাতা আর কেউ নেই। ইকরামা (রাঃ) এই কথা শুনে বললেন, যদি এই সমুদ্রের মাঝে তিনি ছাড়া কেউ পরিত্রাণ না দিতে পারে, তাহলে স্থলেও তিনি ছাড়া অন্য কেউ পরিত্রাণ দিতে পারবে না। অতঃপর তিনি ঐ সময় আল্লাহর নিকট অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন যে, যদি আমি এখান থেকে ভালভাবে তীরে পৌঁছতে পারি, তাহলে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর হাতে বায়আত করব; অর্থাৎ মুসলমান হয়ে যাব। সুতরাং সেখান থেকে পরিত্রাণ পেয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। রায্বিয়াল্লাহু আনহু। (সীরাত মুহাম্মাদ বিন ইসহাক, ইবনে কাসীর)