Skip to main content

فَمَنْ حَاۤجَّكَ فِيْهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا جَاۤءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ اَبْنَاۤءَنَا وَاَبْنَاۤءَكُمْ وَنِسَاۤءَنَا وَنِسَاۤءَكُمْ وَاَنْفُسَنَا وَاَنْفُسَكُمْۗ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَّعْنَتَ اللّٰهِ عَلَى الْكٰذِبِيْنَ  ( آل عمران: ٦١ )

Then whoever
فَمَنْ
যে অতঃপর
argues (with) you
حَآجَّكَ
তোমার সাথে বিতর্ক করে
concerning it
فِيهِ
সে ব্যাপারে
from
مِنۢ
(থেকে)
after
بَعْدِ
এর পরেও
what
مَا
যা
came to you
جَآءَكَ
তোমার কাছে এসেছে
of
مِنَ
(থেকে)
the knowledge
ٱلْعِلْمِ
জ্ঞান
then say
فَقُلْ
বল তাহলে
"Come
تَعَالَوْا۟
''তোমরা আস
let us call
نَدْعُ
ডাকি আমরা
our sons
أَبْنَآءَنَا
আমাদের ছেলেদেরকে
and your sons
وَأَبْنَآءَكُمْ
ও তোমাদের ছেলেদেরকে
and our women
وَنِسَآءَنَا
ও আমাদের নারীদেরকে
and your women
وَنِسَآءَكُمْ
ও তোমাদের নারীদেরকে
and ourselves
وَأَنفُسَنَا
ও আমাদের নিজেদেরকে
and yourselves
وَأَنفُسَكُمْ
ও তোমাদের নিজেদেরকে
then
ثُمَّ
এরপর
let us pray humbly
نَبْتَهِلْ
বিনীতভাবে আমরা আবেদন করি
and [we] invoke
فَنَجْعَل
আমারা অতঃপর দেই
(the) curse
لَّعْنَتَ
অভিশাপ
(of) Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
on
عَلَى
উপর
the liars
ٱلْكَٰذِبِينَ
মিথ্যাবাদীদের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে ব্যক্তি তোমার সাথে (ঈসার সম্বন্ধে) বিতর্ক করবে তাকে বল, ‘আসো, আমাদের পুত্রদেরকে এবং তোমাদের পুত্রদেরকে আর আমাদের নারীদেরকে এবং তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের নিজেদেরকে আহবান করি, অতঃপর আমরা মুবাহলা করি আর মিথ্যুকদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষণ করি।

English Sahih:

Then whoever argues with you about it after [this] knowledge has come to you – say, "Come, let us call our sons and your sons, our women and your women, ourselves and yourselves, then supplicate earnestly [together] and invoke the curse of Allah upon the liars [among us]."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অনন্তর তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর যে কেউ এ বিষয়ে (ঈসা সম্পর্কে) তোমার সাথে তর্ক করে, তাকে বল, ‘এস, আমরা আহবান করি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে, স্বয়ং আমাদেরকে ও স্বয়ং তোমাদেরকে, অতঃপর আমরা বিনীত প্রার্থনা করি যে, মিথ্যাবাদীদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ হোক।’ [১]

[১] এটাকে 'মুবাহালা'র আয়াত বলা হয়। মুবাহালার অর্থ হল, দুই পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিসম্পাত করা। অর্থাৎ, দুই পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে তর্ক-বিতর্ক হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে এই বলে দু'আ করবে যে, 'হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী, তার উপর তোমার অভিশাপ বর্ষণ হোক!' এর সংক্ষিপ্ত পটভূমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে খ্রিষ্টানদের একটি প্রতিনিধিদল নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে এসে তারা যে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জনমূলক আকীদা রাখত, সে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করে দিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয় এবং মহানবী (সাঃ) তাদেরকে মুবাহালার আহবান জানান। তিনি আলী, ফাতিমা এবং হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-দেরকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্ত্তত হয়ে আসেন এবং খ্রিষ্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবারের লোকদের সাথে নিয়ে এসো। তারপর আমরা মিথ্যাবাদীর উপর অভিশাপ বর্ষণের বদ্দুআ করব। খ্রিষ্টানরা আপোসে পরামর্শ করে মুবাহালা করার পথ ত্যাগ করে বলল যে, আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন, আমরা তা-ই দিব। সুতরাং রসূল (সাঃ) তাদের উপর জিযিয়া-কর ধার্য করে দেন। আর এই কর আদায়ের জন্য তিনি আমীনে উম্মত (উম্মতের বিশ্বস্তজন উপাধি লাভকারী) আবূ উবায়দা ইবনে জাররাহ (রাঃ)-কে তিনি তাদের সাথে পাঠিয়ে দেন। (ইবনে কাসীর এবং ফাতহুল ক্বাদীর ইত্যাদির সারাংশ) পরের আয়াতে আহলে কিতাব (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান)-দেরকে তাওহীদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে।