লোকমান আয়াত ২২

আর যে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে, এমতাবস্থায় যে সে মুহসিন [১] সে তো দৃঢ়ভাবে ধরলো এক মজবুত হাতল। আর যাবতীয় কাজের পরিণাম আল্লাহর কাছে।

[১] অর্থাৎ মুখে নিজেকে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করার ঘোষণা দেয়া হবে কিন্তু কার্যত আল্লাহর অনুগত বান্দার নীতি অবলম্বন করা হবে না, এমনটি যেন না হয়। আর তা হবে কেবলমাত্র রাসূলকে অনুসরণ করার মাধ্যমে। এ আয়াতের প্রথম অংশ তাওহীদ আর দ্বিতীয় অংশ রাসূলের অনুসরন করা বাধ্য করে দিয়েছে। তাওহীদ পরিশুদ্ধ হতে হলে রাসূলের অনুসরণ জরুরী। [সা'দী]

আর যে ব্যক্তি একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধচিত্তে আল্লাহর কাছে নিজকে সমর্পণ করে, সে তো শক্ত রশি আঁকড়ে ধরে। আর সকল বিষয়ের পরিণাম আল্লাহরই কাছে।

যে ব্যক্তি সৎকর্মপরায়ণ হয়ে স্বীয় মুখমন্ডলকে আল্লাহ অভিমূখী করে, সে এক মজবুত হাতল ধারণ করে, সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর দিকে।

আর যে তার মুখ আল্লাহ্‌র প্রতি পূর্ণ সমর্পণ করে আর সে সৎকর্মপরায়ণ হয়, তাহলে তো সে এক মজবুত হাতল পাকড়ে ধরেছে। আর আল্লাহ্‌র কাছেই রয়েছে সকল বিষয়ের পরিণাম।

যে ব্যক্তি আজ্ঞাবহ হয়ে নিজ চেহারাকে আল্লাহর অভিমুখী করে এবং সে হয় সৎকর্মশীল, নিশ্চয়ই সে ব্যক্তি আঁকড়ে ধরল এক মজবুত হাতল। সকল বিষয়ের শেষ পরিণাম আল্লাহরই উপর ন্যস্ত।

যদি কেহ সৎ কর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করে তাহলে সেতো দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মাযবূত হাতল, যাবতীয় কার্যের পরিণাম আল্লাহর দিকে।

Please check ayah 31:24 for complete tafsir.

যে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে এবং সৎকর্মশীল হয় সে তো সবচেয়ে মজবুত রশিটিই আঁকড়ে ধরেছে। আর আল্লাহর কাছেই সকল কাজের পরিণতি।

২২. যে ব্যক্তি আল্লাহর এবাদত ও আমলে খাঁটি ও সুন্দরভাবে মনোনিবেশ করবে সে মূলত ওই ব্যক্তির ন্যায় সর্বাপেক্ষা মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরলো যে এমনভাবে তা ধারণ করে যা হাত ছাড়া হওয়ার নয়। বস্ততঃ আল্লাহর দিকেই প্রত্যেক বিষয়াদির প্রত্যাবর্তন ও ফিরে যাওয়া। ফলে তিনি প্রত্যেককে যার যার পাওনা অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন।

Please check ayah 31:24 for complete tafsir.