Skip to main content

۞ تُرْجِيْ مَنْ تَشَاۤءُ مِنْهُنَّ وَتُـْٔوِيْٓ اِلَيْكَ مَنْ تَشَاۤءُۗ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَۗ ذٰلِكَ اَدْنٰٓى اَنْ تَقَرَّ اَعْيُنُهُنَّ وَلَا يَحْزَنَّ وَيَرْضَيْنَ بِمَآ اٰتَيْتَهُنَّ كُلُّهُنَّۗ وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا فِيْ قُلُوْبِكُمْ ۗوَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَلِيْمًا   ( الأحزاب: ٥١ )

You may defer
تُرْجِى
দূরে রাখতে পারো
whom
مَن
যাকে
you will
تَشَآءُ
তুমি চাও
of them
مِنْهُنَّ
মধ্য হ'তে তাদের(অর্থাৎ স্ত্রীদের)
or you may take
وَتُـْٔوِىٓ
এবং স্থান দিতে পারো
to yourself
إِلَيْكَ
কাছে তোমার
whom
مَن
যাকে
you will
تَشَآءُۖ
তুমি চাও
And whoever
وَمَنِ
এবং যাকে
you desire
ٱبْتَغَيْتَ
তুমি কামনা করো
of those whom
مِمَّنْ
তাদের মধ্যে থেকে (যাকে)
you (had) set aside
عَزَلْتَ
তুমি দূরে রেখেছিলে
then (there is) no
فَلَا
এক্ষেত্রে নেই
blame
جُنَاحَ
কোনো পাপ
upon you
عَلَيْكَۚ
উপর তোমার
That
ذَٰلِكَ
এটা
(is) more suitable
أَدْنَىٰٓ
অধিক নিকটবর্তী
that
أَن
যে
may be cooled
تَقَرَّ
শীতল হবে
their eyes
أَعْيُنُهُنَّ
চোখগুলো তাদের
and not
وَلَا
আর না
they grieve
يَحْزَنَّ
দুঃখ পাবে
and they may be pleased
وَيَرْضَيْنَ
এবং সন্তুষ্ট থাকবে
with what
بِمَآ
ঐ বিষয়ে যা
you have given them
ءَاتَيْتَهُنَّ
তুমি দিয়েছো তাদেরকে
all of them
كُلُّهُنَّۚ
সকলে তাদের
And Allah
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
knows
يَعْلَمُ
জানেন
what
مَا
যা
(is) in
فِى
মধ্যে (আছে)
your hearts
قُلُوبِكُمْۚ
অন্তরসমূহের তোমাদের
And Allah is
وَكَانَ
এবং হলেন
And Allah is
ٱللَّهُ
আল্লাহ
All-Knower
عَلِيمًا
সর্বজ্ঞ
Most Forbearing
حَلِيمًا
সহনশীল

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তুমি তাদের যাকে ইচ্ছে সরিয়ে রাখতে পার, আর যাকে ইচ্ছে তোমার কাছে আশ্রয় দিতে পার। আর তুমি যাকে আলাদা ক’রে রেখেছ তাকে কামনা করলে তোমার কোন অপরাধ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে, তারা দুঃখ পাবে না, আর তুমি তাদের সকলকে যা দাও তাতে তারা সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

English Sahih:

You, [O Muhammad], may put aside whom you will of them or take to yourself whom you will. And any that you desire of those [wives] from whom you had [temporarily] separated – there is no blame upon you [in returning her]. That is more suitable that they should be content and not grieve and that they should be satisfied with what you have given them – all of them. And Allah knows what is in your hearts. And ever is Allah Knowing and Forbearing.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি ওদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হতে দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা কাছে স্থান দিতে পার[১] এবং তুমি যাকে দূরে রেখেছ, তাকে কামনা করলে তোমার কোন অপরাধ নেই।[২] এ বিধান এ কথার অধিক নিকটতর যে, ওদের চক্ষু শীতল হবে এবং ওরা দুঃখ পাবে না এবং তুমি যা দেবে তাতে ওদের সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে।[৩] তোমাদের অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা জানেন।[৪] আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল ।

[১] এখানে নবী (সাঃ)-এর আরো একটি বিশেষত্বের কথা বর্ণনা হয়েছে, আর তা হল এই যে, স্ত্রীদের মাঝে পালা নির্ধারণ করাতে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিনি যার পালা চাইবেন বন্ধ রাখতে পারবেন, অর্থাৎ তাকে বিবাহ বন্ধনে রেখে তার সাথে রাত্রিযাপন না করে অন্য যে কোন স্ত্রীর সাথে চাইবেন রাত্রিযাপন করতে পারবেন।

[২] অর্থাৎ, যে সকল স্ত্রীদের পালা বন্ধ রেখেছিলেন, যদি তিনি তাদের সাথে সঙ্গমের সম্পর্ক রাখতে চান, তবে পুনরায় এ সম্পর্ক কায়েম করতে পারেন -- তার অনুমতি আছে।

[৩] অর্থাৎ, নবী (সাঃ) পালা বন্ধ করলে এবং একজনকে অপর জনের উপর প্রাধান্য দিলেও স্ত্রীরা সন্তুষ্ট থাকবেন; দুঃখিত হবেন না। তাঁরা তাঁর নিকট থেকে যা পাবেন তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন। কারণ তাঁরা জানেন যে, নবী (সাঃ) যা কিছু করছেন আল্লাহ তাআলার আদেশেই করছেন সুতরাং সকল স্ত্রীগণ আল্লাহর ফায়সালার উপর সর্বদা সন্তুষ্ট ও খুশি থাকবেন। কেউ কেউ বলেন যে, নবী (সাঃ) এই এখতিয়ার পাওয়ার পরেও তিনি তা ব্যবহার করেননি এবং সওদা (রাঃ) ছাড়া (যেহেতু তিনি আপন পালা নিজেই আয়েশাকে দান করে দিয়েছিলেন) তিনি সকল স্ত্রীদের পালা সমানভাবে নির্ধারিত করে রেখেছিলেন। যার ফলে তিনি মৃত্যু শয্যায় অন্যান্য স্ত্রীগণ থেকে অনুমতি নিয়ে অসুস্থাবস্থার (পবিত্র জীবনের শেষ) দিনগুলি আয়েশা (রাঃ) -এর নিকট অতিবাহিত করেছিলেন। 'أَنْ تَقَرَّ اَعْيُنُهُنَّ' (ওদের চক্ষু শীতল হবে) এ কথা নবী (সাঃ)-এর উক্ত আমলের সাথে সম্পৃক্ত যে, নবী (সাঃ)-এর জন্য পালা ভাগ করা যদিও অন্যান্য মানুষের মত আবশ্যিক ছিল না, তবুও তিনি পালা ভাগ করাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। যাতে নবী (সাঃ)-এর স্ত্রীগণের চক্ষু শীতল থাকে এবং তাঁর সদ্ব্যবহারে এবং সমতা ও ইনসাফে সন্তুষ্ট হয়ে যান। এই কারণে তিনি নিজের বিশেষত্বকে ব্যবহার না করে তাঁদের মন জয় করাকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

[৪] অর্থাৎ, তোমাদের হৃদয়ে যে গুপ্ত প্রেম আছে তা আল্লাহ জানেন। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মনে সকল স্ত্রীর মহববত এক রকম হয় না। কারণ মন মানুষের ইচ্ছার উপর থাকে না। যার ফলে স্ত্রীদের মাঝে পালা, খরচ-খরচা ও জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তুতে সমতা বজায় রাখা আবশ্যিক, যাতে মানুষ ইনসাফ করতে সচেষ্ট হতে পারে। কিন্তু হৃদয়স্থ ভালোবাসার সমতা বজায় রাখা যেহেতু মানুষের ইচ্ছা ও সাধ্যের বাইরে, তাই আল্লাহ তাআলা তা ধরবেন না। তবে আন্তরিক ভালবাসা যেন কোন একজন স্ত্রীর সাথে বিশেষ ভাল ব্যবহারের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। এই কারণে তিনি ইনসাফের সাথে পালা নির্ধারণ করে বলতেন, "হে আল্লাহ! আমি পালা ভাগ করার মালিক, পালা ভাগ করলাম। কিন্তু আমি যার মালিক নই; বরং তুমি যার মালিক তার ব্যাপারে তুমি আমাকে দোষ দিয়ো না।" (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ আহমাদ ৬/১৪৪) (অর্থাৎ হৃদয় ও তার প্রেম ভাগ করার ক্ষমতা আমার নেই। হৃদয়ের মালিক তো তুমি। কারো প্রতি হৃদয়ের আকর্ষণ বেশী থাকলে তার জন্য আমি দায়ী নই।)