Skip to main content

اِنَّا عَرَضْنَا الْاَمَانَةَ عَلَى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَالْجِبَالِ فَاَبَيْنَ اَنْ يَّحْمِلْنَهَا وَاَشْفَقْنَ مِنْهَا وَحَمَلَهَا الْاِنْسَانُۗ اِنَّهٗ كَانَ ظَلُوْمًا جَهُوْلًاۙ   ( الأحزاب: ٧٢ )

innā
إِنَّا
Indeed We
নিশ্চয়ই আমরা
ʿaraḍnā
عَرَضْنَا
[We] offered
আমরা পেশ করেছিলাম
l-amānata
ٱلْأَمَانَةَ
the Trust
এ-আমানত (কুরআন)
ʿalā
عَلَى
to
উপর
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
the heavens
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِ
and the earth
ও পৃথিবীর
wal-jibāli
وَٱلْجِبَالِ
and the mountains
ও পর্বতমালার
fa-abayna
فَأَبَيْنَ
but they refused
কিন্তু তারা অস্বীকার করলো
an
أَن
to
যে
yaḥmil'nahā
يَحْمِلْنَهَا
bear it
তারা বহন করবে তা
wa-ashfaqna
وَأَشْفَقْنَ
and they feared
আর তারা ভয় পেলো
min'hā
مِنْهَا
from it;
তা থেকে
waḥamalahā
وَحَمَلَهَا
but bore it
এবং বহন করলো তা
l-insānu
ٱلْإِنسَٰنُۖ
the man
মানুষ
innahu
إِنَّهُۥ
Indeed he
নিশ্চয়ই সে
kāna
كَانَ
was
হলো
ẓalūman
ظَلُومًا
very unjust
বড় সীমালঙ্ঘনকারী
jahūlan
جَهُولًا
very ignorant
বড় অজ্ঞ

Innaa 'aradnal amaanata 'alas samaawaati walardi wal jibaali fa abaina ai yahmil nahaa wa ashfaqna minhaa wa hamalahal insaanu innahoo kaana zalooman jahoolaa (al-ʾAḥzāb ৩৩:৭২)

English Sahih:

Indeed, We offered the Trust to the heavens and the earth and the mountains, and they declined to bear it and feared it; but man [undertook to] bear it. Indeed, he was unjust and ignorant. (Al-Ahzab [33] : 72)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি আসমান, যমীন ও পর্বতের প্রতি (ইসলামের বোঝা বহন করার) আমানাত পেশ করেছিলাম। কিন্তু তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল, তারা তাতে আশংকিত হল, কিন্তু মানুষ সে দায়িত্ব নিল। সে বড়ই অন্যায়কারী, বড়ই অজ্ঞ। (আল আহযাব [৩৩] : ৭২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয়ই আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত অর্পণ করতে চেয়েছিলাম। ওরা ভয়ে বহন করতে অস্বীকার করল; কিন্তু মানুষ তা বহন করল। [১] নিশ্চয় সে অতিশয় যালেম ও অতিশয় অজ্ঞ। [২]

[১] পূর্বে মহান আল্লাহ আনুগত্যকারীদের প্রাপ্য নেকী এবং অবাধ্যদের শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন, এখন শরয়ী আদেশ ও তার কঠিনতার কথা বর্ণনা করছেন। আমানত বলতে ঐ সকল শরয়ী আদেশ; ফরয ও ওয়াজেব কর্মসমূহকে বুঝানো হয়েছে, যা পালন করলে নেকী ও সওয়াব লাভ হয় এবং তা হতে বৈমুখ হলে বা তা অস্বীকার করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। যখন এই শরীয়তের গুরুভার আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার উপর পেশ করা হল, তখন তারা এর যথাযথ হক আদায় করার ব্যাপারে ভীত হয়ে গেল। কিন্তু যখন মানুষের উপর তা পেশ করা হল, তখন তারা আল্লাহর আমানতের (আনুগত্যের) নেকী ও ফযীলত (প্রতিদান ও মাহাত্ম্য) দেখে সেই কঠিন গুরুভার বহন করতে উদ্বুদ্ধ হয়ে গেল। শরয়ী আহ্কামকে 'আমানত' বলে এই ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তা আদায় করা মানুষের উপর ঐ রকম ওয়াজেব যেমন আমানত আদায় করা ওয়াজেব। 'আমানত অর্পণ' করার অর্থ কি? আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালা কিভাবেই বা তার প্রত্যুত্তর দিল এবং মানুষ তা কোন্ সময়ে গ্রহণ বা বহন করল? এ সবের পূর্ণ বিবরণ না আমরা জানতে পারি আর না বর্ণনা করতে পারি। আমাদেরকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল সৃষ্টির মাঝে বিশেষ অনুভব ও বুঝার শক্তি রেখেছেন; যদিও আমরা তার প্রকৃতত্ব সম্বন্ধে অবগত নই। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাদের কথা বুঝার ক্ষমতা রাখেন। তিনি অবশ্যই সেই আমানতকে (কোন একভাবে) তাদের উপর পেশ করেছিলেন, যা গ্রহণ করতে তারা অস্বীকার করেছে। অবশ্য তারা বিদ্রোহী বা অবাধ্য হয়ে তা অস্বীকার করেনি; বরং তাদের মাঝে এই ভয় ছিল যে, যদি আমরা উক্ত আমানতের দাবী পূর্ণ করতে (সে আমানত যথার্থরূপে রক্ষা করতে) অক্ষম হই, তাহলে তার কঠিন শাস্তি আমাদেরকে ভোগ করতে হবে। মানুষ যেহেতু ত্বরাপ্রবণ, তাই তারা শাস্তির দিকটা না ভেবে প্রতিদান ও পুরস্কার লাভের লোভে উক্ত আমানত কবুল করে নিল।

[২] অর্থাৎ, এই গুরুভার বহন করে নিজের উপর যুলুম করেছে এবং তার দাবী পূরণে বৈমুখ হয়ে অথবা তার মান ও মূল্য সম্বন্ধে উদাসীন থেকে অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে।