Skip to main content

لَقَدْ كَانَ لِسَبَاٍ فِيْ مَسْكَنِهِمْ اٰيَةٌ ۚجَنَّتٰنِ عَنْ يَّمِيْنٍ وَّشِمَالٍ ەۗ كُلُوْا مِنْ رِّزْقِ رَبِّكُمْ وَاشْكُرُوْا لَهٗ ۗبَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَّرَبٌّ غَفُوْرٌ  ( سبإ: ١٥ )

laqad
لَقَدْ
Certainly
নিশ্চয়ই
kāna
كَانَ
(there) was
ছিলো
lisaba-in
لِسَبَإٍ
for Saba
সাবা (জাতির) জন্যে
فِى
in
মধ্যে
maskanihim
مَسْكَنِهِمْ
their dwelling place
তাদের বাসভূমির
āyatun
ءَايَةٌۖ
a sign:
একটি নিদর্শন
jannatāni
جَنَّتَانِ
Two gardens
দু'টি বাগান
ʿan
عَن
on
থেকে
yamīnin
يَمِينٍ
(the) right
ডানদিক
washimālin
وَشِمَالٍۖ
and (on the) left
ও বামদিকে
kulū
كُلُوا۟
"Eat
"(বলেছিলাম) তোমরা খাও
min
مِن
from
থেকে
riz'qi
رِّزْقِ
(the) provision
জীবিকা
rabbikum
رَبِّكُمْ
(of) your Lord
তোমাদের রবের
wa-ush'kurū
وَٱشْكُرُوا۟
and be grateful
ও তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো
lahu
لَهُۥۚ
to Him
তাঁর জন্যে
baldatun
بَلْدَةٌ
A land
(এই) দেশ
ṭayyibatun
طَيِّبَةٌ
good
উত্তম
warabbun
وَرَبٌّ
and a Lord
এবং রব
ghafūrun
غَفُورٌ
Oft-Forgiving"
ক্ষমাশীল"

Laqad kaana li Saba-in fee maskanihim Aayatun jannataani 'ai yameeninw wa shimaalin kuloo mir rizq Rabbikum washkuroolah; baldatun taiyibatunw wa Rabbun Ghafoor (Sabaʾ ৩৪:১৫)

English Sahih:

There was for [the tribe of] Saba' in their dwelling place a sign: two [fields of] gardens on the right and on the left. [They were told], "Eat from the provisions of your Lord and be grateful to Him. A good land [have you], and a forgiving Lord." (Saba [34] : 15)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সাবার অধিবাসীদের জন্য তাদের বাসভূমিতে একটা নিদর্শন ছিল- দু’টো বাগান; একটা ডানে, একটা বামে। (তাদেরকে বলেছিলাম) তোমাদের প্রতিপালক প্রদত্ত রিযক ভোগ কর আর তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। সুখ-শান্তির শহর আর ক্ষমাশীল পালনকর্তা। (সাবা [৩৪] : ১৫)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

সাবা’বাসীদের জন্য ওদের বাসভূমিতে এক নিদর্শন ছিল;[১] দু’টি বাগানঃ একটি ছিল ডান দিকে, অপরটি ছিল বাম দিকে;[২] ওদেরকে বলা হয়েছিল, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দেওয়া রুযী ভোগ কর[৩] এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।[৪] এ শহর উত্তম[৫] এবং তোমাদের প্রতিপালক ক্ষমাশীল।’ [৬]

[১] سَبَأٍ (সাবা') এক জাতি ছিল, যার রানী সাবা' নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। যিনি সুলাইমান (আঃ)-এর সময় (তাঁরই হাতে) মুসলিম হয়ে গিয়েছিলেন। জাতির নামে দেশের নামও সাবা' ছিল। বর্তমানে সে দেশ ইয়ামান নামে প্রসিদ্ধ। উক্ত দেশ বড় সুখী দেশ ছিল। স্থল ও জলপথের বাণিজ্যের জন্যও উত্তম ছিল এবং চাষ-বাস ও ফল-ফসল ইত্যাদিতেও বড় ভাল ছিল। আর বাণিজ্য ও চাষাবাদ উভয়ের উৎকর্ষই যে কোন দেশ ও জাতির সুখের কারণ হয়। এখানে সেই ধন-দৌলতের আতিশয্যকে আল্লাহর বিশাল ক্ষমতার একটি নিদর্শন বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

[২] বলা হয়েছে যে, তাদের শহরের দুই দিকে পর্বত ছিল, সেখান থেকে ঝরনা ও নালা বেয়ে পানি শহরে প্রবেশ করত। তাদের শাসকগণ পর্বতের মাঝে বাঁধ নির্মাণ করে দিয়েছিল এবং তার সাথে বহু বাগান লাগিয়ে দিয়েছিল, যাতে নির্দিষ্টভাবে পানি যাওয়ার রাস্তা হয়ে গিয়েছিল এবং বাগানে পানি পৌঁছতে সহজ ও সুবিধা হয়ে গিয়েছিল। সেই বাগানগুলিকে ডানে ও বামে দুটি বাগান বলে অভিহিত করা হয়েছে। অনেকে বলেন, جَنَّتَيْنِ এর অর্থ দুটি বাগান নয়; বরং উদ্দেশ্য হল ডান ও বাম পার্শ্ব। আর এ থেকে উদ্দেশ্য এত বাগান যে, যেদিকেই নজর যায় সেদিকেই সবুজ-শ্যামল বাগান আর বাগানই চোখে পড়ে। (ফাতহুল ক্বাদীর)

[৩] এই আদেশ তাদের পয়গম্বরের দ্বারা করা হয়েছিল অথবা উদ্দেশ্য সেই সকল নিয়ামতের বর্ণনা, যা তাদেরকে প্রদান করা হয়েছিল।

[৪] অর্থাৎ, সেই দাতা ও অনুগ্রহকারীর আনুগত্য কর এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে দূরে থাক।

[৫] অর্থাৎ, বাগানসমূহের আধিক্য ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূলের কারণে উক্ত শহর উৎকৃষ্ট ছিল। বলা হয় যে, সুন্দর আবহাওয়ার কারণে সেই শহর মশা, মাছি ও অনুরূপ অন্যান্য কষ্টদায়ক জীবজন্তু থেকেও মুক্ত ছিল। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

[৬] অর্থাৎ, যদি তোমরা প্রতিপালকের কৃতজ্ঞতা বর্ণনা করতে থাক, তবে তিনি তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। এর অর্থ এও হল যে, যদি মানুষ তওবা করতে থাকে, তাহলে পাপাচরণ ব্যাপক ধ্বংস ও অনুগ্রহ ছিনিয়ে নেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না; বরং আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন।