Skip to main content

قُلْ اِنَّ رَبِّيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَيَقْدِرُ لَهٗ ۗوَمَآ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهٗ ۚوَهُوَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ   ( سبإ: ٣٩ )

qul
قُلْ
Say
বলো
inna
إِنَّ
"Indeed
"নিশ্চয়ই
rabbī
رَبِّى
my Lord
আমার রব
yabsuṭu
يَبْسُطُ
extends
প্রশস্ততা দেন
l-riz'qa
ٱلرِّزْقَ
the provision
জীবিকায়
liman
لِمَن
for whom
যার জন্যে
yashāu
يَشَآءُ
He wills
তিনি ইচ্ছে করেন
min
مِنْ
of
মধ্য থেকে
ʿibādihi
عِبَادِهِۦ
His slaves
তাঁর দাসদের
wayaqdiru
وَيَقْدِرُ
and restricts
আর পরিমিত দেন (যাকে চান)
lahu
لَهُۥۚ
for him
তার জন্যে
wamā
وَمَآ
But what
এবং যা
anfaqtum
أَنفَقْتُم
you spend
তোমরা ব্যয় করো
min
مِّن
of
থেকে
shayin
شَىْءٍ
anything
কোনো কিছু
fahuwa
فَهُوَ
then He
অতঃপর তিনি
yukh'lifuhu
يُخْلِفُهُۥۖ
will compensate it
(আরও) তার প্রতিফল দেন
wahuwa
وَهُوَ
and He
এবং তিনিই
khayru
خَيْرُ
(is the) Best
উত্তম
l-rāziqīna
ٱلرَّٰزِقِينَ
(of) the Providers
জীবিকাদাতা

Qul inna Rabbee yabsutur rizqa limai yashaaa'u min 'ibaadihee wa yaqdiru lah; wa maaa anfaqtum min shai'in fahuwa yukhlifuhoo wa Huwa khairur raaziqeen (Sabaʾ ৩৪:৩৯)

English Sahih:

Say, "Indeed, my Lord extends provision for whom He wills of His servants and restricts [it] for him. But whatever thing you spend [in His cause] – He will compensate it; and He is the best of providers." (Saba [34] : 39)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বল- আমার প্রতিপালকই তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন, আর যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু (সৎ কাজে) ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা। (সাবা [৩৪] : ৩৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

বল, ‘আমার প্রতিপালক তাঁর দাসদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা তার জীবিকা বর্ধিত করেন অথবা সীমিত করেন।[১] তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন। [২] আর তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।’ [৩]

[১] অতএব তিনি কখনো কাফেরকেও অনেক ধন দেন, কিন্তু কি জন্য? তাকে ঢিল দেওয়ার জন্য এবং কখনো মু'মিনকে অভাবগ্রস্ত রাখেন কি জন্য? তার নেকী বৃদ্ধি করার জন্য। সুতরাং ধন-সম্পদের কম ও বেশি হওয়া তাঁর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির কারণ বা প্রমাণ নয়। তাকীদের জন্য এ কথার পুনরুক্তি করা হয়েছে।

[২] إِخْلاَفٌ -এর অর্থ হল 'বিনিময় বা প্রতিদান দেওয়া। এই বিনিময় ইহকালেও সম্ভব। আর পরকালে তো সুনিশ্চিত। হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, "তুমি খরচ কর, আমি তোমার উপর খরচ করব।" (অর্থাৎ তোমার খরচের বিনিময় দেব।) (বুখারীঃ তাফসীর সূরা হূদ) দুইজন ফিরিশতা প্রত্যহ ঘোষণা করেন, তাঁদের একজন বলেন, "হে আল্লাহ! (তোমার রাস্তায়) যারা খরচ করে না তাদের সম্পদ নষ্ট করে দাও।" আর দ্বিতীয় ফিরিশতা বলেন, "হে আল্লাহ! (তোমার রাস্তায়) খরচকারীদেরকে বিনিময় দাও।" (বুখারীঃ যাকাত অধ্যায়)

[৩] কারণ, যদি কোন ব্যক্তি কাউকে কিছু দেয়, তবে তার এই দেওয়াটা হয় আল্লাহ তাআলার তাওফীক, প্রয়াস ও সুমতিদান এবং তার লিখিত ভাগ্যের ফল। প্রকৃতপক্ষে দানকারী কারো রুযীদাতা নয়। যেমন পিতাকে সন্তানদের বা বাদশাহকে তাঁর সৈন্যদের দায়িত্বশীল বা মালিক বলা হয়। আসলে রাজা-প্রজা ছোট-বড় সকলের রুযীদাতা প্রকৃতপক্ষে সেই আল্লাহ তাআলাই, যিনি সকলের সৃষ্টিকর্তা। অতএব যে ব্যক্তি তার ধন থেকে কাউকে কিছু দান করে, সে আসলে ঐ ধন খরচ করে, যা তাকে আল্লাহ তাআলাই প্রদান করেছেন। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে রুযীদাতা আল্লাহই হলেন। তারপরেও তাঁর অতিরিক্ত অনুগ্রহ এই যে, তাঁর দেওয়া ধন তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী খরচ করলে তিনি তার বিনিময় ও নেকীও প্রদান করেন।