Skip to main content

اِنْ تَدْعُوْهُمْ لَا يَسْمَعُوْا دُعَاۤءَكُمْۚ وَلَوْ سَمِعُوْا مَا اسْتَجَابُوْا لَكُمْۗ وَيَوْمَ الْقِيٰمَةِ يَكْفُرُوْنَ بِشِرْكِكُمْۗ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثْلُ خَبِيْرٍ ࣖ  ( فاطر: ١٤ )

in
إِن
If
যদি
tadʿūhum
تَدْعُوهُمْ
you invoke them
তোমরা তাদেরকে ডাকো
لَا
not
না
yasmaʿū
يَسْمَعُوا۟
they hear
তারা শুনতে পায়
duʿāakum
دُعَآءَكُمْ
your call;
তোমাদের ডাক
walaw
وَلَوْ
and if
আর যদি
samiʿū
سَمِعُوا۟
they heard
তারা শুনেও
مَا
not
না
is'tajābū
ٱسْتَجَابُوا۟
they (would) respond
তারা সাড়া দিতে পারে
lakum
لَكُمْۖ
to you
তোমাদেরকে
wayawma
وَيَوْمَ
And (on the) Day
এবং দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
(of) the Resurrection
ক্বিয়ামাতের
yakfurūna
يَكْفُرُونَ
they will deny
তারা অস্বীকার করবে
bishir'kikum
بِشِرْكِكُمْۚ
your association
তোমাদের শিরককে
walā
وَلَا
And none
এবং না
yunabbi-uka
يُنَبِّئُكَ
can inform you
তোমাকে জানাতে পারে কেউ
mith'lu
مِثْلُ
like
মতো
khabīrin
خَبِيرٍ
(the) All-Aware
সর্বজ্ঞ আল্লাহর

in tad'oohum laa yasma'oo du'aaa'akum wa law sami'oo mas tajaaboo lakum; wa Yawmal Qiyaamati Yakfuroona bishirkikum; wa laa yunabbi'uka mislu khabeer (Fāṭir ৩৫:১৪)

English Sahih:

If you invoke them, they do not hear your supplication; and if they heard, they would not respond to you. And on the Day of Resurrection they will deny your association. And none can inform you like [one] Aware [of all matters]. (Fatir [35] : 14)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনবে না আর যদি শুনেও, তবুও তোমাদের (ডাকে) সাড়া দিতে পারবে না। আর তোমরা যে তাদেরকে (আল্লাহর) অংশীদার গণ্য করতে, ক্বিয়ামতের দিন তা তারা অস্বীকার করবে। কেউই তোমাদেরকে সর্বজ্ঞ আল্লাহর মত খবর জানাতে পারবে না। (ফাতির [৩৫] : ১৪)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমরা তাদের আহবান করলে তারা তোমাদের আহবান শুনবে না[১] এবং শুনলেও তোমাদের আহবানে সাড়া দেবে না।[২] তোমরা তাদেরকে যে অংশী করছ, তা ওরা কিয়ামতের দিন অস্বীকার করবে। [৩] আর সর্বজ্ঞ (আল্লাহ)র ন্যায় কেউই তোমাকে অবহিত করতে পারে না।[৪]

[১] অর্থাৎ, যদি তোমরা কষ্টের সময় তাদেরকে ডাক, তবে তারা তোমাদের ডাক শুনবেই না, কারণ তারা পাথর জাতীয় বস্তু অথবা মাটির গর্ভে সমাধিস্থ (জাগতিক সংস্পর্শের বাইরে)।

[২] অর্থাৎ, যদি তারা শুনতেও পায় তবুও কোন লাভ নেই, কারণ তারা তোমাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়।

[৩] এবং বলবে (مَا كُنْتُمْ إِيَّانَا تَعْبُدُونَ) অর্থাৎ, তোমরা আমাদের ইবাদত করতে না। (সূরা ইউনুস ১০;২৮ আয়াত) (إِنْ كُنَّا عَنْ عِبَادَتِكُمْ لَغَافِلِينَ) অর্থাৎ, আমরা তো তোমাদের ইবাদত থেকে উদাসীন ছিলাম।" (সূরা ইউনুস ১০;২৯ আয়াত) এই আয়াত থেকে এটাও বোঝা যায় যে, আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, তারা সকলে পাথরের নিথর মূর্তিই নয়, বরং তাতে জ্ঞানসম্পন্ন (ফিরিশতা, জ্বিন, শয়তান এবং নেক মানুষ)ও আছে। তবেই না এইভাবে তারা অস্বীকার করবে। আর এটাও জানা গেল যে, প্রয়োজন পূরণের আশায় তাদেরকে আহবান করা শিরক।

[৪] কারণ, তাঁর মত পরিপূর্ণ ইলম কারোর নিকট নেই। তিনিই সকল বস্তুর রহস্য ও প্রকৃতত্ব সম্পর্কে পূর্ণ খবর রাখেন। আর ঐ সকল উপাস্য যাদেরকে ডাকা হয়, তাদের যে কোন প্রকার এখতিয়ার বা ক্ষমতা নেই, তারা যে কারো ডাকে সাড়া দিতে পারে না এবং কিয়ামতের দিন তারা যে তাদের উপাসনার কথা অস্বীকার করবে -- এ সব কিছু উক্ত ইলমের শামিল।