Skip to main content

لَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلٰٓى اَكْثَرِهِمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ   ( يس: ٧ )

laqad
لَقَدْ
Certainly
নিশ্চয়ই
ḥaqqa
حَقَّ
(has) proved true
অবধারিত হয়েছে
l-qawlu
ٱلْقَوْلُ
the word
(শান্তির) বাণী
ʿalā
عَلَىٰٓ
upon
উপর
aktharihim
أَكْثَرِهِمْ
most of them
তাদের অধিক অংশের
fahum
فَهُمْ
so they
সুতরাং তারা
لَا
(do) not
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
believe
ঈমান আনবে

Laqad haqqal qawlu 'alaaa aksarihim fahum laa yu'minoon (Yāʾ Sīn ৩৬:৭)

English Sahih:

Already the word [i.e., decree] has come into effect upon most of them, so they do not believe. (Ya-Sin [36] : 7)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(জেনে বুঝে আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কারণে) তাদের অধিকাংশের উপর (তাদের অন্তঃকরণে সীল লাগিয়ে দেয়ার) বাণী অবধারিত হয়ে গেছে, কাজেই তারা ঈমান আনবে না। (ইয়াসীন [৩৬] : ৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ওদের অধিকাংশের জন্য (শাস্তির) বাণী অবধারিত হয়েছে, সুতরাং ওরা বিশ্বাস করবে না।[১]

[১] যেমন আবু জাহল, উতবা, শায়বা, ইত্যাদি। 'বাণী অবধারিত হয়েছে'-এর উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ তাআলার এই বাণী, "আমি নিশ্চয়ই মানব ও দানব উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করব।" (সূরা সাজদাহ ৩২;১৩ আয়াত) শয়তানকে তিরস্কার করার সময়ও আল্লাহ তাআলা বলেছিলেন, "তোমার দ্বারা ও ওদের মধ্যে তোমার সকল অনুসারীদের দ্বারা আমি অবশ্যই জাহান্নাম পূর্ণ করব।" (সূরা স্বাদ ৩৮;৮৫ আয়াত) অর্থাৎ, তারা শয়তানের অনুসরণ করে নিজেদেরকে জাহান্নামের উপযুক্ত করে নিয়েছে। কারণ আল্লাহ তাআলা তো তাদেরকে ইচ্ছা, স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দানে ধন্য করেছিলেন। কিন্তু তারা তা ভুল ব্যবহার করে নিজের এখতিয়ারেই জাহান্নামের জ্বালানি হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ঈমান থেকে বঞ্চিত করেননি। কারণ জোর করে হলে তো তারা শাস্তির উপযুক্তই হত না।