Skip to main content

وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهٗ هُمُ الْبٰقِيْنَ  ( الصافات: ٧٧ )

wajaʿalnā
وَجَعَلْنَا
And We made
এবং আমরা রাখলাম
dhurriyyatahu
ذُرِّيَّتَهُۥ
his offspring
তার বংশধরকে (এমন যে)
humu
هُمُ
[they]
তারাই
l-bāqīna
ٱلْبَاقِينَ
the survivors
অবশিষ্ট

Wa ja'alnaa zurriyyatahoo hummul baaqeen (aṣ-Ṣāffāt ৩৭:৭৭)

English Sahih:

And We made his descendants those remaining [on the earth] (As-Saffat [37] : 77)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর তার বংশধরদেরকেই আমি বংশানুক্রমে বিদ্যমান রাখলাম। (আস-সাফফাত [৩৭] : ৭৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছি; [১]

[১] অধিকাংশ মুফাসসিরীনদের মতে নূহ (আঃ)-এর অবশিষ্ট বংশধর বলতে তাঁর তিনটি সন্তান ছিল; হাম, সাম ও ইয়াফেস। মানুষের পরবর্তী জন্মধারা তাদের থেকেই চলে আসছে। যার জন্য নূহ (আঃ)-কে দ্বিতীয় আদম বলা হয়। অর্থাৎ আদম (আঃ)-এর মত, আদম (আঃ)-এর পর তিনি দ্বিতীয় মানব-পিতা। সামের বংশ থেকে আরব, পারসীক, রোম এবং ইয়াহুদী ও নাসারার জন্ম। হামের বংশ থেকে সুডান (পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত) অর্থাৎ সিন্ধী, ভারতীয়, (দক্ষিণ মিসরের) নূবী, (আফ্রিকার) নিগ্রো, হাবশী, ক্বিবত্বী এবং বর্বর ইত্যাদি হয়েছে এবং ইয়াফেসের বংশ থেকে (বুলগারিয়ার) স্বাক্বালিবা, (তুর্কিস্তানের) তুর্কী, খাযার এবং ইয়া'জুজ-মা'জুজ ইত্যাদি জাতির জন্ম হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর) (এ ব্যাপারে কোন সঠিক প্রমাণ নেই।) والله أعلم।