اَؤُنْزِلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ مِنْۢ بَيْنِنَا ۗبَلْ هُمْ فِيْ شَكٍّ مِّنْ ذِكْرِيْۚ بَلْ لَّمَّا يَذُوْقُوْا عَذَابِ ۗ ( ص: ٨ )
'A-unzila 'alaihiz zikru mim baininaa; bal hum fee shakkim min Zikree bal lammaa yazooqoo 'azaab (Ṣād ৩৮:৮)
English Sahih:
Has the message been revealed to him out of [all of] us?" Rather, they are in doubt about My message. Rather, they have not yet tasted My punishment. (Sad [38] : 8)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমাদের মধ্যে তার কাছেই কি বাণী পাঠানো হয়েছে?’ আসলে তারা আমার বাণীতে সন্দিহান, (তার কারণ) তারা এখনও আমার শাস্তির স্বাদ পায়নি। (ছোয়াদ [৩৮] : ৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আমরা এত লোক থাকতে কি তারই ওপর কুরআন অবতীর্ণ করা হল?’[১] ওরা তো প্রকৃতপক্ষে আমার কুরআনে সন্দিহান,[২] ওরা এখনও আমার শাস্তি আস্বাদন করেনি। [৩]
[১] অর্থাৎ, মক্কাতে অনেক বড় বড় সর্দার ও নেতাগণ আছেন, যদি আল্লাহ কাউকে নবী বানাতে চাইতেন তবে তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে বেছে নিয়ে বানাতেন। তাঁদেরকে বাদ দিয়ে অহী ও রিসালাতের জন্য মুহাম্মাদকে চয়ন করা আশ্চর্যের ব্যাপার! ঠিক যেন তারা আল্লাহর চয়নে ভুল বের করল। এটা সত্য যে, কাজের ইচ্ছা না থাকলে বিভিন্ন বাহানা দেওয়া হয়। অন্য স্থানেও এই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন দেখুনঃ সূরা যুখরুফের ৪৩;৩১-৩২ আয়াত।
[২] অর্থাৎ, তাদের অস্বীকার এই জন্য নয় যে, মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সত্যবাদিতার জ্ঞান তাদের নিকটে ছিল না অথবা তাঁর সুস্থ বিবেক-বুদ্ধির ব্যাপারে তারা সন্দিহান ছিল। বরং আসলে তারা সেই অহীর উপরে সন্দেহ পোষণ করত, যা তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল, যার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল তাওহীদের দাওয়াত।
[৩] কারণ শাস্তি আস্বাদন করলে এমন স্পষ্ট বস্তুকে অস্বীকার ও মিথ্যা মনে করত না। আর যখন তারা সেই অস্বীকারের শাস্তি সত্যই আস্বাদন করবে, তখন এমন সময় হবে যে, না তাদের সবীকারোক্তি কাজে আসবে, আর না ঈমান কোন উপকারে আসবে।