Skip to main content

وَاِنْ يَّتَفَرَّقَا يُغْنِ اللّٰهُ كُلًّا مِّنْ سَعَتِهٖۗ وَكَانَ اللّٰهُ وَاسِعًا حَكِيْمًا   ( النساء: ١٣٠ )

And if
وَإِن
আর যদি
they separate
يَتَفَرَّقَا
তারা দুজনে পৃথক হয়
will be enriched
يُغْنِ
অভাবমুক্ত করবেন
(by) Allah
ٱللَّهُ
আল্লাহ
each (of them)
كُلًّا
প্রত্যেককে
from
مِّن
দ্বারা
His abundance
سَعَتِهِۦۚ
তাঁর প্রাচুর্য
and is
وَكَانَ
এবং হলেন
Allah
ٱللَّهُ
আল্লাহ
All-Encompassing
وَٰسِعًا
প্রাচুর্যময়
All-Wise
حَكِيمًا
প্রজ্ঞাময়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা যদি উভয়ে পৃথক হয়ে যায় তবে আল্লাহ আপন প্রাচুর্য দিয়ে প্রত্যেককে অভাবমুক্ত করে দেবেন, আল্লাহ প্রাচুর্যময়, মহাকুশলী।

English Sahih:

But if they separate [by divorce], Allah will enrich each [of them] from His abundance. And ever is Allah Encompassing and Wise.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

এবং যদি তারা পরস্পর পৃথক হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তাঁর প্রাচুর্য দ্বারা তাদের প্রত্যেককে অভাবমুক্ত করবেন। [১] বস্তুতঃ আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়।

[১] এখানে তৃতীয় অবস্থার কথা বলা হচ্ছে যে, প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যদি বনিবনাও না হয়, তাহলে তারা তালাকের মাধ্যমে পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যাবে। হতে পারে তালাকের পর পুরুষ তার চাহিদার গুণের নারী এবং মহিলা তার চাহিদার গুণের পুরুষ পেয়ে যাবে। ইসলামে তালাককে চরম ঘৃণা করা হয়েছে। একটি হাদীসে এসেছে যে, ((أَبْغَضُ الحَلاَلِ إِلَى اللهِ الطَّلاَقُ)) অর্থাৎ, তালাক আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত হালাল বস্তু। (আবূ দাঊদ) তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাতে অনুমতি দিয়েছেন। কারণ, কোন কোন সময় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যে, তালাক ব্যতীত অন্য কোন উপায় থাকে না এবং তাদের উভয় পক্ষের মঙ্গল একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার মধ্যেই থাকে। উল্লিখিত হাদীস সনদের দিক দিয়ে দুর্বল হলেও কুরআন ও হাদীসের উক্তির দ্বারা এ কথা পরিষ্কার হয় যে, এ (তালাকের) অধিকার তখনই কার্যকরী করা উচিত, যখন কোনভাবেই বনিবনাও সম্ভব হবে না।

দ্রষ্টব্যঃ উল্লিখিত হাদীস (أَبْغَضُ الحَلاَل...)কে আল্লামা আলবানী দুর্বল বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীলঃ ২০৪০নং) তবে শরয়ী কোন কারণ ছাড়া তালাক দেওয়া যে অপছন্দনীয় তাতে কোন সন্দেহ নেই।