Skip to main content

اِنْ تَجْتَنِبُوْا كَبَاۤىِٕرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنْكُمْ سَيِّاٰتِكُمْ وَنُدْخِلْكُمْ مُّدْخَلًا كَرِيْمًا   ( النساء: ٣١ )

in
إِن
If
যদি
tajtanibū
تَجْتَنِبُوا۟
you avoid
তোমরা বেঁচে চল
kabāira
كَبَآئِرَ
great (sins)
বড় বড় গুনাহ (থেকে)
مَا
(of) what
যা
tun'hawna
تُنْهَوْنَ
you are forbidden
তোমাদের নিষেধ করা হয়
ʿanhu
عَنْهُ
from [it]
তা থেকে
nukaffir
نُكَفِّرْ
We will remove
মোচন করব আমরা
ʿankum
عَنكُمْ
from you
তোমাদের থেকে
sayyiātikum
سَيِّـَٔاتِكُمْ
your evil deeds
তোমাদের ছোট পাপগুলো
wanud'khil'kum
وَنُدْخِلْكُم
and We will admit you
ও তোমাদের আমরা প্রবেশ করাব
mud'khalan
مُّدْخَلًا
(to) an entrance
প্রবেশ পথে
karīman
كَرِيمًا
a noble
সন্মানজনক

In tajtaniboo kabaaa'ira maa tunhawna 'anhu nukaffir 'ankum saiyiaatikum wa nudkhilkum mudkhalan kareemaa (an-Nisāʾ ৪:৩১)

English Sahih:

If you avoid the major sins which you are forbidden, We will remove from you your lesser sins and admit you to a noble entrance [into Paradise]. (An-Nisa [4] : 31)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যদি তোমরা নিষিদ্ধ কাজের বড় বড় গুলো হতে বিরত থাক, তাহলে আমি তোমাদের ছোট ছোট পাপগুলো ক্ষমা ক’রে দেব এবং তোমাদেরকে এক মহামর্যাদার স্থানে প্রবেশ করাব। (আন নিসা [৪] : ৩১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমাদেরকে যা নিষেধ করা হয়েছে, তার মধ্যে যা গুরুতর (পাপ) তা থেকে বিরত থাকলে[১] আমি তোমাদের লঘুতর পাপগুলিকে মোচন করে দেব এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশাধিকার দান করব।

[১] কাবীরা তথা মহাপাপের সংজ্ঞায় মতভেদ রয়েছে। কেউ বলেছেন, মহাপাপ হল এমন পাপ, যার জন্য দন্ড বা শাস্তি নির্দিষ্ট আছে। কেউ বলেছেন, তা হল এমন পাপ, যার উপর কুরআন ও হাদীসে কঠোর ধমক অথবা লানত এসেছে। আবার কেউ বলেছেন, যে সমস্ত কাজ থেকে আল্লাহ ও তাঁর রসূল বাধা দান করেছেন সে সমস্ত কাজ করলে কাবীরা গুনাহ হবে। বস্তুতঃ উল্লিখিত যে কথাই কোন পাপে পাওয়া যাবে, তা কাবীরা গুনাহ বিবেচিত হবে। হাদীসসমূহে বিভিন্ন কাবীরা গুনাহের কথা উল্লেখ হয়েছে। কোন কোন আলেম তো কাবীরা গুনাহগুলো একটি কিতাবে একত্রিত করে দিয়েছেন। যেমন, ইমাম যাহাবীর 'আল-কাবায়ের', ইমাম হায়তামীর 'আয্যাওয়াজের আ'ন ইকতিরাফিল কাবায়ের' ইত্যাদি। এখানে একটি নীতিকথা বলা হল যে, যে মুসলিম কাবীরা গুনাহ যেমন, শিরক, পিতা-মাতার অবাধ্যতা এবং মিথ্যা কথা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকবে, আমি তার স্বাগীরা গুনাহ মাফ করে দিব। সূরা নাজম ৫৩;৩১ নং আয়াতেও এই বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। তবে সেখানে স্বাগীরা গুনাহ মাফের জন্য কাবীরা গুনাহের সাথে সাথে নির্লজ্জকর কাজ থেকেও বিরত থাকা জরুরী বলা হয়েছে। এ ছাড়াও অব্যাহতভাবে স্বাগীরা গুনাহ করতে থাকলে, তা কাবীরা গুনাহে পরিণত হয়ে যায়। অনুরূপ কাবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার সাথে সাথে ইসলামের বিধি-বিধান ও তার ফরয কার্যাদি পালন করা এবং সৎ কর্মসমূহের প্রতি যত্ন নেওয়াও অতীব জরুরী। সাহাবায়ে কেরামগণ শরীয়তের এই লক্ষ্য বুঝে নিয়েছিলেন। তাই তাঁরা কেবল ক্ষমার অঙ্গীকারের উপরেই ভরসা করে বসে ছিলেন না, বরং আল্লাহর ক্ষমা ও তাঁর রহমত সুনিশ্চিতভাবে পাওয়ার জন্য উল্লিখিত সমূহ বিষয়ের প্রতি যত্ন নিয়েছিলেন। আর আমাদের ঝুলি তো আমল শূন্য, কিন্তু অন্তর আমাদের আশা-ভরসায় পরিপূর্ণ।