قَالُوْٓا اَوَلَمْ تَكُ تَأْتِيْكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنٰتِ ۗقَالُوْا بَلٰىۗ قَالُوْا فَادْعُوْا ۚوَمَا دُعٰۤؤُا الْكٰفِرِيْنَ اِلَّا فِيْ ضَلٰلٍ ࣖ ( غافر: ٥٠ )
Qaalooo awalam taku taateekum Rusulukum bilbaiyinaati qaaloo balaa' qaaloo fad'oo; wa maa du'aaa'ul kaafireena illaa fee dalaal (Ghāfir ৪০:৫০)
English Sahih:
They will say, "Did there not come to you your messengers with clear proofs?" They will say, "Yes." They will reply, "Then supplicate [yourselves], but the supplication of the disbelievers is not except in error [i.e., futility]." (Ghafir [40] : 50)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
রক্ষীগণ বলবে- রসূলগণ কি স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে তোমাদের কাছে আসেনি? তারা (উত্তরে) বলবে, হাঁ (এসেছিল)। জাহান্নামের রক্ষীরা বলবে- তাহলে তোমরাই দু‘আ কর, কাফিরদের দু‘আ নিষ্ফলই হয়। (আল-মু'মিন [৪০] : ৫০)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তারা বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি স্পষ্ট নিদর্শনাবলী সহ তোমাদের রসূলগণ আসেনি?’ (জাহান্নামীরা) বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল।’ (প্রহরীরা) বলবে, ‘তবে তোমরা প্রার্থনা করতে থাক।[১] আর সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রার্থনা ব্যর্থই হয়।’[২]
[১] অর্থাৎ, আমরা এ রকম লোকদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে কি কিছু বলতে পারি, যাদের কাছে আল্লাহর নবীরা বহু দলীল এবং মু'জিযাসমূহ নিয়ে আগমন করেছিলেন, কিন্তু তারা কোন পারোয়াই করেনি? (সুতরাং তোমরা নিজেরাই প্রার্থনা অথবা আহবান কর।)
[২] পরিশেষে তারা নিজেরাই আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে। কিন্তু সেখানে তাদের ফরিয়াদে কর্ণপাত করা হবে না। কারণ, দুনিয়াতে তাদের উপর হুজ্জত পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আখেরাত তো ঈমান আনার এবং তওবা ও আমল করার স্থান নয়। আখেরাত তো প্রতিদান ও প্রতিফল লাভের স্থান। দুনিয়াতে যা কিছু করা হবে, তার পরিণাম সেখানে ভোগ করতে হবে।