وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا رَبَّنَآ اَرِنَا الَّذَيْنِ اَضَلّٰنَا مِنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ اَقْدَامِنَا لِيَكُوْنَا مِنَ الْاَسْفَلِيْنَ ( فصلت: ٢٩ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
কাফিররা বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! জ্বিন ও মানুষদের মধ্যেকার যারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল তাদের উভয়কে দেখিয়ে দিন, তাদের উভয়কে পায়ের তলায় পিষ্ট করব, যাতে তারা নিকৃষ্ট অধমদের মধ্যে গণ্য হয়।
English Sahih:
And those who disbelieved will [then] say, "Our Lord, show us those who misled us of the jinn and men [so] we may put them under our feet that they will be among the lowest."
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীরা বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যে সব জ্বিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল তাদেরকে দেখিয়ে দাও,[১] আমরা তাদেরকে পদদলিত করব, যাতে ওরা লাঞ্ছিত হয়।’ [২]
[১] এর অর্থ পরিষ্কার যে, ভ্রষ্টকারী কেবল শয়তানরাই হয় না, বরং অনেক সংখ্যক মানুষও শয়তানের প্রভাবে লোকদেরকে ভ্রষ্ট করার কাজে ব্যস্ত থাকে। পক্ষান্তরে কেউ কেউ জ্বিন বলতে ইবলীস এবং ইনসান বলতে ক্বাবীলকে বুঝিয়েছেন; যে মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম নিজের ভাই হাবীলকে হত্যা করে যুলুম এবং মহাপাপ সম্পাদন করে। হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত পর্যন্ত অন্যায়ভাবে সংঘটিত সমস্ত হত্যার পাপের একটি অংশ তার ঘাড়ে চাপবে। কারণ সেই হল মানুষের ইতিহাসে হত্যা-অপরাধের পথিকৃৎ। আমাদের মতে প্রথম অর্থই সর্বাধিক সঠিক।
[২] অর্থাৎ, আমাদের পা দিয়ে তাদেরকে পদদলিত করে খুব লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করি। জাহান্নামীদের অনুসৃত নেতাদের উপর যে রাগ হবে তা মিটানোর জন্য তারা এ কথা বলবে। অথচ তারা সকলেই অপরাধী এবং সকলেই এক সাথে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। যেমন মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, ﴿لِكُلِّ ضِعْفٌ وَلَكِنْ لاَ تَعْلَمُوْنَ﴾ অর্থাৎ, প্রত্যেকের জন্য দ্বিগুণ (শাস্তি) রয়েছে; কিন্তু তোমরা জান না। (আ'রাফঃ ৩৮) জাহান্নামীদের কথা আলোচনা করার পর মহান আল্লাহ ঈমানদার জান্নাতীদের কথা আলোচনা করছেন। আর এটাই হলো সাধারণতঃ কুরআনের বাক্য-বিন্যাস-পদ্ধতি। যাতে ভয়ের সাথে আশা এবং আশার সাথে ভয়ের কথা উল্লেখ করার প্রতিও যত্ন নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ভীতি প্রদর্শনের পর এবার সুসংবাদ দেওয়া হচ্ছে।