Skip to main content

۞ قُلْ اَىِٕنَّكُمْ لَتَكْفُرُوْنَ بِالَّذِيْ خَلَقَ الْاَرْضَ فِيْ يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُوْنَ لَهٗٓ اَنْدَادًا ۗذٰلِكَ رَبُّ الْعٰلَمِيْنَ ۚ   ( فصلت: ٩ )

qul
قُلْ
Say
বলো
a-innakum
أَئِنَّكُمْ
"Do you indeed
তোমরা কি নিশ্চিত
latakfurūna
لَتَكْفُرُونَ
[surely] disbelieve
অস্বীকার করছো অবশ্যই
bi-alladhī
بِٱلَّذِى
in the One Who
(তাকে) যিনি
khalaqa
خَلَقَ
created
সৃষ্টি করেছেন
l-arḍa
ٱلْأَرْضَ
the earth
পৃথিবীকে
فِى
in
মধ্যে
yawmayni
يَوْمَيْنِ
two periods
দু'দিনের
watajʿalūna
وَتَجْعَلُونَ
and you set up
অথচ তোমরা দাঁড় করাচ্ছো
lahu
لَهُۥٓ
with Him
তাঁর জন্যে
andādan
أَندَادًاۚ
rivals?
সমকক্ষ (অন্যদেরকে)
dhālika
ذَٰلِكَ
That
তিনিই
rabbu
رَبُّ
(is the) Lord
রব
l-ʿālamīna
ٱلْعَٰلَمِينَ
(of) the worlds"
বিশ্বজগতের"

Qul a'innakum latakfuroona billazee khalaqal arda fee yawmaini wa taj'aloona lahooo andaadaa; zaalika Rabbul 'aalameen (Fuṣṣilat ৪১:৯)

English Sahih:

Say, "Do you indeed disbelieve in He who created the earth in two days and attribute to Him equals? That is the Lord of the worlds." (Fussilat [41] : 9)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বল- তোমরা কি তাঁকে অস্বীকারই করছ যিনি যমীনকে সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে আর তাঁর সমকক্ষ বানাচ্ছ? তিনিই তো বিশ্বজগতের রব্ব। (হা-মীম সেজদাহ [৪১] : ৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

বল, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই যিনি দু’দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন[১] এবং তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাবে? তিনি তো বিশ্বজগতের প্রতিপালক।

[১] কুরআন কারীমের একাধিক স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, "আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।" এখানে তার কিছু বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বলেছেন, পৃথিবীকে দু'দিনে বানিয়েছেন। আর এ থেকে রবি ও সোমবার বুঝানো হয়েছে। (তবে সে দিনের পরিমাণ কত, তা আল্লাহই ভালো জানেন।) সূরা নাযিআত ৭৯;৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ﴿وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا﴾ এ থেকে বাহ্যিকভাবে বুঝা যায় যে, পৃথিবীকে আসমানের পর বানানো হয়েছে। অথচ এখানে পৃথিবী সৃষ্টির উল্লেখ আকাশ সৃষ্টির পূর্বে করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর ব্যাখ্যা এইভাবে করেছেন যে, সৃষ্টি করা এক জিনিস এবং دَحَى যার মূল হল, دَحْوٌ (বিস্তৃত করা বা বিছানো) আর এক জিনিস। অর্থাৎ, পৃথিবী সৃষ্টি আসমানের পূর্বে হয়েছে। যেমন, এখানেও বলা হয়েছে এবং دَحْوٌ অর্থাৎ, পৃথিবীকে বসবাসের যোগ্য বানানোর জন্য এর মধ্যে পানির ভান্ডার রাখা হয়, তাকে প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদনের ক্ষেত্র বানানো হয়। ﴿اَخْرَجَ مِنْهَا مَآءَهَا وَمَرْعَاهَا﴾ এতে পাহাড়, নদ-নদী এবং নানা প্রকার ধাতু ও খনিজ পদার্থ রাখা হয়। এ সব কাজ সুসম্পন্ন হয় আকাশ সৃষ্টির পর অন্য দুই দিনে। এইভাবে পৃথিবী ও তার সংশ্লিষ্ট সমস্ত জিনিসের সৃষ্টি চার দিনে পরিপূর্ণ হয়। (বুখারীঃ তাফসীর সূরা হা-মীম সাজদাহ)