Skip to main content

اَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَّاِنَاثًا ۚوَيَجْعَلُ مَنْ يَّشَاۤءُ عَقِيْمًا ۗاِنَّهٗ عَلِيْمٌ قَدِيْرٌ   ( الشورى: ٥٠ )

Or
أَوْ
অথবা
He grants them
يُزَوِّجُهُمْ
তাদেরকে মিলিয়ে দেন
males
ذُكْرَانًا
পুত্রসমূহ
and females;
وَإِنَٰثًاۖ
ও কন্যাসমূহ
and He makes
وَيَجْعَلُ
এবং করে দেন
whom
مَن
যাকে
He wills
يَشَآءُ
ইচ্ছে করেন
barren
عَقِيمًاۚ
বন্ধ্যা
Indeed He
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
(is) All-Knower
عَلِيمٌ
সর্বজ্ঞ (সবকিছু জানেন)
All-Powerful
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অথবা তাদেরকে দেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই। আর যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত ও ক্ষমতাবান।

English Sahih:

Or He makes them [both] males and females, and He renders whom He wills barren. Indeed, He is Knowing and Competent.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অথবা দান করেন পুত্র-কন্যা উভয়ই[১] এবং যাকে ইচ্ছা তাকে বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান।

[১] অর্থাৎ, যাকে চান পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন। এখানে মহান আল্লাহ চার প্রকার মানুষের কথা উল্লেখ করেছেন। (ক) যারা কেবল পুত্র সন্তান লাভ করে। (খ) যারা কেবল কন্যা সন্তান লাভ করে। (গ) যারা পুত্র ও কন্যা উভয় সন্তান লাভ করে। (ঘ) বন্ধ্যা; যারা না পুত্র সন্তান পায়, আর না কন্যা সন্তান। মানুষের মাঝে এই পার্থক্য ও তফাৎ আল্লাহ তাআলার মহাশক্তির নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ কর্তৃক জারী এই তফাৎকে পৃথিবীর কোন শক্তি পরিবর্তন করার সামর্থ্য রাখে না। এই পার্থক্য তো জাতকের দিক দিয়ে। জনকের দিক দিয়েও মানুষ চার প্রকার। যথাঃ (ক) আদম (আঃ)-কে কেবল মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর না বাপ আছেন, আর না মা। (খ) হাওয়া (আলাইহাস সালাম)-কে আদম (আঃ) হতে; অর্থাৎ পুরুষ থেকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর মা নেই। (গ) ঈসা (আঃ)-কে কেবল নারীর গর্ভ থেকে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর বাপ নেই। (ঘ) অবশিষ্ট সকল মানুষকে নারী-পুরুষের মিলনের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছেন। তাদের জনক আছে এবং জননীও। فَسُبْحَانَ اللهِ الْعَلِيْمِ الْقَدِيْرِ (ইবনে কাসীর)