Skip to main content

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَوْ كَانَ خَيْرًا مَّا سَبَقُوْنَآ اِلَيْهِۗ وَاِذْ لَمْ يَهْتَدُوْا بِهٖ فَسَيَقُوْلُوْنَ هٰذَآ اِفْكٌ قَدِيْمٌ   ( الأحقاف: ١١ )

waqāla
وَقَالَ
And say
এবং বলে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
disbelieve
অস্বীকার করেছে
lilladhīna
لِلَّذِينَ
of those who
(তাদের)-কে যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
believe
ঈমান এনেছে
law
لَوْ
"If
"যদি
kāna
كَانَ
it had been
হতো
khayran
خَيْرًا
good
উত্তম
مَّا
not
না
sabaqūnā
سَبَقُونَآ
they (would) have preceded us
তারা আমাদের আগে যেতে পারত
ilayhi
إِلَيْهِۚ
to it"
তার প্রতি"
wa-idh
وَإِذْ
And when
এবং যখন
lam
لَمْ
not
নি
yahtadū
يَهْتَدُوا۟
they (are) guided
পথ পায়
bihi
بِهِۦ
by it
তার দ্বারা
fasayaqūlūna
فَسَيَقُولُونَ
they say
তখন তারা অচিরেই বলবেই
hādhā
هَٰذَآ
"This
"এটা
if'kun
إِفْكٌ
(is) a lie
মিথ্যা
qadīmun
قَدِيمٌ
ancient"
পুরাতন"

Wa qaalal lazeena kafaroo lillazeena aamanoo law kaana khairam maa sabaqoonaaa ilyh; wa iz lam yahtadoo bihee fasa yaqooloona haazaaa ifkun qadeem (al-ʾAḥq̈āf ৪৬:১১)

English Sahih:

And those who disbelieve say of those who believe, "If it had [truly] been good, they would not have preceded us to it." And when they are not guided by it, they will say, "This is an ancient falsehood." (Al-Ahqaf [46] : 11)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কাফিররা মু’মিনদের সম্পর্কে বলে, তা (অর্থাৎ কুরআন) যদি ভাল হত তাহলে তারা আমাদেরকে পেছনে ফেলে ওটার দিকে এগিয়ে যেতে পারত না (আমরাই কুরআনকে আগে গ্রহণ করে নিতাম) আর যেহেতু তারা এর দ্বারা (অর্থাৎ কাফিররা এ কুরআন দ্বারা) সঠিক পথ পায়নি, সে কারণে তারা অবশ্যই বলবে- এটা এক পুরনো মিথ্যে। (আল আহক্বাফ [৪৬] : ১১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

বিশ্বাসীদের সম্পর্কে অবিশ্বাসীরা বলে, ‘এটা ভাল হলে তারা এর দিকে আমাদের অগ্রগামী হত না।’ আর যখন তারা এ (কুরআন) দ্বারা পরিচালিত নয়, তখন তারা বলবে যে, ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা।’[১]

[১] বিলাল, আম্মার, সুহাইব ও খাব্বাব (রাযিবয়াল্লাহু আনহুম)-এর মত মুসলিমরা ছিলেন মক্কার মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র ও নিঃস্ব ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু ইসলাম গ্রহণে অগ্রগামিতার সৌভাগ্য লাভে তাঁরাই ধন্য হন। এ দেখে মক্কার কাফেররা বলত যে, এই দ্বীনে যদি কোন কল্যাণ থাকত, তবে আমাদের মত সম্মানী ও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই সর্বপ্রথম তা গ্রহণ করত, ওরা আমাদের আগে ঈমান আনতে পারত না। (অর্থাৎ তারা নিজেরাই নিজেদের ব্যাপারে ভেবে নিল যে, আল্লাহর নিকট তাদের বিরাট মর্যাদা রয়েছে।) এই দ্বীন যদি আল্লাহর পক্ষ হতে হত, তবে তিনি তা গ্রহণ করার ব্যাপারে আমাদেরকে পিছনে ফেলে রাখতেন না। আর আমাদের তা গ্রহণ না করার অর্থই হল যে, এটা একটি পুরাতন মিথ্যা। অর্থাৎ, কুরআনকে তারা 'পুরাতন মিথ্যা' বলে আখ্যায়িত করল। যেমন এটাকে তারা أَسَاطِيْرُ الأَوَّلِيْنَ (পূর্ববর্তীদের কেচ্ছা-কাহিনী)ও বলত। অথচ দুনিয়াতে কারো ধন-মালের মালিক হওয়া আল্লাহর নিকট গণ্য ব্যক্তি হওয়ার দলীল নয়। (যেমন তাদের ভুল ধারণা ছিল বা শয়তান তাদেরকে এই ভুল ধারণায় ফেলে রেখেছিল।) আল্লাহর নিকট গণ্য হওয়ার জন্য তো ঈমান ও ইখলাসের প্রয়োজন। আর তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে এই ঈমান ও ইখলাসের ধন দানে ধন্য করেন। যেমন তিনি পরীক্ষার জন্য যাকে ইচ্ছা তাকে মাল-ধন দিয়ে থাকেন।