Skip to main content

اِنَّ الَّذِيْنَ يُبَايِعُوْنَكَ اِنَّمَا يُبَايِعُوْنَ اللّٰهَ ۗيَدُ اللّٰهِ فَوْقَ اَيْدِيْهِمْ ۚ فَمَنْ نَّكَثَ فَاِنَّمَا يَنْكُثُ عَلٰى نَفْسِهٖۚ وَمَنْ اَوْفٰى بِمَا عٰهَدَ عَلَيْهُ اللّٰهَ فَسَيُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا ࣖ   ( الفتح: ١٠ )

Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
those who
ٱلَّذِينَ
যারা
pledge allegiance to you
يُبَايِعُونَكَ
তোমার কাছে আনুগত্যের শপথ নেয়
only
إِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
they pledge allegiance
يُبَايِعُونَ
তারা আনুগত্যের শপথ নেয়
(to) Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহর (নিকট)
(The) Hand
يَدُ
(ছিল) হাত
(of) Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
(is) over
فَوْقَ
উপর
their hands
أَيْدِيهِمْۚ
তাদের হাতগুলোর
Then whoever
فَمَن
সুতরাং যে
breaks (his oath)
نَّكَثَ
ভঙ্গ করবে (তার ওয়াদা)
then only
فَإِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
he breaks
يَنكُثُ
সে ভঙ্গ করবে
against
عَلَىٰ
উপর
himself
نَفْسِهِۦۖ
তার নিজের (কৃত ওয়াদা)
and whoever
وَمَنْ
এবং যে
fulfils
أَوْفَىٰ
পূর্ণ করবে
what
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
he has covenanted
عَٰهَدَ
সে অঙ্গীকার করেছে
(with)
عَلَيْهُ
তার উপর
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহর সাথে
soon He will give him
فَسَيُؤْتِيهِ
তবে তাকে শীঘ্রই দিবেন তিনি
a reward
أَجْرًا
পুরস্কার
great
عَظِيمًا
বিরাট

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যারা তোমার কাছে বাই‘আত (অর্থাৎ আনুগত্য করার শপথ) করে আসলে তারা আল্লাহর কাছে বাই‘আত করে। তাদের হাতের উপর আছে আল্লাহর হাত। এক্ষণে যে এ ও‘য়াদা ভঙ্গ করে, এ ও‘য়াদা ভঙ্গের কুফল তার নিজেরই উপর পড়বে। আর যে ও‘য়াদা পূর্ণ করবে- যা সে আল্লাহর সঙ্গে করেছে- তিনি অচিরেই তাকে মহা পুরস্কার দান করবেন।

English Sahih:

Indeed, those who pledge allegiance to you, [O Muhammad] – they are actually pledging allegiance to Allah. The hand of Allah is over their hands. So he who breaks his word only breaks it to the detriment of himself. And he who fulfills that which he has promised Allah – He will give him a great reward.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয় যারা তোমার বায়আত গ্রহণ করে, তারা তো আল্লাহরই বায়আত গ্রহণ করে।[১] আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর।[২] সুতরাং যে তা ভঙ্গ করে, তা ভঙ্গ করার পরিণাম তাকেই ভোগ করতে হবে[৩] এবং যে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার পূর্ণ করে,[৪] তিনি তাকে মহা পুরস্কার দেন।

[১] এই আয়াতে ঐ বায়আতে রিযওয়ানের কথাই বুঝানো হয়েছে, যে বায়আত নবী করীম (সাঃ) উসমান (রাঃ)-এর শহীদ হওয়ার খবর শুনে তাঁর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হুদাইবিয়ায় উপস্থিত ১৪ বা ১৫ শত মুসলিমদের কাছ থেকে গ্রহণ করেছিলেন।

[২] অর্থাৎ, এই বাইয়াত (শপথ) প্রকৃতপক্ষে আল্লাহরই। কেননা, তিনিই জিহাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর প্রতিদানও তিনিই দেবেন। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, এরা নিজেদের জান ও মালের পরিবর্তে আল্লাহর নিকট জান্নাত ক্রয় করেছে। (সূরা তাওবাহ ৯;১১১) আর এটা ঠিক এই ধরনের যেমন, {مَن يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللهَ} অর্থাৎ, যে রসূলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল। (সূরা নিসা ৪;৮০)

[৩] نَكْثٌ (অঙ্গীকার ভঙ্গ করা) থেকে এখানে বাইয়াত ভঙ্গ করা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, শপথ অনুযায়ী যুদ্ধে শরীক না হওয়া। মানে যে ব্যক্তি এ রকম করবে, তার মন্দ পরিণাম তারই উপর আসবে।

[৪] অর্থাৎ, যে আল্লাহর রসূলকে সাহায্য করে। তাঁর সাথে মিলে সেই পর্যন্ত যুদ্ধ করে, যে পর্যন্ত না মহান আল্লাহ মুসলিমদের বিজয় ও সাফল্য দান করেন।