Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَرْفَعُوْٓا اَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوْا لَهٗ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ اَنْ تَحْبَطَ اَعْمَالُكُمْ وَاَنْتُمْ لَا تَشْعُرُوْنَ   ( الحجرات: ٢ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O you who believe!
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
O you who believe!
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
O you who believe!
ঈমান এনেছ
لَا
(Do) not
না
tarfaʿū
تَرْفَعُوٓا۟
raise
তোমরা উঁচু করো
aṣwātakum
أَصْوَٰتَكُمْ
your voices
তোমাদের কন্ঠস্বরকে
fawqa
فَوْقَ
above
উপর
ṣawti
صَوْتِ
(the) voice
কন্ঠস্বরের
l-nabiyi
ٱلنَّبِىِّ
(of) the Prophet
নবীর
walā
وَلَا
and (do) not
এবং না
tajharū
تَجْهَرُوا۟
be loud
তোমরা উচ্চ করো (আওয়াজ)
lahu
لَهُۥ
to him
তাঁর সাথে
bil-qawli
بِٱلْقَوْلِ
in speech
কথা বলার ক্ষেত্রে
kajahri
كَجَهْرِ
like (the) loudness
যেমন উচ্চ হয় (আওয়াজ)
baʿḍikum
بَعْضِكُمْ
(of) some of you
তোমাদের একে
libaʿḍin
لِبَعْضٍ
to others
অপরের (সাথে)
an
أَن
lest
(এমন না হয়) যে
taḥbaṭa
تَحْبَطَ
become worthless
নষ্ট হয়ে যায়
aʿmālukum
أَعْمَٰلُكُمْ
your deeds
তোমাদের আমলগুলো
wa-antum
وَأَنتُمْ
while you
এবং তোমরা
لَا
(do) not
না
tashʿurūna
تَشْعُرُونَ
perceive
টেরও পাবে

Yaa ayyuhal lazeena aamanoo laa tarfa'ooo aswaatakum fawqa sawtin Nabiyi wa laa tajharoo lahoo bilqawli kajahri ba'dikum liba 'din an tahbata a 'maalukum wa antum laa tash'uroon (al-Ḥujurāt ৪৯:২)

English Sahih:

O you who have believed, do not raise your voices above the voice of the Prophet or be loud to him in speech like the loudness of some of you to others, lest your deeds become worthless while you perceive not. (Al-Hujurat [49] : 2)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উচ্চ করো না। তোমরা নিজেরা পরস্পরে যেমন উচ্চ আওয়াজে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সে রকম উচ্চ আওয়াজে কথা বলো না। তা করলে তোমাদের (যাবতীয়) কাজকর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে, আর তোমরা একটু টেরও পাবে না। (আল হুজরাত [৪৯] : ২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চ স্বরে কথা বল, তার সাথে সেইভাবে উচ্চ স্বরে কথা বলো না; কারণ এতে অজ্ঞাতসারে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে।[১]

[১] এখানে সেই আদব, শ্রদ্ধা, ভক্তি ও মর্যাদা-সম্মানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যা প্রত্যেক মুসলিমকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর জন্য নিবেদন করতে হয়। প্রথম আদব হল, তাঁর উপস্থিতিতে যখন তোমরা আপোসে কথোপকথন কর, তখন তোমাদের কণ্ঠস্বর যেন তাঁর কণ্ঠস্বরের উপর উঁচু না হয়ে যায়। দ্বিতীয় আদব হল, যখন নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে কথোপকথন কর, তখন অতি বিনয়, ভদ্রতা ও ধীরতার সাথে কর। ঐভাবে উচ্চৈঃস্বরে তাঁর সাথে কথা বলো না, যেভাবে তোমরা আপোসে নিঃসংকোচে পরস্পরের সাথে বলে থাক। কেউ বলেছেন, এর অর্থ হল, 'হে মুহাম্মাদ! হে আহমাদ!' বলে ডেকো না, বরং শ্রদ্ধার সাথে 'হে আল্লাহর রসূল!' বলে সম্বোধন করো। যদি আদব ও শ্রদ্ধা-সম্মানের এই দাবীগুলোর খেয়াল না কর, তবে বেআদবী হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যার ফলে তোমাদের সৎকর্মাদি নিষ্ফল হয়ে যেতে পারে, অথচ তোমরা তার কোন টেরও পাবে না। এই আয়াতের 'শানে নুযূল' (অবতরণের পটভূমিকা) জানার জন্য দেখুনঃ বুখারী, তাফসীর সূরা হুজুরাত। তবে নির্দেশের দিক দিয়ে আয়াতটি ব্যাপক।