Skip to main content

আল মায়িদাহ শ্লোক ২৬

قَالَ فَاِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ اَرْبَعِيْنَ سَنَةً ۚيَتِيْهُوْنَ فِى الْاَرْضِۗ فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْفٰسِقِيْنَ ࣖ  ( المائدة: ٢٦ )

(Allah) said
قَالَ
(আল্লাহ) বললেন
"Then indeed it
فَإِنَّهَا
"অত:পর নিশ্চয়ই তা
(will be) forbidden
مُحَرَّمَةٌ
নিষিদ্ধ (করা হলো)
to them
عَلَيْهِمْۛ
উপর তাদের
(for) forty
أَرْبَعِينَ
চল্লিশ
years
سَنَةًۛ
বছর (পর্যন্ত)
they will wander
يَتِيهُونَ
তারা উদ্ভ্রান্ত হয়ে ফিরবে
in
فِى
উপর
the earth
ٱلْأَرْضِۚ
পৃথিবীর
So (do) not
فَلَا
অতএব না
grieve
تَأْسَ
দু:খ করো
over
عَلَى
জন্যে
the people"
ٱلْقَوْمِ
(ঐসব)সম্প্রদায়ের"
the defiantly disobedient"
ٱلْفَٰسِقِينَ
(যারা)সত্যত্যাগী"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ বললেন, তবে তা চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ হল, উদভ্রান্তের মত তারা যমীনে ঘুরে বেড়াবে, কাজেই এই অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্য হা-হুতাশ করো না।

English Sahih:

[Allah] said, "Then indeed, it is forbidden to them for forty years [in which] they will wander throughout the land. So do not grieve over the defiantly disobedient people."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

(আল্লাহ) বললেন, ‘তবে এ (ভূমি) চল্লিশ বছর তাদের জন্য নিষিদ্ধ রইল। তারা ভূ-পৃষ্ঠে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে,[১] সুতরাং তুমি সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের জন্য দুঃখ করো না।’ [২]

[১] এই ভূ-পৃষ্ঠকে ময়দানে 'তীহ' বলা হয়। ('তীহ' গোলক-ধাঁধার ময়দানকে বলে।) এই ময়দানে চল্লিশ বছর পর্যন্ত এই জাতি নিজেদের বিদ্রোহের ও জিহাদ থেকে বিমুখতা অবলম্বন করার কারণে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এর পরেও (আল্লাহর পক্ষ থেকে) এই ময়দানে 'মান্ন্' ও 'সালওয়া' অবতরণ হয়। যা (খেতে খেতে) বিরক্ত হয়ে তারা তাদের নবী (মূসা (আঃ))-কে বলে, 'প্রতিদিন একই খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের অরুচি হয়ে গেছে। অতএব আপনি আপনার প্রভুর নিকট দু'আ করুন যে, তিনি যেন আমাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সবজী ও ডাল উৎপন্ন করেন।' এই ময়দানেই তাদের উপর মেঘ দ্বারা ছায়া দান করা হয়। এখানেই মূসা (আঃ) লাঠি দ্বারা পাথরকে আঘাত করলে বারো গোত্রের জন্য বারোটি ঝর্ণা নিঃসৃত হয় এবং অনুরূপ তারা আরো বহুভাবে নিয়ামতপ্রাপ্ত হতে থাকে। পরিশেষে চল্লিশ বছর পর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, তখন তারা বায়তুল মাকদিস প্রবেশ করে।

[২] নবী (মূসা (আঃ)) দাওয়াত ও তাবলীগ করার পর যখন দেখেন যে, তাঁর গোত্র সোজা ও সরল পথ অবলম্বনে প্রস্তুত নয়; যার মধ্যে তাদের ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে, তখন প্রকৃতিগতভাবে তিনি বড় আক্ষেপ ও আন্তরিকভাবে দুঃখ-দুশ্চিন্তার শিকার হয়ে পড়েন। ঠিক একই অবস্থা মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর হত, যা কুরআন শরীফের বিভিন্ন জায়গায় বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আলোচ্য আয়াতে মূসা (আঃ)-কে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে যে, যখন তুমি তাবলীগের গুরুভার আদায় করেছ এবং আল্লাহর পয়গাম লোকদের নিকট পৌঁঁছে দিয়েছ, তুমি তোমার জাতিকে এক মহান সফলতার দ্বার প্রান্তে উপস্থিত করেছ, কিন্তু তারা তাদের হীনন্মন্যতা ও দুর্মতির কারণে তোমার কথা মান্য করে না, তখন তুমি তোমার কর্তব্য পালনের দায়িত্ব হতে নিষ্কৃতি পেয়ে গেছ। সুতরাং তোমাকে এ ব্যাপারে দুঃখিত ও চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এমন পরিস্থিতিতে দুঃখিত ও চিন্তিত হওয়াটা একটা প্রকৃতগত ব্যাপার ছিল। কিন্তু সান্ত্বনা দানের উদ্দেশ্য এই ছিল যে, দাওয়াত ও তাবলীগের পর আল্লাহর নিকটে তুমি দায়িত্বমুক্ত।