يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَيَبْلُوَنَّكُمُ اللّٰهُ بِشَيْءٍ مِّنَ الصَّيْدِ تَنَالُهٗٓ اَيْدِيْكُمْ وَرِمَاحُكُمْ لِيَعْلَمَ اللّٰهُ مَنْ يَّخَافُهٗ بِالْغَيْبِۚ فَمَنِ اعْتَدٰى بَعْدَ ذٰلِكَ فَلَهٗ عَذَابٌ اَلِيْمٌ ( المائدة: ٩٤ )
Yaaa aiyuhal lazeena aamanoo la yabluwannnakumul laahu bishai'im minas saidi tanaaluhooo aideekum wa rimaahukum liya'lamal laahu mai yakhaafuhoo bilghaib; famani' tadaa ba'da zaalika falahoo 'azaabun aleem (al-Māʾidah ৫:৯৪)
English Sahih:
O you who have believed, Allah will surely test you through something of the game that your hands and spears [can] reach, that Allah may make evident those who fear Him unseen. And whoever transgresses after that – for him is a painful punishment. (Al-Ma'idah [5] : 94)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
ওহে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করবেন (মুহরিম অবস্থায়) শিকারের ব্যাপারে যা তোমাদের হাত আর বর্শার নাগালের ভিতর এসে যায়, এটা জেনে নেয়ার জন্য যে অদৃশ্যে থেকেও কে আল্লাহকে ভয় করে। (সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে) এরপরও যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (আল মায়িদাহ [৫] : ৯৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের হাত ও বর্শা দ্বারা যা শিকার করা যায়[১] তার কিছু দ্বারা আল্লাহ তোমাদেরকে (ইহরাম অবস্থায়) পরীক্ষা করবেন।[২] যাতে আল্লাহ অবহিত হন, কে তাঁকে না দেখেও ভয় করে। সুতরাং এরপর কেউ সীমালংঘন করলে, তার জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে।
[১] শিকার করা আরববাসীদের জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা ছিল। আর সে জন্যই ইহরাম অবস্থায় তা নিষিদ্ধ করে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। বিশেষ করে হুদায়বিয়ায় অবস্থান কালে সাহাবাদের নিকট অধিকহারে শিকার আসতে থাকে, আর সে সময় এই চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়, যাতে এই সম্পর্কিত বিধান বর্ণনা করা হয়েছে ।
[২] নিকটবর্তী শিকার অথবা ছোট জন্তু শিকার সাধারণতঃ হাত দিয়েই ধরা হত এবং দূরবর্তী ও বড় জন্তুর জন্য তীর-বল্লম ব্যবহার করা হত। সেই জন্যে এই দুয়েরই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিকার যেমনই হোক আর যেভাবেই করা হোক, ইহরাম অবস্থায় কোন রকম শিকার করা যাবে না; যা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।