আয-যারিয়াত আয়াত ২৯

তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে সম্মুখে আসল এবং তার গাল চাপড়িয়ে বলল, ‘বৃদ্ধা-বন্ধ্যা’ [১] ৷

[১] সারা যখন শুনলেন যে, ফেরেশতারা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-কে পুত্ৰ-সন্তান জন্মের সুসংবাদ দিতেছে, আর এ কথা বলাই বাহুল্য যে, সন্তান স্ত্রীর গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করে, তখন তিনি বুঝলেন যে, এই সুসংবাদ আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্যে। ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবেই তার মুখ থেকে কিছু আশ্চর্য ও বিস্ময়ের বাক্য উচ্চারিত হয়ে গেল। তিনি বললেন, প্রথমত, আমি বৃদ্ধা, এরপর বন্ধ্যা। যৌবনে আমি সন্তান ধারণের যোগ্য ছিলাম না। এখন বার্ধক্যে এটা কিরূপে সম্ভব হবে? জওয়াবে ফেরেশতাগণ যা বললেন তার অর্থ, আল্লাহ তা'আলা সবকিছু করতে পারেন। এ কাজও এমনিভাবেই হবে। কোন কোন বর্ণনা মতে, এই সুসংবাদ অনুযায়ী যখন ইসহাক আলাইহিসসালাম জন্মগ্রহণ করেন, তখন সারার বয়স নিরানব্বই বছর এবং ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর বয়স একশত বছর ছিল। [ফাতহুল কাদীর]

তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল এবং নিজ মুখ চাপড়িয়ে বলল, ‘বৃদ্ধা-বন্ধ্যা’।

অতঃপর তাঁর স্ত্রী চীৎকার করতে করতে সামনে এল এবং মুখ চাপড়িয়ে বললঃ আমি তো বৃদ্ধা, বন্ধ্যা।

তারপর তাঁর স্ত্রী এগিয়ে এলেন বিলাপ করতে-করতে, আর তিনি তাঁর গালে চাপড় মারছেন এবং বলছেন, ''এক বুড়ি, বন্ধ্যা!’’

তখন তার স্ত্রী উচ্চৈঃস্বরে বলতে বলতে সামনে আসল এবং সে তার গাল চাপড়িয়ে বলতে লাগল, এক বৃদ্ধা বন্ধ্যা (বাচ্চা জন্ম দেবে)?

তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে সামনে এসে গাল চাপড়িয়ে বললঃ এই বৃদ্ধা বন্ধ্যার সন্তান হবে?

Please check ayah 51:37 for complete tafsir.

তখন তার স্ত্রী চিৎকার দিয়ে এগিয়ে এল এবং নিজের মুখমণ্ডল চাপড়িয়ে বলল, “বৃদ্ধা, বন্ধ্যা।” (অর্থাৎ আমি তো বৃদ্ধা ও বন্ধ্যা। আমার সন্তান হবে কি করে?)

২৯. যখন তাঁর স্ত্রী সুসংবাদ শ্রবণ করলেন তখন তিনি আনন্দে চিৎকার করে অগ্রসর হয়ে নিজ চেহারায় থাপ্পড় মেরে আশ্চর্য হয়ে বললেন, বুড়ি কি সন্তান প্রসব করবে; অথচ সে হলো মূলতঃ বন্ধ্যা!

Please check ayah 51:30 for complete tafsir.