আন-নাজম আয়াত ৫৫
فَبِاَيِّ اٰلَاۤءِ رَبِّكَ تَتَمَارٰى ( النجم: ٥٥ )
Fabi ayyi aalaaa'i Rabbika tatamaaraa (an-Najm ৫৩:৫৫)
English Sahih:
Then which of the favors of your Lord do you doubt? (An-Najm [53] : 55)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন নি‘মাতে সন্দেহ পোষণ করবে? (আন-নাজম [৫৩] : ৫৫)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে? [১]
[১] বা বিতর্ক করবে ও সেগুলোকে মিথ্যা মনে করবে? কারণ, সেগুলো এত ব্যাপক ও সুস্পষ্ট যে, না সেগুলো অস্বীকার করা সম্ভব, আর না গোপন করা।
2 Tafsir Abu Bakr Zakaria
সুতরাং (হে মানুষ!) তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে [১]?
[১] تما رى শব্দের এক অর্থ, সন্দেহ পোষণ করা। আরেক অর্থ বিবাদ ও বিরোধিতা করা। [তাবারী]
3 Tafsir Bayaan Foundation
তাহলে তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে?
4 Muhiuddin Khan
অতঃপর তুমি তোমার পালনকর্তার কোন অনুগ্রহকে মিথ্যা বলবে?
5 Zohurul Hoque
অতএব তোমার প্রভুর কোন অনুগ্রহ সম্পর্কে তুমি বাদানুবাদ করবে?
6 Mufti Taqi Usmani
সুতরাং (হে মানুষ!) তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন্ কোন্ নি‘আমতে সন্দেহ পোষণ করবে?
7 Mujibur Rahman
তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে?
8 Tafsir Fathul Mazid
৪৩-৫৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এ আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাহ ও তাঁর ক্ষমতা এবং সবকিছুর সর্বশেষ প্রত্যাবর্তন একমাত্র তাঁর কাছে সে কথাই তুলে ধরেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে হাসান, তিনিই মানুষকে কাঁদান, তিনিই কান্না-হাসির উপকরণ ভাল-মন্দ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি সৃষ্টি করেন। তিনিই জীবন-মৃত্যু দান করেন। তিনিই মানুষকে নর-নারীরূপে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, তিনি মানুষকে অভাবমুক্ত রাখেন, সম্পদ দান করেন। এসব কিছুতে তিনিই একচ্ছত্র মালিক। সুতরাং যে প্রভু আমাদের জীবন-মৃত্যু থেকে শুরু করে সব কিছুর মালিক তিনিই সকল ইবাদত পাওয়ার যোগ্য।
(خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ)
অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণী তা বাকশক্তি সম্পন্ন হোক আর চতুষ্পদ হোক কিম্বা কীট-পতঙ্গ হোক এমনকি গাছ-পালা ও জড় পদার্থকেও আল্লাহ বিপরীত লিঙ্গ তথা নারী-পুরুষ করে সৃষ্টি করেছেন।
(مِنْ نُّطْفَةٍ إِذَا تُمْنٰي)
‘শুক্র বিন্দু হতে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়’ আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতার এটা অন্যতম একটি বড় প্রমাণ। তুচ্ছ ও দুর্বল এক ফোঁটা বীর্য থেকে আল্লাহ বিশাল বিশাল প্রাণী সৃষ্টি করছেন। ঐ একটু ও একই প্রকার বীর্য দ্বারা একই মায়ের গর্ভে কখনো ছেলে সন্তান দিচ্ছেন, আবার কখনো মেয়ে সন্তান দিচ্ছেন।
(وَأَنَّ عَلَيْهِ النَّشْأَةَ الْأُخْرٰي)
‘আর পুনরায় জীবিত করার দায়িত্বও তাঁরই’ অর্থাৎ যে মানুষকে আল্লাহ একটু বীর্য থেকে সৃষ্টি করে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দুনিয়াতে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছেন সে আল্লাহই আবার মৃত্যুর পর প্রত্যেককে হিসাব-নিকাশের জন্য পুনরুত্থিত করে উপস্থিত করবেন।
(وَأَنَّه۫ هُوَ أَغْنٰي وَأَقْنٰي)
অর্থাৎ যাকে ইচ্ছা তিনি সম্পদশালী করেন যাকে ইচ্ছা তিনি অভাবগ্রস্থ করেন, তিনিই রাজাধিরাজ।
আল্লাহ বলেন :
(قُلِ اللّٰهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَا۬ءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَا۬ءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَا۬ءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَا۬ءُ ط بِيَدِكَ الْخَيْرُ ط إِنَّكَ عَلٰي كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ)
“বলুন, হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক, যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে চান সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।” (সূরা আলি ইমরান ৩ : ২৬)
الشِّعْرٰي হল একটি তারকা যা الشعري العبور নামে পরিচিত। তা المرزم নামেও নামকরণ করা হয়। আল্লাহ সব তারকার মালিক, কিন্তু এখানে বিশেষভাবে এ তারকার নাম উল্লেখ করা হল কেন? কারণ জাহিলি যুগে এ তারকার ইবাদত করা হত। আল্লাহ এখানে জানিয়ে দিলেন মুশরিকরা যার ইবাদত করে তাও আল্লাহর পরিচালনাধীন মাখলুক, সুতরাং কিভাবে তা মা‘বূদ হতে পারে? তারপর আল্লাহ পূর্ববর্তী কয়েকটি ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির কথা নিয়ে এসেছেন আমাদেরকে সতর্ক করার জন্য। যেমন ‘আদ সম্প্রদায়, সামূদ সম্প্রদায় ও নূহ (আঃ)-এর জাতি, এদের ধ্বংস প্রাপ্তরা সবাই ছিল জালিম ও সীমালঙ্ঘনকারী।
আ‘দ সম্প্রদায় হল হূদ (আঃ)-এর জাতি, যখন তারা হূদ (আঃ)-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে প্রচন্ড ঝড় দ্বারা ধ্বংস করে দিলেন।
(وَالْمُؤْتَفِكَةَ أَهْوٰي)
বলতে লূত (আঃ)-এর জাতিকে বুঝানো হয়েছে। তাদেরকে জমিন উল্টিয়ে দিয়ে শাস্তি প্রদান করা হয়েছিল।
(فَغَشّٰهَا مَا غَشّٰي)
অর্থাৎ পাথরের বৃষ্টি দ্বারা তারা আচ্ছাদিত হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِّنْ سِجِّيْلٍ)
“আর আমি জনপদকে উল্টিয়ে ওপর-নীচ করে দিলাম এবং তাদের ওপর প্রস্তর-কংকর বর্ষণ করলাম।” (সূরা হিজর ১৫ : ৭৪)
(فَبِأَيِّ اٰلَا۬ءِ رَبِّكَ تَتَمَارٰي)
‘অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে?’ অর্থাৎ হে মানব সকল! আল্লাহ তা‘আলার কোন নেয়ামত ও অনুগ্রহকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখবে? কোন নেয়ামতকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। বরং স্বীকার করতে হবে, প্রত্যেক নেয়ামত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার, অন্য কারো নয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলার অসীম ক্ষমতা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে অভাবমুক্ত করেন। অতএব তার কাছেই চাওয়া উচিত।
৩. পূর্ববর্তী সীমালঙ্ঘনকারী জালিম জাতির কী খারাপ পরিণতি হয়েছিল তা জানলাম
৪. প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল নেয়ামত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার।
9 Fozlur Rahman
অতএব, তোমার প্রভুর কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে তুমি সন্দেহ পোষণ করবে?
10 Mokhtasar Bangla
৫৫. অতএব, হে মানুষ! তোমার রবের ক্ষমতার উপর প্রমাণবাহী কোন কোন নিআমতের ব্যাপারে তুমি ঝগড়া করছো। আর তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করছো না?!
11 Tafsir Ibn Kathir
৪২-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর:
ঘোষিত হচ্ছে যে, শেষে প্রত্যাবর্তন স্থল আল্লাহর নিকট। কিয়ামতের দিন সবকেই তারই সামনে হাযির হতে হবে। হযরত মুআয (রাঃ) বানু আওদ গোত্রের মধ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেনঃ “হে বানু আওদ! আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দূতরূপে তোমাদের নিকট আগমন করেছি। তোমরা সবাই এ বিশ্বাস রেখো যে, তোমাদের সবকেই আল্লাহ তাআলার নিকট ফিরে যেতে হবে। অতঃপর তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করা হবে অথবা জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) وَاَنَّ اِلٰى رَبِّكَ الْمُنْتَهٰى-এ আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ “আল্লাহর সত্তা সম্পর্কে চিন্তা করা জায়েয নয়।" এটা ঐ হাদীসের মতই যা হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করো, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে যেয়ো না। তাকে জ্ঞান ও চিন্তা পেতে পারে না ।” (ইমাম বাগাভী (রঃ) এটা বর্ণনা করেছেন)
এ হাদীসটি এ শব্দগুলো দ্বারা সুরক্ষিত না হলেও সহীহ হাদীসেও এ বিষয়টি বিদ্যমান রয়েছে। তাতে রয়েছেঃ “তোমাদের কাছে এসে বলে- এটা কে সৃষ্টি করেছেন? ওটা কে সৃষ্টি করেছেন?” শেষ পর্যন্ত সে বলেঃ “আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন?” তোমাদের মধ্যে কারো অন্তরে এই কুমন্ত্রণা আসলে সে যেন আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং অন্তর হতে ঐ ধারণা দূর করে দেয়।"
সুনানের অন্য একটি হাদীসে রয়েছেঃ “তোমরা সৃষ্টজীব ও বস্তু সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করো, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সত্তা সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করো না। জেনে রেখো যে, আল্লাহ তা'আলা এমন একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন যার কানের নিম্নভাগ হতে কাঁধ পর্যন্ত স্থান তিনশ বছরের পথ।” অথবা যেরূপ বলেছেন।
মহান আল্লাহ বলেনঃ “তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান।' অর্থাৎ হাসি-কান্নার মূল ও কারণ তিনিই সৃষ্টি করেছেন, যা সম্পূর্ণরূপে পৃথক পৃথক। তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান।' যেমন তিনিঃ اَلَّذِىْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيٰوةَ অর্থাৎ “যিনি সৃষ্টি করেন মৃত্যু ও জীবন।”
ঘোষিত হচ্ছেঃ “তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল পুরুষ ও নারী শুক্রবিন্দু হতে যখন তা স্খলিত হয়। যেমন আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ
اَیَحْسَبُ الْاِنْسَانُ اَنْ یُّتْرَكَ سُدًى ـ اَلَمْ یَكُ نُطْفَةً مِّنْ مَّنِیٍّ یُّمْنٰىص ـ ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوّٰى ـ فَجَعَلَ مِنْهُ الزَّوْجَیْنِ الذَّكَرَ وَ الْاُنْثٰى ـ اَلَیْسَ ذٰلِكَ بِقٰدِرٍ عَلٰۤى اَنْ یُّحْیِ الْمَوْتٰى
অর্থাৎ “মানুষ কি মনে করে যে, তাকে নিরর্থক ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি স্খলিত শুক্র বিন্দু ছিল না? অতঃপর সে রক্তপিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে আকৃতি দান করেন ও সুঠাম করেন। অতঃপর তিনি তা হতে সৃষ্টি করেন যুগল নর ও নারী। তবুও কি সেই স্রষ্টা মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন?” (৭৫:৩৬-৪০)।
মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘পুনরুত্থান ঘটাবার দায়িত্ব তারই।' অর্থাৎ যেমন তিনি প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন তেমনই মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করার দায়িত্ব তারই। “তিনিই অভাবমুক্ত করেন ও সম্পদ দান করেন। ধন-সম্পদ তাঁরই অধিকারে রয়েছে যা তাঁর কাছে পুঁজি হিসেবে থাকে। অধিকাংশ তাফসীরকারের উক্তি এ স্থলে এটাই, যদিও কিছু লোক হতে বর্ণিত আছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ তিনি মাল দিয়েছেন ও গোলাম দিয়েছেন। তিনি দিয়েছেন ও খুশী হয়েছেন। তিনি নিজেকে অমুখাপেক্ষী করেছেন এবং স্বীয় মাখলুককে তাঁর মুখাপেক্ষী করেছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা সম্পদশালী করেছেন এবং যাকে ইচ্ছা দরিদ্র করেছেন। কিন্তু এই পরবর্তী দু'টি উক্তি শব্দের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
‘শি’রা ঐ উজ্জ্বল তারকার নাম যাকে ‘মারমুল জাওয়াও বলা হয়। আরবের একটি দল ওর ইবাদত করতো।
আ’দে ঊলা অর্থাৎ হযরত হূদ (আঃ)-এর কওম, যাকে আ’দ ইবনে ইরাম ইবনে সাম ইবনে নূহ (আঃ) বলা হতো। এই কওমকে আল্লাহ তা'আলা ঔদ্ধত্যের কারণে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। যেমন তিনি বলেনঃ
اَلَمْ تَرَ كَیْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍص ـ اِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ ـ الَّتِیْ لَمْ یُخْلَقْ مِثْلُهَا فِی الْبِلَادِ
অর্থাৎ “তুমি কি দেখোনি তোমার প্রতিপালক কি করেছিলেন আ’দ বংশেরইরাম গোত্রের প্রতি- যারা অধিকারী ছিল সুউচ্চ প্রাসাদের? যার সমতুল্য কোন দেশে নির্মিত হয়নি।" (৮৯:৬-৮) এই সম্প্রদায়টি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল এবং সাথে সাথে তারা ছিল আল্লাহ তা'আলার চরম অবাধ্য ও রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর চরম বিরোধী। তাদের উপর ঝড়ের শাস্তি আপতিত হয়, যা সাত রাত ও আট দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অনুরূপভাবে সামূদ সম্প্রদায়কেও ধ্বংস করে দেন এবং তাদের কাউকেও তিনি বাকী রাখেননি। তাদের পূর্বে নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়কেও ধ্বংস করেছেন, তারা ছিল অতিশয় যালিম ও অবাধ্য। আর। উৎপাটিত আবাস ভূমিকে উল্টিয়ে নিক্ষেপ করেছিলেন। আকাশ হতে প্রস্তর বর্ষণ করে সমস্ত পাপীকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। তাদেরকে একটি জিনিস ঢেকে ফেলে, অর্থাৎ পাথর সমূহ, যেগুলোর বৃষ্টি তাদের উপর বর্ষিত হয় এবং অত্যন্ত মন্দ অবস্থায় তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ঐ গ্রামে চার লক্ষ লোক বসবাস করতো। আবাসভূমির সবটাই অগ্নি, গন্ধক ও তেল হয়ে তাদের উপর প্রজ্বলিত হয়েছিল।
হযরত কাতাদা (রঃ)-এর উক্তি এটাই যার সনদ অত্যন্ত দুর্বল। এটা'মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্ণিত হয়েছে।
এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তাহলে হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে? কেউ কেউ বলেন যে, এটা নবী (সঃ)-কে সম্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু সম্বোধনকে সাধারণ রাখাই বেশী যুক্তিযুক্ত। ইমাম ইবনে জারীরও (রঃ) সাধারণ রাখাকেই পছন্দ করেছেন।