Skip to main content

يَسْـَٔلُهٗ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍۚ  ( الرحمن: ٢٩ )

Asks Him
يَسْـَٔلُهُۥ
তাঁরই কাছে প্রার্থনা করে
whoever
مَن
যা কিছু
(is) in
فِى
মধ্যে (আছে)
the heavens
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ
and the earth
وَٱلْأَرْضِۚ
ও পৃথিবীর
Every
كُلَّ
প্রত্যেক
day
يَوْمٍ
দিন
He
هُوَ
তিনি
(is) in
فِى
থাকেন
a matter
شَأْنٍ
(এক বিশেষ) অবস্থায়

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আকাশ আর পৃথিবীতে যারা আছে তারা (নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যা কিছু দরকার) তাঁর কাছেই চায়, প্রতি মুহূর্ত তিনি নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত (কাউকেও বাঁচাচ্ছেন, কাউকেও মারছেন, কাউকেও সম্মানিত ক’রে ঊর্ধ্বে উঠাচ্ছেন, কাউকেও অপমানিত ক’রে নামিয়ে দিচ্ছেন ইত্যাদি)।

English Sahih:

Whoever is within the heavens and earth asks Him; every day He is in [i.e., bringing about] a matter.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা আছে, সবাই তাঁর নিকট প্রার্থনা করে,[১] তিনি প্রত্যহ এক এক ব্যাপারে রত। [২]

[১] অর্থাৎ, সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী এবং তাঁর দ্বারের ভিখারী।

[২] প্রত্যহ বা প্রতিদিনের অর্থ সব সময়। شان'শা'ন' অর্থমবিষয় বা ব্যাপার। অর্থাৎ, সব সময় তিনি কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন। কাউকে রোগী বানাচ্ছেন, কাউকে রোগ থেকে মুক্ত করছেন। কাউকে ধনী করছেন, আবার কোন ধনীকে দরিদ্র করছেন, কোন ভিখারীকে রাজা বানাচ্ছেন, কোন রাজাকে বানাচ্ছেন ভিখারী, কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করছেন, আবার কাউকে অধঃপতনে পাতিত করছেন। কাউকে অস্তি থেকে নাস্তি এবং নাস্তি থেকে অস্তি করছেন ইত্যাদি। মোট কথা বিশ্বজাহানে এ সব কিছু হচ্ছে তাঁরই নির্দেশ ও ইচ্ছায়। দিবারাত্রির কোন মুহূর্ত এমন নেই, যা তাঁর কর্ম সম্পাদন থেকে খালি থাকে। {هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ}